স্পোর্টস ডেস্কঃ
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে একাদশে পড় পরিবর্তন এনেছে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনিংয়ে জশ ফিলিপির জায়গায় সুযোগ পেয়েছেন বেন ম্যাকডারমট। মূল স্ট্রাইক বোলার মিচেল স্টার্ককে বিশ্রাম দিয়ে একাদশে আনা হয়েছে পেস বোলিং অলরাউন্ডার ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানকে। তাতে অস্ট্রেলিয়া বোলিং শক্তি কমেছে একটু, বেড়েছে ব্যাটিং শক্তি। সিরিজের আগের দুই ম্যাচে ব্যাটিং নিয়েই ধুঁকেছে দলটি।
অস্ট্রেলিয়ার আরেকটি পরিবর্তন পেস আক্রমণে। অ্যান্ড্রু টাই চলে গেছে বাইরে, অভিষেক হচ্ছে পেসার ন্যাতান এলিসের।
এই সফরে এলিস দলে ছিলেন রিজার্ভ হিসেবে। পরে রাইলি মেরেডিথের চোটে তার জায়গা হয় মূল স্কোয়াডে। এবার ঢুকে গেলেন একাদশেও।
২৬ বছর বয়সী এলিস এখনও পর্যন্ত খেলেছেন ৩১ ম্যাচ, উইকেট ৩৩টি। গত বিগ ব্যাশে তিনি নজর কাড়েন ১৪ ম্যাচে ২০ উইকেট নিয়ে। ডেথ ওভারে বেশ কার্যকর মনে করা হয় তাকে।
প্রথম ম্যাচে ১৩১ রানের সম্বল নিয়েও জিতেছিল বাংলাদেশ। সেটা ছিল নিজেদের সবচেয়ে কম রান করে জেতার রেকর্ড। আজ তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে জিততে হলে সে রেকর্ডটাও ভাঙতে হতো মাহমুদউল্লাহর দলকে। বৃষ্টিতে দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে যে ১২৭ রানেই গুটিয়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ!
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে শেষ পর্যন্ত রেকর্ড গড়েই অস্ট্রেলিয়াকে বাংলাদেশ হারিয়েছে ১০ রানে। আর এই জয়ে পাঁচ টি-টোয়েন্টির সিরিজ বাংলাদেশ নিশ্চিত করে ফেলল দুই ম্যাচ বাকি থাকতেই। আগামীকাল ও ৯ আগস্টের শেষ দুটি ম্যাচ এখন শুধুই আনুষ্ঠানিকতা।
অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই ম্যাথু ওয়েডকে নাসুম আহমেদ ফিরিয়ে দিলেও মিচেল মার্শ এবং বেন ম্যাকডারমটের জুটি অস্ট্রেলিয়াকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছিল অনেক দূর। এরপর গুরুত্বপূর্ণ সময়ে সাকিব আল হাসানের দেওয়া ব্রেক থ্রু, পরে মোস্তাফিজুর রহমান-শরীফুল ইসলামের দুর্দান্ত ডেথ ওভারের বোলিংয়ে শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি হেসেছে বাংলাদেশই।
সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে পরিবর্তন এনেও শেষ রক্ষা হলো না অস্ট্রেলিয়ার। মুস্তাফিজের দারুণ বোলিং ও মাহমুদউল্লাহের অগ্নি পরীক্ষায় ৫ ম্যাচ টি-টুয়েন্টি সিরিজে দুই ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ নিশ্চিত করলো টাইগাররা।
শেষ ওভারে প্রয়োজন ২২ রান, মেহেদি হাসানের প্রথম বলেই শর্ট পেয়ে ছক্কা মেরে ম্যাচ জমিয়ে দেন অ্যালেক্স কেয়ারি। পরের বলে আসে ১ রান। তৃতীয় বলে রান নেই। পরের বলটি নো বল করে বসে মেহেদি। আবার জমে ওঠে নাটকীয়তা। তবে শেষ পর্যন্ত স্নায়ুর চাপ জয় করে ম্যাচ শেষ করেন মেহেদি।
শেষ ওভার থেকে অস্ট্রেলিয়া নিতে পারে ১১ রান। বাংলাদেশ জিতে যায় ১০ রানে।
২ ওভারে যখন প্রয়োজন ২৩, চোঁখধাধানো সব কাটারে মুস্তাফিজুর রহমান রান দিলেন মাত্র ১! বারবার ব্যাট চালিয়েও ব্যাটে-বলেই করতে পারলেন না ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ান।
আগের দুই ম্যাচের অসাধারণ এক স্পেল উপহার দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে শেষ ২ ওভারে রান দেন মাত্র ৫।
কোনো উইকেট পাননি মুস্তাফিজ, কিন্তু ৪ ওভারে রান দিয়েছেন কেবল ৯!
এদিকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় বাধা সরালেন শরিফুল ইসলাম। ফিরিয়ে দিলেন ফিফটি করা মিচেল মার্শকে।
দ্রুত রানের চেষ্টায় শরিফুলকে টার্গেট করতেই হতো অস্ট্রেলিয়ার। মার্শ বড় শটের চেষ্টা করেন ডাউন দা উইকেটে গিয়ে। তাকে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে দেখেই খাটো লেংথে বল টেনে দেন শরিফুল। ব্যাট চালান মার্শ, কিন্তু টাইমিং করতে পারেননি। লং অফ থেকে ছুটে এসে ক্যাচ নেন মোহাম্মদ নাঈম শেখ।
৪৭ বলে ৫১ করে আউট হলেন মার্শ। অস্ট্রেলিয়ার রান ১৭.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৯৪।
অপরদিকে নতুন স্পেলে ফিরেই উইকেটের দেখা পেলেন শরিফুল ইসলাম। তার স্লোয়ারে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড অনে ক্যাচ তুলে দিলেন মোইজেস হেনরিকেস। ৩ বলে ২ রানে আউট হেনরিকেস। অস্ট্রেলিয়া ১৪.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৪।
জীবন পেয়ে সুযোগটা সেভাবে কাজে লাগাতে পারলেন না বেন ম্যাকডারমট। সাকিবকে স্লগ করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে গেলেন তিনি ৪১ বলে ৩৫ রান করে।
আগের ওভারে মুস্তাফিজ মাত্র ১ রান দেওয়ায় একটু চাপে পড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ম্যাকডারমটের উইকেট হয়তো সেটিরই ফসল। সাকিবের স্টাম্প সোজা বলে স্লগ করতে গিয়ে ঠিকমতো ব্যাটে-বলে করতে পারেননি। বল তার ব্যাটের কানায় লেগে আঘাত করে স্টাম্পে।
১৩.২ ওভারে অস্ট্রেলিয়া ২ উইকেটে ৭১। নতুন ব্যাটসম্যান মোইজেস হেনরিকেস।
জুটি ভাঙতে মুস্তাফিজুর রহমানকে আক্রমণে আনেন অধিনায়ক। প্রথম বলেই তিনি পেতে পারতেন উইকেট। কিন্তু বেন ম্যাকডারমটের সহজ ক্যাচ ছেড়ে দিলেন শরিফুল ইসলাম।
শর্ট অব লেংথ কাটারটিতে ব্যাট চালালেও টাইমিং বরতে পারেননি ম্যাকডারমট। বল উড়ে যায় স্কয়ার লেগ সীমানায় শরিফুলের কাছে। বলের নিচে গিয়ে তিনি বল হাতে নিলেও তা পড়ে যায়।
সিরিজে প্রথমবার পাওয়ার প্লেতে একটির বেশি উইকেট হারায়নি অস্ট্রেলিয়া। তবে বাংলাদেশ খুব বেশি রানও করতে দেয়নি তাদের। ৬ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার রান ১ উইকেটে ২০।
সিরিজে দুই দল মিলিয়ে ৬ ইনিংসে পাওয়ার প্লেতে সবচেয়ে কম রান এটিই।
সাকিব আল হাসানের বলে মিচেল মার্শকে আউট দিয়েছিলেন আম্পায়ার শরফুদ্দৌলা। তবে রিভিউ নিয়ে টিকে রইলেন মার্শ।
সাকিবের স্পিন করে বেরিয়ে যাওয়া বলে অফ সাইডে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন মার্শ। বল তার ব্যাটকে ফাঁকি দিয়ে যায় কিপারের গ্লাভসে। আবেদনে সাড়া দেন আম্পায়ার। মার্শ রিভিউ নিতে সময় নেন খুব একটা। রিভিউয়ে দেখা যায়, ব্যাট থেকে বেশ দূরে ছিল বল।
প্রথম ম্যাচে যেভাবে ম্যাথু ওয়েডকে আউট করেছিলেন নাসুম আহমেদ, অনেকটা একইভাবেই এই বাঁহাতি স্পিনার আবার ফেরালেন ওয়েডকে। দ্বিতীয় ওভারে বাংলাদেশ পেল প্রথম উইকেটের দেখা।
প্রথম ম্যাচে লেগ স্টাম্পের শর্ট বলে বাজে শটে শর্ট ফাইন লেগে ক্যাচ দিয়েছিলেন ওয়েড। এবারের বলটি ছিল মিডল স্টাম্পে। ওয়েড শরীর ঘুরিয়ে পুল করার চেষ্টা করেন সজোরে। কিন্তু বল বাড়তি লাফিয়ে তার ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে সহজ ক্যাচ যায় সেই শর্ট ফাইন লেগেই।
জশ ফিলিপি না থাকায় অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটিতে পরিবর্তন আসতোই। তবে শুধু এক প্রান্তে নয়, বদলটা এলো দুই পাশেই। একাদশে আসা বেন ম্যাকডারমটের সঙ্গে ইনিংস শুরু করলেন অধিনায়ক ম্যাথু ওয়েড। আগের দুই ম্যাচে মিডল অর্ডারে ব্যাট করেন ওয়েড।
ইনিংস শেষ তিন বলে ন্যাথান এলিসের হ্যাটট্রিকে বাংলাদেশের রান ছুঁতে পারল না ১৩০। সিরিজ জিইয়ে রাখতে অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য শেষের ওই হ্যাটট্রিকে সফলতম বোলার এলিস। তবে সেরা বোলার ছিলেন নিঃসন্দেহে জশ হেইজেলউড। ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে নেন তিনি ২ উইকেট।
অভিষেকে হ্যাটট্রিক!
টানা তিন বলে উইকেট নিয়ে অভিষেক স্মরণীয় করে রাখলেন ন্যাথান এলিস। মাহমুদউল্লাহ ও মুস্তাফিজের পর তার শিকার মেহেদি হাসান।
ইনিংসের সেটি শেষ বল। হ্যাটট্রিক ঠেকানোর চেয়ে দলের রান বাড়ানোর ভাবনাই ছিল মেহেদির বেশি। শর্ট অব লেংথ স্লোয়ার বলে পুল করেন মেহেদি। কিন্তু জোর পাননি শটে। স্কয়ার লেগ সীমানায় ক্যাচ নেন অ্যাশটন অ্যাগার। হ্যাটট্রিক আনন্দে ডানা মেলে দেন এলিস।
১১ বলে ৬ রানে আউট মেহেদি। বাংলাদেশ থামল ১২৭ রানে।
প্রথম বোলার হিসেবে টি-টোয়েন্টি অভিষেকে হ্যাটট্রিক করলেন এলিস। সব মিলিয়ে টি-টোয়েন্টিতে এটি সপ্তদশ হ্যাটট্রিক, অস্ট্রেলিয়ার হয়ে তৃতীয়।
প্রথম উইকেটের হাত ধরে আরেকটি শিকারের দেখা পেলেন ন্যাথান এলিস। উইকেটে গিয়ে লেগ সাইডে উড়িয়ে মারেন মুস্তাফিজ। টাইমিং হয়নি ঠিকমতো। মিড উইকেটে ক্যাচ নেন মিচেল মার্শ। মুস্তাফিজ আউট প্রথম বলেই।
ফিফটির পরের বলেই আউট মাহমুদউল্লাহ। অভিষিক্ত ন্যাথান এলিস পেলেন প্রথম উইকেটের দেখা। এলিসের ফুল লেংথ বলটিতে ক্রস ব্যাটে উড়িয়ে মারার চেষ্টা করেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাটে-বলে হয়নি। বল ছোবল দেয় স্টাম্পে। মাহমুদউল্লাহ আউট হলেন ৫৩ বলে ৫২ রান করে।
ঠান্ডা মাথার খুনি মাহমুদউল্লাহ!
মাহমুদউল্লাহর ৫২ বলের ফিফটি বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে ধীরগতির ফিফটি। আগেরটি ছিল ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বুলাওয়ায়োতে শামসুর রহমানের ৪৭ বলের ফিফটি।
বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চাশ ছোঁয়া ইনিংসগুলোর মধ্যে সবচেয়ে কম স্ট্রাইক রেটের ইনিংসও মাহমুদউল্লাহর এটি। ৫৩ বলে ৫২ করেছেন তিনি, স্ট্রাইক রেট ৯৮.১১।
আগের রেকর্ডটি ছিল তামিম ইকবালের। ২০১২ সালে নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তার ৪৬ বলে ৫০ রানের ইনিংসে স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৮.৬৯।
ন্যাথান এলিসের স্লোয়ার ডেলিভারিতে দারুণ শটে চার মেরে মাহমুদউল্লাহ স্পর্শ করলেন ফিফটি। ৫২ বলে এলো তার পঞ্চাশ।
টি-টোয়েন্টিতে তার পঞ্চম ফিফটি এটি, অধিনায়ক হিসেবে ২০ ম্যাচে প্রথম।
অস্ট্রেলিয়ানদের দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের শিকার বাংলাদেশের আরেক ব্যাটসম্যান। এবার সরাসরি থ্রোয়ে বিদায় নিলেন নুরুল হাসান সোহান।
উইকেটে যাওয়ার পর থেকে দারুণ আত্মবিশ্বাসী খেলছিলেন সোহান। জ্যাম্পাকে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছক্কাও মারেন দারুণ এক শটে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে দ্রুত সিঙ্গেল-ডাবল নেওয়ার চেষ্টা করছিলেন। সেই চেষ্টায়ই হারাতে হলো উইকেট।
ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের বলে আলতো ড্রাইভ করেই রান নিতে ছোটেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু বল সরাসরি যায় কাভার ফিল্ডারের দিকে। সেটা দেখে একটু থমকে যান সোহান।
পরে মাহমুদউল্লাহর ডাকে সাড়া দিতে ছোটেন আবারও। কিন্তু কাভার থেকে সরাসরি থ্রোয়ে স্টাম্পে লাগান মোইজেস হেনরিকেস।
এরপর নুরুল হাসান সোহানের ওপরে ব্যাটিংয়ের সুযোগ পেয়ে কাজে লাগাতে পারলেন না শামীম হোসেন। হেইজেলউডের বলে ক্রস ব্যাটে খেলে আউট হলেন তিনি ৮ বলে ৩ রান করে।
হেইজেলউডের বলটি পুল করার মতো শর্ট ছিল না। স্কিড করা লেংথ বলে ক্রস ব্যাটে অন সাইডে চালান শামীম। বল ব্যাটের ওপরের দিকে লেগে উঠে যায় ওপরে। শর্ট মিড উইকেট থেকে পেছনে দিকে খানিকটা দৌড়ে ক্যাচ নেন বেন ম্যাকডারমট।
১৩.৪ ওভারে বাংলাদেশ ৫ উইকেটে ৮১। নতুন ব্যাটসম্যান সোহান।
আগের দুই ম্যাচে দুটি কার্যকর ইনিংস খেলা আফিফ হোসেন শুরু করেছিলেন এবারও। কিন্তু তাকে থামতে হলো ঝুঁকিপূর্ণ একটি সিঙ্গেলের চেষ্টায় রান আউট হয়ে।
ক্রিজে যাওয়ার কিছুক্ষণ পর অ্যাশটন অ্যাগারকে ছক্কা হাঁকানো আফিফ পরের ওভারে ন্যাথন এলিসকে মারেন চার। গতি পায় বাংলাদেশের ইনিংস। জমে যাচ্ছিল তার সঙ্গে অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর জুটি। সেটা ভাঙল অ্যালেক্স কেয়ারির দারুণ ফিল্ডিংয়ে।
ড্যানিয়েল ক্রিস্টিয়ানের বল কাভারে পাঠিয়েই রানের জন্য ছুটেন আফিফ। ঝাঁপিয়ে বল মুঠোয় নিয়ে সরাসরি থ্রোয়ে বেলস ফেলে দেন কেয়ারি। স্ই করার জন্য কেবল এক স্টাম্প দেখছিলেন তিনি।
১৩ বলে একটি করে ছক্কা ও চারে ১৯ রান করেন আফিফ।
১২ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪ উইকেটে ৭৬। নতুন ব্যাটসম্যান শামীম হোসেন।
রানের গতিতে মাত্রই দম দিতে শুরু করেছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু তাকে থামতে হলো বড় শটের চেষ্টায়। আক্রমণে ফিরে দলকে উইকেট এনে দিলেন অ্যাডাম জ্যাম্পা।
আগের ওভারেই মিচেল মার্শের বোলিংয়ে দারুণ এক ফ্লিকে চার মারেন মাহমুদউল্লাহ, সাকিব দুটি চার মারেন স্কুপ ও কাট করে। বিপজ্জনক জুটি ভাঙতে জ্যাম্পাকে বোলিংয়ে আনেন ম্যাথু ওয়েড। সাফল্য প্রথম বলেই।
জ্যাম্পার ঝুলিয়ে দেওয়া বল হাঁটু গেড়ে সোজা ব্যাটে উড়িয়ে মারেন সাকিব। কিন্ত মারে জোর হয়নি যথেষ্ট। লং অফ থেকে সামনে এগিয়ে ক্যাচ নেন অ্যাশটন অ্যাগার। সাকিবের প্রতিক্রিয়ায় হতাশা ফুটে ওঠে স্পষ্ট।
১৭ বলে ২৬ রান করে বিদায় নিলেন সাকিব। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি থামল ২৬ বলে ৪৪ রানে।
বাংলাদেশের রান ৮.১ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৭। নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন।
দুই ওপেনারকে হারানোর পর পাওয়ার প্লেতে আর কোনো উইকেট হারায়নি বাংলাদেশ। তবে রানও ওঠেনি খুব বেশি। ৬ ওভারে রান ২ উইকেটে ২৮।
বাউন্ডারি এসেছে কেবল দুটি। সাকিবের ব্যাট থেকেই এসেছে দুটি। ১০ বলে ১৪ রানে খেলছেন তিনি। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ খেলছেন ৯ রানে।
পঞ্চম ওভারে আক্রমণে অ্যাশটন অ্যাগার। তার প্রথম বলে চার মেরে দলকে ম্যাচের প্রথম বাউন্ডারি এনে দিলেন সাকিব আল হাসান।
বলটি ছিল স্টাম্পের বেশ বাইরে। শট খেলার মতোই। সাকিবের ড্রাইভে তবু বল উঠে যায় ওপরে। তবে বিপদ হয়নি। পয়েন্ট ও কাভার ফিল্ডারের মাঝ দিয়ে বল যায় বাউন্ডারিতে।