Home Islamic তারাবি ও জামাতে নামাজ আদায়ে নতুন নির্দেশনা

তারাবি ও জামাতে নামাজ আদায়ে নতুন নির্দেশনা

4
তারাবি ও জামাতে নামাজ

তারাবি ও জামাতে নামাজ আদায়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে সরকার। করোনা নিয়ন্ত্রণে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে সারাদেশে সাত দিনের ‘কঠোর লকডাউন’। লকডাউনের পর দিন থেকে মুসলমানদের সিয়াম সাধনার মাস রমজান শুরু হবে। এই রমজানে দেশের সব মসজিদে তারাবির নামাজসহ পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ চালু থাকবে। তবে এতে অংশ নিতে পারবেন ইমাম, মুয়াজ্জিনসহ মোট ২০ জন মুসল্লি।

আজ ১২ এপ্রিল (সোমবার) সন্ধ্যায় ধর্ম মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। করোনা (কোভিড-১৯) পরিস্থিতি খারাপের দিকে যাওয়ায় তারাবি ও জামাতে নামাজ আদায়ে নতুন নির্দেশনার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতিতে তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদেমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তেও সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবে।

এ ছাড়া জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে অংশগ্রহণ করতে হবে।
এর সঙ্গে ইতিঃপূর্বে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জারি হওয়া মসজিদে জুমা ও গণজামায়েত বিষয়ক নির্দেশনা কার্যকর থাকবে। এ ছাড়া রমজান মাসে ইফতার মাহফিলের নানে কোনো ধরনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা যাবে না।

এদিকে বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস ভয়াবহ আকার ধারণ করায় পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে যথাযথ সুরক্ষা ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে ১৪ এপ্রিল হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত মসজিদে নামাজ আদায়ে বেশ কিছু নির্দেশনা জারি করেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

তারাবি ও জামাতে নামাজ আদায়ে নতুন নির্দেশনা এর মধ্যে রয়েছে-

  • তারাবির নামাজে খতিব, ইমাম, হাফেজ, মুয়াজ্জিন ও খাদিমসহ সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
  •  মসজিদে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের প্রতি ওয়াক্তে সর্বোচ্চ ২০ জন মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন।
  • জুমার নামাজে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন।

এতে আরও বলা হয়, প্রাণঘাতি করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইন শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে উল্লিখিত নির্দেশনা বাস্তবায়ন করবে।

ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে মুসল্লিদের পবিত্র রমজানে তিলাওয়াত ও যিকিরের মাধ্যমে মহান আল্লাহর রহমত ও বিপদ মুক্তির জন্য দোয়া করার অনুরোধ করা হয়েছে।

আরও পড়ুনঃ

4 COMMENTS

  1. […] আবার ‘রোযা’ শব্দটি ফার্সি শব্দ রোয (দিবস) থেকে উদ্গত। যেহেতু এই সাধনা পূর্ণ দিবস ব্যাপৃত সে কারণে ফার্সীতে রোযা বলে। ‘সাওম’ শব্দের বহুবচন হচ্ছে সিয়াম অর্থাৎ বিরত থাকা। […]

Comments are closed.

error: Content is protected !!
Exit mobile version