Home News পাহাড়ি দ্বীপে টিকা নিতে এসে নাস্তা পেলেন টিকা গ্রহণকারীরা

পাহাড়ি দ্বীপে টিকা নিতে এসে নাস্তা পেলেন টিকা গ্রহণকারীরা

0

মোহাম্মদ কাইমুল ইসলাম ছোটনঃ

সারাদেশের ন্যায় কক্সবাজারে শুরু হয়েছে গণটিকা প্রদান কার্যক্রম। জেলায় গণটিকা পাচ্ছে ৪৫,৬০০ জন।

৭ আগস্ট (শনিবার) সকাল ৯ টা থেকে ৪টি পৌরসভা ও ৭১ ইউনিয়নের একযোগে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ সময় ২৫ বছরের বেশি নারী ও পুরুষ টিকা গ্রহণ করেছেন এবং বয়স্ক ও প্রতিবন্ধীরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।

জেলার সিভিল সার্জন অফিস সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ইউনিয়ন ভিত্তিক ৬০০ জনকে টিকা প্রদান করা হচ্ছে। প্রতিটি কেন্দ্রে তিনটি করে টিকাদান বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেখানে স্বাস্থ্যকর্মীরা নিয়োজিত আছেন।

জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছরের বেশি বয়সীদের ১০ ও ১২ আগস্ট করোনার টিকা দেওয়া হবে। টিকা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে স্বাস্থ্য বিভাগের পাশাপাশি, জেলা প্রশাসন, স্ব স্ব উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, গ্রাম পুলিশ ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।

৭ আগস্ট (শনিবার) কক্সবাজার জেলায় অতি বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিকা নিতে দেখা যায়। তবে কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা বড় মহেশখালী ইউনিয়নে টিকা নিতে আসা সকলে পেয়েছেন নাস্তার প্যাকেট। যা অন্য কোন ইউনিয়নে দেখা মিলেনি। ফলে মানুষ আরও টিকা নিতে ছুটে আসছেন।

দীর্ঘক্ষণ লাইনে থাকতে হলেও স্বতঃস্ফূর্তভাবে সবাই টিকা নিয়েছেন।

কথা হয় লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ডেজি আকতারের সাথে। বয়স ৫২ বছর। অনেক বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিকা নিতে এসেছেন। তিনি বলেছেন, পাহাড়ী দ্বীপে দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। করোনায় মৃত্যু বরণ করেছেন পাঁচ জন। করোনা থেকে বাঁচতে টিকা নেওয়া প্রয়োজন।

জয়নাল আবেদিন বলেন, সরকান বিনামূল্যে ভ্যাকসিন দিচ্ছেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে টিকা নিতে ভাল লাগছে। অন্যদের ও টিকা নিতে তিনি আহবান জানান।

বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাল বাবুল বলেন, বয়স্করা অনেক কষ্টে বৃষ্টি উপেক্ষা করে টিকা নিতে আসছেন। তাদের উদ্বুদ্ধ করার এই আয়োজনটি করা হয়েছে। টিকা গ্রহণকারী ৬০০ জনসহ ৮০০ জনকে নাস্তা দেওয়া হয়েছে। টিকার ক্যাম্পেইন পর্যন্ত এটা চলমান থাকবে বলেও জানান তিনি।

error: Content is protected !!
Exit mobile version