Home Islamic শরিয়তের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ)| ইসলামে ঈদে মিলাদুন্নবী কি যায়েজ?

শরিয়তের আলোকে ঈদে মিলাদুন্নবী (সঃ)| ইসলামে ঈদে মিলাদুন্নবী কি যায়েজ?

0

ডেস্ক রিপোর্টঃ রাসূলুল্লাহ (স.) বলেছেন, “তোমরা কোনো বিশেষ মাসকে ঈদ বানাইয়ো না, এবং কোনো বিশেষ দিনকে ঈদ বানাইয়ো না।” (মুসান্নাফে আব্দির রাজ্জাক-৭৯৯৫)

ব্যাখ্যা: এই হাদিসের উদ্দেশ্য হলো, শরিয়তে যে সব দিন ঈদ হিসেবে এসেছে তা ছাড়া অন্য কোনো ঈদ বানানো যাবে না।
শরিয়ত যে সব দিনকে ঈদ বানিয়েছে, তা ঈদুল ফিতর, ঈদুল আযহা এবং আইয়ামে তাশরিক, এসব বাৎসরিক ঈদ। আর জুমার দিন সাপ্তাহিক ঈদ।
তা ছাড়া অন্য কোনো দিনকে ঈদ হিসেবে অথবা উৎসব হিসেবে গ্রহণ করা বিদয়াত, শরিয়তে যার কোনো অস্তিত্ব নেই।
(লাতায়িফুল মায়ারিফ-২৮৫, লেখক: ইবনু রজব, মৃত্যু: ৭৯৫ হিজরি।)

﷽ঈদে মিলাদুন্নবী প্রসঙ্গঃ

কারো জন্ম, মৃত্যু, বিয়ে ইত্যাদি উপলক্ষে ‘বিশেষ দিবস বা বার্ষিকী’ উদযাপন করা একটি ইয়াহুদী-খ্রীস্টানদের বিজাতীয় সংস্কৃতি,যা মুসলমানদের জন্য অমুসলিমদের সংস্কৃতির অনুকরণ করা সম্পূর্ণ হারাম।

খ্রীস্টানরা ঈসা (আঃ) এর জন্ম উপলক্ষে “ক্রিসমাস” বা বড়দিন পালন করে। খ্রীস্টানদের দেখাদেখি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর মৃত্যুর প্রায় ৪৫০ বছর পরে ইরাকের শিয়ারা মুসলমানদের মাঝে প্রথম রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জন্মদিন, ১২ই রবিউল আওয়াল উপলক্ষে “ঈদে মিলাদুন্নবী” নামে অনুষ্ঠান চালু করে।

ভারত, পাকিস্থান, বাংলাদেশেও ইরাকের বিভ্রান্ত শিয়াদের দেখাদেখি ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃআঃ) পালন করে আসছে।

এদিকে ঈদ-উল ফিতর ও ঈদ-উল আযাহ ছাড়া “ঈদে মিলাদুন্নবী” নামে কোন ঈদের কথা কোরআন হাদীসে নেই। যা একধিক দলিলরে প্রমাণিত।

কিছু হাদীসঃ

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ

“নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ হচ্ছে মুহাম্মদের আদর্শ। আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিষয় হচ্ছে (দ্বীনের মাঝে) নতুন আবিষ্কার করা বিষয়গুলো। আর প্রত্যেক নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় হচ্ছে বিদআ’ত এবং প্রত্যেক বিদআ’ত হচ্ছে পথভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক পথভ্রষ্টতার পরিণাম হচ্ছে জাহান্নাম।”

[সহীহ মুসলিমঃ ১৫৩৫, সুনানে আন-নাসায়ীঃ ১৫৬০, হাদীসের বাক্যগুলো নাসায়ী থেকে নেওয়া]

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেনঃ

“যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে যা, এর কোন অংশ নয়, তবে সেটা মারদুদু বা প্রত্যাখ্যাত হবে।”

[সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম]।

রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম আরো বলেছেনঃ

“আমি তোমাদের পূর্বেই হাউজে কাওসারের নিকট পৌঁছে যাব । যে ব্যক্তি সেখানে নামবে এবং তার পানি পান করবে সে আর কখনও পিপাসিত হবে না। কতিপয় লোক আমার নিকট আসতে চাইবে , আমি তাদেরকে চিনি আর তারাও আমাকে চেনে। অতঃপর আমার ও তাদের মধ্যে পর্দা পড়ে যাবে।

রাসূল (সাঃ) বলবেনঃ তারা তো আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত।তাকে বলা হবে আপনি জানেন না আপনার পরে তারা কি আমল করেছে । তখন যে ব্যক্তি আমার পরে (দ্বীনকে) পরিবর্তন করেছে তাকে আমি বলবোঃ দূর হয়ে যা , দূর হয়ে যা।”

[সহীহ মুসলিমঃ ৪২৪৩]

error: Content is protected !!
Exit mobile version