Friday, April 19, 2024
HomeHealthসেবার পরিধি বাড়াতে রক্ত কেন্দ্রে শয্যা সংযোজন - "রেড ক্রিসেন্ট "।

সেবার পরিধি বাড়াতে রক্ত কেন্দ্রে শয্যা সংযোজন – “রেড ক্রিসেন্ট “।

থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগীদের বিশুদ্ধ রক্ত পরিসঞ্চালনের মধ্য দিয়ে সেবার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ঢাকা রক্ত কেন্দ্র নতুন করে আরো ১২টি শয্যা সংযুক্ত করেছে। এর মধ্য দিয়ে রেড ক্রিসেন্ট ঢাকা রক্ত কেন্দ্র সর্বমোট ২৫টি শয্যার মাধ্যমে রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা দিতে সক্ষম হলো।
সোমবার সকালে সোসাইটির রক্ত কর্মসূচীর উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এর উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল এটিএম আবদুল ওয়াহ্হাব (অব.)। কেন্দ্রের থ্যালাসেমিয়া ওয়ার্ড ও ল্যাব পরিদর্শন করে তিনি বলেন, “সরকারের অনুমোদিত রক্তদান কেন্দ্র হিসেবে ১৯৮১ সাল থেকে রক্ত সংগ্রহ ও বিতরণ কার্যক্রম চালিয়ে আসছে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি। রেড ক্রিসেন্ট ঢাকা রক্ত কেন্দ্রের ১৩টি শয্যার মাধ্যমে সপ্তাহে ৬দিন থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সার ও অন্যান্য রোগীদের রক্ত পরিসঞ্চালন সেবা প্রদান করা হয়। নতুন করে শয্যা বৃদ্ধি করে এই সেবার পরিধি আরো বাড়াতে পেরে আমরা আনন্দিত।”
অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির মহাসচিব কাজী শফিকুল আযম বলেন, থ্যালাসেমিয়া রোগের চিকিৎসা পদ্ধতি খুবই জটিল এবং অত্যন্ত ব্যয়বহুল। রেড ক্রিসেন্ট রক্ত কেন্দ্রগুলো থ্যালাসেমিয়া, ক্যান্সারসহ জটিল রোগে আক্রান্ত মানুষের মাঝে বিশুদ্ধ রক্ত সরবরাহ করতে যে উদ্যোগ নিয়েছে তা ব্যায়বহুল এই চিকিৎসায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আমার বিশ্বাস। সুস্থ মানুষকে নিয়মিত রক্ত প্রদানেও আহ্বান জানান তিনি।
রেড ক্রিসেন্ট ঢাকা রক্ত কেন্দ্র আয়োজিত অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ব্যবস্থাপনা পর্ষদের সদস্য শিকদার নূর মোহাম্মদ দুলু, রক্ত কর্মসূচীর পরিচালক ইমাম জাফর শিকদার, জাতীয় সদর দপ্তরের বিভিন্ন বিভাগের পরিচালকবৃন্দ, আন্তর্জাতিক ফেডারেশন অব রেড ক্রস রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি (আইএফরআরসি) এর হেড অব ডেলিগেশন সঞ্জীব কাফলে সহ নিয়মিত রক্তদাতাবৃন্দ ও রক্তকেন্দ্রের কর্মকর্তারা। এসময় রেড ক্রিসেন্ট রক্ত কেন্দ্র থেকে নিয়মিত রক্ত গ্রহণকারী থ্যালাসেমিয়া রোগীরা তাদের ইতিবাচক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রক্ত কর্মসূচীর অধীনে সারাদেশে ৯টি রক্তকেন্দ্রের মাধ্যমে দেশের সর্বমোট চাহিদার প্রায় ১১ শতাংশ পূরণে সক্রিয়ভাবে কাজ করছে। প্রতিটি রক্ত কেন্দ্র সরকারের নিরাপদ রক্ত কর্মসূচীর গাইড লাইন অনুযায়ী স্বেচ্ছায় রক্তদানে উদ্বুদ্ধকরণ, রক্ত সংগ্রহ, রক্তে জীবাণু (হেপাটাইটিস বি, হেপাটাইটিস সি, এইচ আই ভি/এইডস, সিফিলিস ও ম্যালেরিয়া) পরীক্ষা, রক্ত সংরক্ষণ, ক্রস ম্যাচিং ও ডাক্তারের পরামর্শক্রমে রক্ত সরবরাহ করে থাকে। চারটি রক্ত কেন্দ্রে রক্তের উপাদান পৃথকীকরণের ব্যবস্থাসহ থ্যালাসেমিয়া রোগীদের নিয়মিতভাবে রক্ত পরিসঞ্চালন করার ব্যবস্থা রয়েছে।
সোসাইটির উদ্যোগে চলতি বছরে প্রায় ৬৫ হাজার ব্যাগ রক্ত ও রক্তের উপাদান সংগ্রহ এবং প্রায় ৮০ হাজার ব্যাগ রক্ত ও রক্তের উপাদান বিতরণ করা হয়েছে। থ্যালাসেমিয়া রোগীদের জন্য প্রায় ১০ হাজার ব্যাগ রক্ত, ডেঙ্গু রোগীদের জন্য প্রায় ৩ হাজার ব্যাগ প্লাটিলেট এবং শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ণ ইন্সটিটিউটে জরুরী ভিত্তিতে ফ্রেশ ফ্রোজেন প্লাজমা (এফএফপি) সরবরাহ করা হয়েছে। এছাড়াও কক্সবাজার এবং ভাসানচরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য পরিচালিত হাসপাতালে রক্ত ও রক্তের ব্যাগ সরবরাহ করার কাজ চলমান রয়েছে।
Related News
- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!