Monday, April 29, 2024
HomeNewsইতিহাস গড়ে হারালেন জামানত; ১ কেন্দ্রে ০৮ টি ভোট পাওয়ার রেকর্ড

ইতিহাস গড়ে হারালেন জামানত; ১ কেন্দ্রে ০৮ টি ভোট পাওয়ার রেকর্ড

এম.কাইছারুল ইসলামঃ

সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দুই বার স্থগিতের পর ২০ সেপ্টেম্বর সম্পন্ন হলো মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন।

এর মধ্যে মাতারবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও গেলো নির্বাচনের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মোহাম্মদ উল্লাহ’র (আনারস প্রতীক) জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার খবরে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

জানা গেছে , তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯০২। নির্বাচন কমিশনের আইন অনুযায়ী প্রাপ্ত ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাওয়ায় তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে।

এছাড়াও মাতারবাড়ীতে আরো পাঁচ জনের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে। তাঁরা হলেন- অটোরিক্সা প্রতীকের প্রার্থী ওসমান গণি, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৪২। চশমা প্রতীকের প্রার্থী সেলিম কুতুব উদ্দিন, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩৬। ঘোড়া প্রতীকের প্রার্থী মোস্তাক আহমদ,তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৪৯। রজনীগন্ধা প্রতীকের প্রার্থী মোহাম্মদ কাউসার,তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৩৬। হাতপাখা প্রতীকের প্রার্থী হাফেজ ইলিয়াস, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১৭৭।

স্থানীয়রা জানান, মাতারবাড়ীর ইতিহাসে এটি প্রথম বিরল ঘটনা। অতীতে এমন ঘটনা কোনদিন ঘটেনি। বিগত ৫ বছরের তাঁর শাসনামলে মাতারবাড়ি কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ সরকারের মেগা প্রকল্পে স্হানীয়দের চাকরি সহ তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তাঁর ভূমিকা নিয়ে নানান সমস্যার কারণে এমনটাই হয়েছে বলে জানান তাঁরা।

একজন চলমান চেয়ারম্যান হয়ে এমন ফলাফল নিয়ে উদ্বিগ্ন জনসাধারণ।

তারা আরো বলেন, এমনকি ভোটের ফলাফল অনুযায়ী ০৫ নং ওয়ার্ডে হাফেজ ইলিয়াস’র (হাতপাখা) কাছে বর্তমান চেয়ারম্যান ০৬ ভোটে পরাজিত হয়েছে। ভোটের ফলাফলে চেয়ারম্যান মোহাম্মদ উল্লাহ আনারস প্রতীকে ০৮ ভোট পেলেও, হাফেজ ইলিয়াস (হাতপাখা) প্রতীকে ১৪ ভোট নিয়ে মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ’র চেয়ে এগিয়ে।

এ ইউনিয়নে নির্বাচিত হয়েছেন নৌকার প্রার্থী এস এম আবু হায়দার। তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৬১৩১। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী এনামুল হক চৌধুরী রুহুল। তিনি টেলিফোন প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫৯৫১ ভোট।

এনামুল হক চৌধুরী রুহুল বলেন, আমি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়েছি। ষড়যন্ত্রমূলক আমাকে হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।জনগণের ভালোবাসায় আমি সারাজীবন থাকতে চাই।

এ বিষয়ে মহেশখালী উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ জুলকার নাইম বলেন, নিয়ম অনুযায়ী নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার সময় প্রত্যেক প্রার্থীকে সরকারি কোষাগারে ৫ হাজার টাকা করে জামানত হিসেবে জমা দিতে হয়। সেই জামানতের টাকা ফেরত পেতে ওই ইউনিয়নের সব ভোটকেন্দ্রে (কাস্টিং ভোট) পড়া মোট ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ বা ১২.৫ শতাংশ ভোট পেতে হয়। যদি মোহাম্মদ উল্লাহ ভোটের ৮ ভাগের ১ ভাগ ভোট না পাই,তাহলে তাঁর জামানত বাজেয়াপ্ত হবে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচনে জামানত বাজেয়াপ্ত হওয়ার ঘটনাটির সত্যতা স্বীকার করেন চেয়ারম্যান মাস্টার মোহাম্মদ উল্লাহ।

Related News
- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!