দ্বীপের চারপাশে যে প্রাকৃতিক সম্পদ গুলো ঘিরে ধরেছে আমাদের, সে গুলোর মধ্যে আমাদের পশ্চিমে অবস্থিত যে অবারিত খোলা মাঠ, সেখানে গত মাসখানেক ধরে লবণচাষীদের কর্মব্যস্ততা শুরু হয়েছে। নতুন করে আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেছেন তারা। লবণ উৎপাদন শুরু তে এই বছর অন্তত লবণের ন্যায্য মূল্যটুকু পাবেন এই আশায়।
সাম্প্রতিক সময়ে বড় মহেশখালীর পশ্চিমে গিয়ে দেখা যায় চাষীরা লবণ তুলতে শুরু করেছে। অনেকেই পলিথিন বিছানোর কাজ করছে। অনেকেই আবার এখনো প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ করছে। উঁচু স্থানের জায়গা গুলোতে সাধারণত আগেভাগেই কাজ শুরু হয়ে যায়। তাই লবণ উৎপাদন ও হয় তাড়াতাড়ি।
সরেজমিনে জানা যায়, লবণের মূল্য চলতি বাজারে মণ প্রতি ২০০ থেকে ২১০ টাকা চলছে। বর্তমান বাজার মূল্য নিয়ে সন্তুষ্ট কিনা জানতে চাইলে রিফাত নামে এক লবণ চাষি বলেন, ‘মৌসুমজুড়ে লবণের দাম ৩০০ টাকার উপরে থাকলে আমরা লাভবান হতে পারি, কিন্তু ২০০ টাকার নিচে গেলে আমাদের ক্ষতি হয়ে যাবে। গত বছর ১৫০ টাকা থাকায় আমাদের ক্ষতি হয়েছে।’
গত ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ নতুন বাজার মাঠে এক সংবর্ধনা সভায় কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা লবণ চাষীদের অভয় দিয়ে বলেছিলেন, লবণ চাষীদের ব্যাপারে প্রধনমন্ত্রী অবগত আছেন। এবছর চাষীরা লবণের ন্যায্য মূল্য পাবে। এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সাথে নিয়মিত কথা বলেন বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এখন দেখার বিষয় বছরজুড়ে লবণের মূল্য কেমন থাকে। চাষিরা কি আদৌও লবণের ন্যায্যমূল্য পাচ্ছে?
আরও পড়ুনঃ
[…] সাদা সোনা খ্যাত লবণ নিয়ে লেখা ২য় প্রতিবেদনটি পড়তে এখানে ক্লিক করুন […]