জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) হারিয়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে নিজেরটা নিজেই ডাউনলোড করে নেওয়া যাবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দিয়ে আবেদন করতে হবে অনলাইনে।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) এনআইডি অনুবিভাগের কর্মকর্তারা জানান, করোনা মহামারির সময় মাঠ পর্যায়ে সেবা চালু রাখা হয়েছে। এক্ষেত্রে জরুরি সেবা দেওয়া হচ্ছে।
এছাড়া যারা স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে সংশ্লিষ্ট উপজেলা কার্যালয়ে না যেতে চান, তারা অনলাইনে আবেদন করে সেবা নিতে পারবেন। তবে সব সেবার আবেদন অনলাইনে নেওয়া হলেও যাদের দশ আঙুলের ছাপ বা চোখের আইরিশ দেওয়ার প্রয়োজন পড়বে, তাদের মাঠ কার্যালয়ে যেতে হবে। আবার যাদের শুনানির প্রয়োজন পড়বে তাদেরও সংশ্লিষ্ট উপজেলা নির্বাচন অফিসে যেতে হবে।
কেবল যাদের NID হারিয়ে গেছে বা নষ্ট হওয়ায় নতুন আইডি প্রয়োজন তাদের না গেলেও চলবে।
এ বিষয়ে ইসি NID অনুবিভাগের মহাপরিচালক একেএম হুমায়ুন কবীর বলেন, হারানো কার্ড উত্তোলন বা নষ্ট হওয়ার কারণে নতুন এনআইডি নেওয়ার জন্য অফিসে আসার প্রয়োজন নেই। ব্যাংকে টাকা জমা দিয়ে অনলাইনে নির্দিষ্ট প্রক্রিয়ায় নিজের কার্ড নিজেই ডাউনলোড করে নেওয়া যায়।
এই সেবা পেতে https://services.nidw.gov.bd ওয়েব ঠিকানায় গিয়ে আবেদন করতে হবে। তার আগে ব্যাংকে নির্ধারিত ফি জমা দিতে হবে। কত টাকা ফি জমা দিতে হবে তা নির্ভর করবে কতবার এনআইডি নেওয়া হয়েছে তার উপর।
প্রথমবার আবেদনের ক্ষেত্রে এক রকম ফি, দ্বিতীয়, তৃতীয়বারের জন্য আরেক রকম ফি; আবার জরুরি হলে আরো বেশি ফি জমা দিতে হয়। এজন্য ১০৫ নম্বরে ফোন করে বা ইসির ওয়েবসাইট থেকে টাকার অংক জেনে নেওয়া যাবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, এভাবে প্রাপ্ত এনআইডি দেখতে হুবহু লেমিনেটিং করা এনআইডির মতো। এটি ডাউনলোডের পর প্রিন্ট করে কেবল নিজে থেকে লেমিনেটিং করে নিতে হবে। যারা নতুন ভোটার হয়েছেন, তাদের কেউ এনআইডি না পেয়ে থাকলে কোনো ফি ছাড়াই পাবেন।
২০২০ সালের ২৬ এপ্রিল অনলাইনে এনআইডি সেবার উদ্বোধন করে ইসি। এ যাবৎ প্রায় অর্ধকোটি মানুষকে অনলাইনে বিভিন্ন সেবা দিয়েছে ইসি।