করোনার সংক্রমণ রোধে দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর প্রশাসন ও থানা পুলিশের অবস্থান ছিলো হার্ডলাইনে। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে শুরু থেকে প্রশাসনের কড়া নজরদারি ছিলো পুরো উপজেলা জুড়ে। ছিল mobile court অভিযান।
জানা যায়, করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ মাহ্ফুজুর রহমান এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলমগীর সোহেলের নেতৃত্বে চলমান ছিলো ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান।
উপজেলা প্রশাসনের তথ্যমতে, গত এপ্রিল মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানে ১শ ৪১টি মামলায় ১শ ৪৫ জনকে ৫১ হাজর ৪০০ টাকা জরিমানা আদায় করেন।
এছাড়াও সহকারী কমিশনার (ভূমি) আলমগীর সোহেলের নেতৃত্বে mobile court এর অভিযান পরিচালনা করে ১৮ দিনে ১শ ৩৪টি মামলায় ১শ ৩৪ জনকে ৫৬ হাজার ৪৭০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের পাশাপাশি মহেশখালী থানা পুলিশও মাঠে ছিলো শক্ত অবস্থানে। মহেশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই ও ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবালের নেতৃত্বে মাঠে ছিলো থানা পুলিশ।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে জনগণের মাঝে জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে থানা পুলিশের গাড়ি দিয়ে মাইকিং করে পুরো মহেশখালী উপজেলায় প্রচার প্রচারণা চালানো হয় এবং বিনামূল্যে মাস্ক বিতরণ করা হয়।
এছাড়াও, করোনা পজিটিভ রোগীদের বাড়ি লকডাউন করা, তাঁদের বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছানো থেকে শুরু করে করোনায় ক্ষতিগ্রস্ত কর্মহীন হতদরিদ্রদের মাঝে সরকারি ত্রাণ সহযোগিতা করা হয়।
অভিযান পরিচালনায় উপজেলা প্রশাসনকে সার্বিক সহযোগিতা করেন মহেশখালী থানা পুলিশ, বাংলাদেশ আনসার সহ স্হানীয় জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীরা।
উপজেলা প্রশাসনকে করোনায় এই ক্রান্তিলগ্নে সার্বিক সহযোগিতা করায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহ্ফুুজুর রহমান।