কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেলের নির্দেশে এবং মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব সাজেদুল করিমের দিকনির্দেশনায় কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দিল বড় মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও এমইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির আলোকে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেলের নির্দেশে মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব সাজেদুল করিমের দিকনির্দেশনায় এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়।
২৯ এপ্রিল (বৃহস্পতিবার) উপজেলার ফকিরা ঘোনা গ্রামের দুইজন অসহায় কৃষকের তিন কানি জমিনের পাকা ধান সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত কেটে দেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা। কাটার পর কৃষকের বাড়িতে ধান পৌঁছে দেয়ার কাজটি ও করেন তারা।
যুবলীগের জনসম্পৃক্ত এমন কর্মকান্ড ইতোমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে সর্বমহলে।
সূত্রে জানা যায়, গ্রামের পরিবারগুলোর অধিকাংশই কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। করোনাকালে আয় না থাকায় তারা খুবই কষ্টে পড়ে যায়। পাকা ধান জমিতে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। শ্রমিকের মজুরির অভাবের কারণে পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। কৃষকের দূর্দশার কথা খবর পেয়ে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও এমইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্ব দুইজন কৃষকের পাকা ধান কেটে তা কৃষকের ঘরে তুলে দেন যুবলীগের নেতাকর্মীরা।
কৃষকরা বলেন, অর্থের অভাবে পাকা ধান কাটতে পারছিলাম না। জমিতে নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা ছিল। আজকে যুবলীগের নেতাকর্মীরা যেভাবে ধান কাটতে সাহায্য করেছেন তা কখনো ভূলার মতো নয়।
এসময় বড় মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও এমইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টুর নেতৃত্বে বড় মহেশখালী বিভিন্ন ওয়ার্ডের অসংখ্য নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
বড় মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও এমইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টু বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে কক্সবাজার জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর ও সাধারণ সম্পাদক শহিদুল হক সোহেলের নির্দেশে এবং মহেশখালী উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক আলহাজ্ব সাজেদুল করিমের দিকনির্দেশনায় যুবলীগের নেতা-কর্মীরদের নিয়ে দরিদ্র কৃষকের পাকা ধান ঘরে তুলে দেওয়ার কার্যক্রম চলছে এবং এই কার্যক্রম ভবিষ্যতেও চলমান থাকবে। তিনি একজন জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে জনগণের সেবক হয়ে কাজ করে যাবেন বলে দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
এ সময় তিনি করোনা ভাইরাসের এই ক্রান্তিলগ্নে মহেশখালীর বিভিন্ন অঞ্চলের দরিদ্রকৃষক, যারা পাকা ধান ঘরে তুলতে শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে চিন্তিত, তাদেরকে মহেশখালী উপজেলা মহেশখালী উপজেলা যুবলীগ সহ স্থানীয় ইউনিয়ন নেতাকর্মীদের সাথে যোগাযোগ করার আহব্বান জানান তিনি।
উক্ত কার্যক্রমের পাশাপাশি অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ত্রাণ ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ চলমান রাখবেন বলেও জানান।
এছাড়া মহেশখালীর প্রত্যন্ত অঞ্চলের দরিদ্র কৃষক ও হতদরিদ্রদের পাশে থাকতে যুবলীগের নেতা কর্মীদের প্রতি আহব্বান জানান।
ধান কাটার কার্যক্রমে অংশ নিতে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে ছুটে আসেন যুবলীগের অসংখ্য নেতা কর্মীরা।
বড় মহেশখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও এমইউপি সদস্য জিল্লুর রহমান মিন্টু ইতিমধ্যে সমাজের অসহায় হতদরিদ্র ছিন্নমূল পরিবারের মাঝে ত্রাণ বিতরণ, গরিব ও মেধাবী ছাত্র /ছাত্রীদের শিক্ষা উপকরণ বিতরণ, অসহায় কৃষকের পাকা ধান কেটে ঘরে তুলে দেওয়া, দুর্যোগ মোকাবেলায় অসহায়দের সাহায্য, বৈশ্বিক মহামারী করোনা ভাইরাস রক্ষায় জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম, মাস্ক, স্যানিটাইজার, সাবান সহ সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ, পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান সহ বেশ কিছু জনসেবা ও জনসচেতনতামূলক কার্যক্রম করে সাধারণ জণগণের প্রশংসায় ভাসছেন।
তার এ ধান কাটা, ইফতার সামগ্রী বিতরণ সহ বিভিন্ন কর্মসূচি চলমান রয়েছে এবং থাকবে বলেও জানা যায়।