Friday, April 26, 2024
HomeNewsযুগান্তরের সাংবাদিক কাশেম আটক;ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণ ও পালানোর চেষ্টা

যুগান্তরের সাংবাদিক কাশেম আটক;ঔদ্বত্যপূর্ণ আচরণ ও পালানোর চেষ্টা

অনলাইন ডেস্কঃ

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির হাতে আটক হয়েছে যুগান্তরের সাংবাদিক ও ধর্ষণ মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি আবুল কাশেম (৪০) ওরফে কাইশ্যা।

১৮ জুলাই (রোববার) সন্ধ্যায় উপজেলার হোয়াইক্যং চেকপোস্টে বর্ডার গর্ড ব্যাটালিয়ান-২ সদস্যরা তাকে আটক করে। পরে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

সিগন্যাল অমান্য করে পালানোর চেষ্টা ও বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে সাংবাদিক পরিচয়ে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করার কারণে তাকে আটক করা হয় বলে জানিয়েছে বিজিবি।

তাকে টেকনাফ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করার পর পুলিশ তাকে গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার একটি ধর্ষণ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি হিসেবে তাকে ওই থানায় হস্তান্তর করার কথা।

আবুল কাশেম গাজীপুরে যুগান্তরের স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করে বলে পুলিশ ও বিজিবির কাছে স্বীকার করেছেন।

তার বিরুদ্ধে পুলিশ ধর্ষণ, নারী নির্যাতন, বন আইন, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জানতে পারে।

বিজিবি ও টেকনাফ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, আবুল কাশেমের পিতার নাম আবু সামা। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্ষং এর ঝিমং হলেও থাকে গাজীপুরে।

সাম্প্রতিক সময়ে কক্সবাজার-টেকনাফ রুটে প্রাইভেট কারের আগে পিছে যুগান্তরের লোগো লাগিয়ে দাপিয়ে বেড়াতো। কিছু দিন আগে তিন অজ্ঞাত তরুণীসহ বিজিবি তাকে আটক করলেও পরে সে ক্ষমা চেয়ে বিজিবির হাত থেকে ছাড়া পায় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।

সর্বশেষ ১৮ জুলাই (রবিবার) সন্ধ্যায় আবারও সে ওই রুটে যুগান্তরের লোগো লাগানো প্রাইভেট কার নিয়ে হোয়াাইক্ষং চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা তাকে সিগন্যাল দেয়। সিগন্যাল অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করলে বিজিবির সন্দেহ হয়। পালানোর চেষ্টা কেন করছিল তা জানতে চাইলে সে বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করতে থাকে। সাংবাদিক পরিচয়ে হুমকি ধমকি প্রদান করেন। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করে।

বিজিবি ও পুলিশ খোঁজ -খবর নিয়ে জানতে পারে তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ চেষ্টা মামলা, গাছ কাটার মামলা, চাঁদাবাজির মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। পরে তাকে টেকনাফ থানা পুলশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। টেকনাফ থানা পুলিশ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার (মামলার নম্বর: ১৮, ২০/০৬/২০২১) প্রধান আসামি হিসেবে আবুল কাশেম ওরফে রোহিঙ্গা কাশেমকে সোমবার ওই থানা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করে।

এ প্রসঙ্গে বর্ডারগার্ড ব্যাটেলিয়ন-২ এর অধিনায়ক মোহাম্মদ ফয়সাল হাান খাঁন (পিএসসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

টেকনাফ থানার ওসি মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, আবুল কাশেম নামে যুগান্তরের এক সাংবাদিককে তাদের হাতে বিজিবি হস্তান্তর করেছে এবং তাকে ধর্ষণ মামলায় জয়দেব পুর থানায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

অভিযোগ আছে, আবুল কাশেম সাম্প্রতিক সময়ে গাজীপুর, টেকনাফ, চকরিয়াহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যুগান্তর প্রতিনিধি হিসেবে চাকরি দেওয়ার নাম করে বা চাকরি দিয়ে অপেশাদার, আন্ডারগ্রাউন্ড ও ভুঁইফোঁড় পত্রিকার লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাক টাকা হাতিয়ে নিচ্ছিল।

Related News
- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!