Home Agricultural রমজানের শুরুতেই কাঁচা বাজারে আগুন

রমজানের শুরুতেই কাঁচা বাজারে আগুন

2

একদিকে শুরু পবিত্র মাহে রমজান, অন্যদিকে করোনা মহামারীর প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে চলছে সরকার ঘোষিত লকডাউন। সেই সাথে যোগ হলো নিত্যপণ্যের বাড়তি দামের থাবা। রমজানের শুরুতেই কাঁচা বাজারে আগুন।

করোনা ভাইরাসের কারণে চলছে লকডাউন। সাধারণ জণগণের রোজগারের পথ বন্ধ। কমেছে আয়, কিন্তু অব্যাহতভাবে বাড়ছে সবজির দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন ক্রেতারা।

বড় মহেশখালী নতুন বাজার, রাস্তার মাথা বাজার সহ বিভিন্ন কাঁচা বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সাথে কথা এ-ই চিত্র উঠে আসে। বাজারে সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, গতকালের চেয়ে আজ ৪/৫ ধরণের সবজির প্রতি দাম বেড়েছে ১৫-২০ টাকা।

বিশ্বের সকল মুসলিম দেশে রমজান মাসে বিভিন্ন প্যাকেজ ঘোষণা দিয়ে ভোগ্যপণ্যের দাম কমলেও উল্টো চিত্র বাংলাদেশে।

রমজানের শুরুতেই কাঁচা বাজারে আগুন

লকডাউনকে পুঁজি করে রমজানের সুযোগ নিয়ে বাড়তি দাম বৃদ্ধি করছেন ব্যবসায়িরা।

ব্যবসায়িদের অভিযোগ, লকডাউনের কারণে পণ্য পরিবহনে বাড়তি ভাড়া গুনতে হচ্ছে। তাই তারাও বাড়তি দাম নিচ্ছেন।

বড় মহেশখালী নতুন বাজার কাঁচা বাজারে আগুন ,সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,

  • টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা,
  • তিত করলা ৬০-৭০/-,
  • কাচা মরিচ ৫০-৫৫/-,
  • গাজর ৬০,
  • বরবটি ৬০/-,
  • পেঁয়াজ ৫০-৬০/-,
  • ধনিয়া পাতা, ৬০/-
  • বেগুন ৫৫/-
  • লেবু জোড়া ২৫/-
  • কচুর লতি ৬০/- টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে।

বড় মহেশখালী ফকিরা ঘোনা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল আজিজ বলেন ‘ছোট একটা ব্যবসা করি, করোনার কারণে আগের মতো লাভ হচ্ছে না। কিন্তু বাজারে গেলে হতাশ হতে হয়। টাকা ফুরিয়ে যায়, কিন্তু বাজারে সবজি কেনার যেন উপায় নেই।’
সাধারণ এই ক্রেতার ভাষ্য, ‘বাজার সবজিতে ভরপুর, তবুও সব সবজির দাম বেড়েছে। বেশিরভাগ সবজির দাম ৬০ টাকার কাছাকাছি।

সরেজমিন ১৩ ও ১৪ এপ্রিল বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা যায়, সব সবজিরই চড়া দাম। দুই-তিন দিন আগেও যেসব সবজি বিক্রি হয়েছে ৪০ থেকে ৪৫ টাকায়, এখন তার কেজি ছাড়িয়েছে ৫০-৬০ টাকা। বড় মহেশখালী নতুন বাজারে ৫০ টাকা কেজির নিচে সবজি নেই বললেই চলে। বাজার ঘুরে দেখা যায়, করলা ৬০ টাকা কেজি। ঢেঁড়শ, লাউ, কাঁকরোল, বরবটি ও কচুর লতি ৫০-৬০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা পেঁপে ৩০-৩৫ টাকা।

দামের একই ধারা লক্ষ্য করা গেছে বিভিন্ন শাকে। এদিকে প্রতি আঁটি লাউ শাক বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকায়, পুই শাক ৩০ টাকা, কচুর শাক ২০ টাকা, লাল শাক ২৫ টাকা, এবং কলমি শাক ১০ টাকা প্রতি আঁটি বিক্রি হয়েছে।

অন্যদিকে বাজার মোটামুটি স্থিতিশীল আছে মাছ, মুরগি ও ডিমের দামে। হাঁসের ডিম ১২০ টাকা ডজন, লেয়ার মুরগির ডিম ১০০ টাকা ডজন, দেশি মুরগির ডিম ১৫০ টাকা ডজন বিক্রি হচ্ছে। আর গরুর মাংস ৬০০ টাকা এবং খাসির মাংস বিক্রি হয় ৯০০ টাকা কেজি দরে।

এছাড়া পোল্ট্রি ফার্মে দেখা যায়,

  • ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৩০ টাকা,
  • দেশি মুরগি প্রতি কেজি ৪৫০ টাকা,
  • ফার্মের কক বা সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ২৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বড় মহেশখালী নতুন বাজার মাঝারি সাইজের প্রতি কেজি রুই-কাতলা ২২০ থেকে ২৫০ টাকা, কাচকি ৫০০, শিং ৬৫০ এবং ইলিশ ৭৫০ থেকে ৯০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।

এদিকে ভুক্তভুগীরা কাঁচা বাজারে আগুন নিয়ন্ত্রণে উপজেলা প্রশাসনের তদারকির দাবি জানান।

2 COMMENTS

  1. […] শিরোনামঃ কোভিড-১৯ এর উপসর্গ গুলো কি কি বৈশ্বিক মহামারী করোনা পরিস্থিতিতে এবার করোনার টিকা চুরি মুভমেন্ট পাস যাদের প্রয়োজন নেই সমুদ্রে ৬৫ দিন মাছ আহরণ নিষিদ্ধ মসজিদ মাদ্রাসা উন্মুক্ত রাখতে সরকারের প্রতি খোলা চিঠি বড় মহেশখালীবাসী’কে মোস্তফা আনোয়ার চৌধুরীর পবিত্র মাহে রমজানের শুভেচ্ছা UEFA Champions League ( UCL ) এর সেমি ফাইনালে Real Madrid আজ থেকে শুরু বুয়েট ( BUET ) ভর্তি পরীক্ষার আবেদন ডাকাতির প্রস্তুতিকালে Police Station এর ধাওয়ায় ৬ ডাকাত আটক রমজানের শুরুতেই কাঁচা বাজারে আগুন […]

Comments are closed.

error: Content is protected !!
Exit mobile version