Thursday, April 25, 2024
HomeNewsযে কারণে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে এনায়েত উল্লাহ বাবুল

যে কারণে জনপ্রিয়তায় শীর্ষে এনায়েত উল্লাহ বাবুল

ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহানঃ কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুলের একান্ত প্রচেষ্টা ও স্বদিচ্ছায়। বদলে যাচ্ছে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন। সেই সাথে গণমানুষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল

দ্বীপ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বড় মহেশখালী নতুন বাজারের সব অলিগলি আর সি সি ঢালাই দ্বারা উন্নয়ন, নতুন বাজারের মাছের আড়তে টিন সেট স্হাপন, সাধারণ জণগণ সহ ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে বাজারে গভীর নলকুপ স্হাপন, বর্ষা মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের জন্য ড্রেন নির্মাণ করে সর্বস্তরের জনসাধারণের মন জয় করে নিয়েছেন।

প্রাপ্ত তথ্য মতে, বড় মহেশখালী নতুন বাজারের অলি গলি আর সি সি ঢালাইয়ের জন্য বাজার কমিটি কিংবা বাজার উন্নয়ন তহবিল নেই। বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুলের একান্ত প্রচেষ্টা ও স্বদিচ্ছায় বাজারের অলি গলির অভূতপূর্ব উন্নয়ন হচ্ছে, এবং এ উন্নয়ন চলমান অব্যাহত থাকবে।

ইতিমধ্যে জনগণের মৌলিক অধিকার শতভাগ নিশ্চায়ন ও স্হানীয় সরকার বিভাগ কর্তৃক ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিক সেবায় মহেশখালী উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়েএকধাপ এগিয়ে রয়েছে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ।

বড় মহেশখালী ইউনিয়নে জনপ্রিয় চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল’র আন্তরিক প্রচেষ্টায় বৈশ্বিক মহামারী করোনার পরিস্থিতিতেও থেমে ছিলো না নাগরিক সেবা।

বিভিন্ন সময় ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে দেখা যায়- জন্ম নিবন্ধন সনদ ‘র স্তূপ। জন্ম নিবন্ধন সনদে স্বাক্ষর করা সহ বিভিন্ন প্রত্যয়ন পত্র, পাসপোর্ট ভেরিফাই, এবং অন্যান্য আনুষাঙ্গিক কাজে ব্যস্ততম সময় পার করছেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহ সংশ্লিষ্ট সকলেই।

সমাজিক দুরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল, ইউপি সদস্য সহ ইউনিয়ন পরিষদের সচিব, গ্রাম আদালত সহকারী, তথ্য সেবা কেন্দ্রের পরিচালক ও গ্রাম পুলিশ সহ সংশ্লিষ্টরা।

বিনামূল্য ও কোনো প্রকার হয়রানি ছাড়া নাগরিক সেবা প্রদানে সাধারণ জণগণের প্রশংসায় ভাসছেন বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল সহ ইউনিয়ন পরিষদের সংশ্লিষ্টরা। তড়িৎ গতিতে নাগরিক সেবা পেয়ে স্থানীয় জন সাধারণ মনে করেন, নাগরিক সেবায় একধাপ এগিয়ে গেছে বড় ইউনিয়ন পরিষদ।

ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত থেকে শুরু করে জন্ম নিবন্ধন সনদ (Birth Registration Certificate) প্রদান সহ বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পঙ্গু ভাতা, করোনা পরিস্থিতিতে সরকার কর্তৃক ত্রাণ বিতরণ, জেলেদের মাঝে চাল বিতরণ সহ জনগণের মৌলিক অধিকার শতভাগ নিশ্চায়ন করে সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন তিনি।

ইউনিয়ন পরিষদ হলো রাষ্ট্র পরিচালনার গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ইউনিয়ন পরিষদ কে স্হানীয় সরকার বিভাগ বলা হয়ে থাকে।

গ্রামাঞ্চলের প্রত্যন্ত জনপদে সরকারের সুযোগ সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এই ‘স্থানীয় সরকার’ তথা ইউনিয়ন পরিষদের অন্যতম কাজ।

সরকারের উপর জনগণের আস্থা, বিশ্বাস, ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত সবকিছুই ইউনিয়ন পরিষদের কর্মকাণ্ডের উপর নির্ভর।

বিগত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত হয়ে অদ্যবধি পর্যন্ত সততা ও নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে আসছেন- মহেশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সাবেক সফল চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মরহুম সিরাজুল হক চেয়ারম্যানের সুযোগ্য সন্তান আলহাজ্ব শা আ ম এনায়েত উল্লাহ বাবুল।

তিনি নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকে বড় মহেশখালী ইউনিয়ন কে কিভাবে ঢেলে সাজিয়েছেন- তা এই ছোট্ট লেখায় তুলে ধরা সম্ভব না।

চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল এর মাদ্রাসায় অনুদান
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল এর মাদ্রাসায় অনুদান

তা-ই ছোট্ট পরিসরে ইউনিয়ন পরিষদ ও তার নিজ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তুলে ধরার চেষ্টা করবো।

ইউনিয়ন পরিষদ সংক্রান্ত সেবাঃ

১. বিগত সময়ে যারা অত্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্বরত ছিলেন, তারা অনেকেই কক্সবাজার জেলা শহরে অবস্থান করতো। ফলে, সঠিক সময়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রে চেয়ারম্যান এবং মেম্বারের স্বাক্ষর সহ সত্যায়িত করতে কক্সবাজার যেতে হতো, না হয়- সাপ্তাহের নির্দিষ্ট যেকোনো একদিন অপেক্ষা করতে হতো। আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকে জনগণের সে-ই দূর্দশা দুঃখ লাঘব করেছেন।

২. বিগত সময়ে যেকোন ধরণের সনদ যেমনঃ জন্ম নিবন্ধন সনদ, মৃত্যু সনদ, নাগরিকত্ব সনদ, ওয়ারিশ সনদ সহ ইত্যাদি উত্তোলনের ক্ষেত্রে নানান জটিলতাহীন এবং মোটা অংকের টাকা গুনতে হতো।

আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকে- জন্ম নিবন্ধন সনদে সরকারি নির্ধারিত ফিঃ ১০০/-, মৃত্যু সনদে ৫০/-, ওয়ারিশ সনদে ১৫০/-, প্রত্যয়নপত্রে ৩০/- টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছেন।

৩. তিনি চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সর্বস্তরের জনসাধারণের জন্য জাতীয়তা সনদপত্র বিনামূল্যে সম্পূর্ণ ফ্রী প্রদান করে আসছেন। সে-ই সাথে অসহায় হতদরিদ্র পরিবার গুলোর জন্য বিনামূল্যে জন্ম নিবন্ধন সনদও ফ্রী প্রদানের কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

৪. স্হানীয় সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত অনুদান, নগদ টাকা, ভিজিডি, ভিজিএফ সহ নানান কর্মসূচিতে প্রকৃত হতদরিদ্রদের মাঝে সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে বন্টনের ব্যবস্হা করেছেন।

৫. নিয়মিত গ্রাম আদালত পরিচালনার মাধ্যমে সসাজে সৃষ্ট বিভিন্ন সমস্যার সমাধান দ্রুত সমাধানের নিমিত্তে গ্রাম আদালত কার্যক্রম চলমান রয়েছে। যা বিগত সময়ে অনেকটা নেই বললেও চলে।

চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল এর তথ্যাবদানে কবরস্থানে দেওয়াল নির্মাণ
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল এর তথ্যাবদানে কবরস্থানে দেওয়াল নির্মাণ

৬. তিনি নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের প্রত্যন্ত অঞ্চলে গ্রামীণ সড়ক ব্রিক সলিং দ্বারা উন্নয়ন, সংস্কার ও সম্প্রসারণ সহ কালভার্ট স্হাপনের মাধ্যমে গ্রামীণ অবকাঠামোর উন্নয়ন সাধিত করেছেন।

৭. উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বড় মহেশখালী নতুন বাজারের মাছ বাজার, কাচা বাজারে টিন সেট স্হাপন সহ বাজারের অলি-গলি আরসিসি ঢালাই দ্বারা উন্নয়ন, ড্রেন নির্মাণ, পাবলিক টয়লেট নির্মাণ, গভীর নলকূপ স্হাপন সহ বাজারের অভূতপূর্ব উন্নয়ন করেছেন, যা বিগত ৫০ বছরেও কোনো জনপ্রতিনিধি দ্বারা সংস্কার পর্যন্ত করা হয়নি।

৮. ইউনিয়ন পরিষদের সকল নাগরিক সেবা জনগণের দৌড় গোঁড়ায় পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যে, সঠিক সময়ে সঠিক তথ্য দিয়ে সেবা নিশ্চিত করণে দালালমুক্ত ইউনিয়ন পরিষদ গড়ে তুলেছেন।

৯. সরকারি-বেসরকারি, সাপ্তাহিক ছুটি সহ প্রতিদিন সকাল ৯ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত নিয়মিত অফিস করে গেছেন। যা বিগত সময়ে কোনো জনপ্রতিনিধি করেনি।

চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল এর তথ্যাবদানে কবরস্থানে বৃক্ষ রোপণ
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল এর তথ্যাবদানে কবরস্থানে বৃক্ষ রোপণ

এবার আসি তাঁর ব্যাক্তিগত নিজস্ব তহবিল এনায়েত উল্লাহ বাবুল ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম নিয়েঃ

তিনি নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকে তাঁর নিজস্ব তহবিল এনায়েত উল্লাহ বাবুল ফাউন্ডেশন হতে সমাজের অসহায় হতদরিদ্র ছিন্নমূল পরিবার সহ বড় মহেশখালী ইউনিয়নের মসজিদ-মাদরাসায় নগদ টাকা প্রদান, বিভিন্ন সরঞ্জাম সহ কবরস্থানের গাইড ওয়াল নির্মান করে আসছেন-

১. তিনি বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সর্ববৃহৎ দু’টি কবরস্থান নতুন বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন গোলালি বাপের কবরস্থান ও সাতঘরিয়া পাড়া কবরস্থানের চতুর্থপাশে গাইড ওয়াল নির্মান সহ কবরস্থানে বিভিন্ন প্রজাতির বৃক্ষ রোপণ করেন।

২. মহেশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী প্রাচীনতম দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বড় মহেশখালী ইউনিয়ন মুন্সির ডেইল হোছাইনিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসা, দেবাঙ্গা পাড়া হামজা বিন আব্দুল মোত্তালিব মাদ্রাসা, পূর্ব বড় ডেইল নতুন জামে মসজিদ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নগদ টাকা প্রদান করে আসছেন।

৩. পরবর্তীতে বড় মহেশখালী পশ্চিম পাহাড়তলী তারতিলুর কোরআন মাদ্রাসায় লোহার দরজা, সিলিং ফ্যান, পূর্ব পাহাড়তলী ইসলামিক রিচার্স সেন্টার, পূর্ব মাঝের ডেইল নতুন জামে মসজিদ সহ বিভিন্ন মসজিদ-মাদরাসায় টিন, ইট সহ বিভিন্ন সরঞ্জাম প্রদান করেন।

৪. নির্বাচিত হওয়ায় পর থেকে প্রতিবছর রমজান মাসে রাতের আঁধারে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের প্রতিটি মসজিদে মুসল্লীদের কে চাল, ডাল, চিনি, তেল, সেমাই সহ বিভিন্ন খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়ে বিরল দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন।

সর্বোপরি বড় মহেশখালী ইউনিয়নের এমন কোনো গ্রাম, এলাকা, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দির নেই যেখানে এনায়েত উল্লাহ বাবুলের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

সর্বশেষ বড় মহেশখালী ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের অসহায় হতদরিদ্র শীল পাড়ার রীণা রাণী বালা কে ঘর নির্মাণের জন্য নগদ টাকা সহ টিনও প্রদান করে এক অনান্য দৃষ্টান্ত স্হাপন করেন।

জন্ম নিবন্ধন সনদ নিতে আসা ইউনিয়নের মাঝের ডেইল গ্রামের বাসিন্দা আবু নাঈম বলেন, ” বিগত সময়ে জন্ম নিবন্ধন সনদ কার্যক্রম সহ বিভিন্ন কাজে ইউনিয়ন পরিষদে আসলে দিনের পর ঘুরাঘুরি করেও কাজ করেতে পারতাম না। কিন্তু বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল’র আমলে এসে সম্পুর্ণ বিপরীত চিত্র। কোনো রকম টাকার লেনদেন ও হয়রানি ছাড়া মিলে নাগরিক সেবা।”

বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম আদালত সহকারী এনামুল হক বলেন, ” চেয়ারম্যান মহোদয়ের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আমরা যতটুকু সম্ভব মহেশখালী উপজেলার অন্যান্য ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ে জন্ম নিবন্ধন কার্যক্রম সহ জনগণের যে মৌলিক অধিকার আছে, তা শতভাগ নিশ্চায়নে কাজ করে যাচ্ছি। বিনামূল্যে সরকার কর্তৃক সকল নাগরিক সেবা আমরা হয়রানি ও দুর্নীতিমুক্ত রেখে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতেও আমাদের এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। ”

চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল এর মাদ্রাসায় অনুদান
চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল এর মাদ্রাসায় অনুদান

সেই সাথে বৈশ্বিক মহামারী করোনার পরিস্থিতিতে বড় মহেশখালী ইউনিয়নের অসহায় হতদরিদ্র ছিন্নমূল পরিবার, দিনমজুর, রিক্সা চালক, ধোপা, নাপিত, বাবুর্চি, শ্রমিক সহ ইমাম মুয়াজ্জিন, নন এমপিও, কওমী মাদ্রাসা, নুরানী, হেফজখানাসহ সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের সরকারি ও ব্যাক্তিগত ফাউন্ডেশন থেকে যে হারে অনুদান, ত্রাণ, আর্থিক সাহায্য সহযোগিতা দিয়ে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছেন তা অবশ্যই প্রশংসার দাবিদার মনে করেন সচেতনত মহল।

বড় মহেশখালী ইউনিয়নের ০৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা আব্দুল আজিজি বলেন, আমার জানামতে এমন কোন ব্যক্তি নেই, যিনি চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট সহায্য চেয়ে নিরাশ হয়েছেন। এতো উদার মনের মানুষ। একটু চিন্তা করলেই বুঝা যায়- আমাদের চোখের সামনে বর্তমানে অনেক চেয়ারম্যান দেখা যায় যারা প্রতিনিয়ত গরিব দুঃখী অসহায় মানুষের ত্রাণ চুরি করতে ব্যাস্ত।

প্রতিদিন সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, ইউটিউব, প্রিন্ট-ইলেকট্রনিক মিডিয়া সহ সবখানে দেখা যাচ্ছে- কেউ ব্যস্ত চালে, আবার কেউ ব্যস্ত তেলে।

কিন্তু আমাদের চেয়ারম্যান মহোদয় ব্যস্ত বড় মহেশখালীর অসহায় দরিদ্র পরিবার- যাদের একবেলা একমুঠো খাবার যোগানোর মতো সমর্থ নেই তাদের নিয়ে।

বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল বলেন, ” আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে জনগণের সেবক হিসেবে স্হানীয় সরকার কর্তৃক যে সকল নাগরিক সেবা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে প্রদানের বিধান রয়েছে, তা শতভাগ সততা ও নিষ্ঠার সাথে দিয়ে যাচ্ছি। জন্ম নিবন্ধন সনদ কার্যক্রম থেকে শুরু করে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, সহ ত্রাণ বিতরণও অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষভাবে বিতরণ করা হয়েছে। গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন থেকে শুরু করে মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থানের গাইড ওয়াল নির্মাণ, জনসমাগম ও দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সোলার স্হাপন সহ বড় মহেশখালী ইউনিয়নের সব জায়গায় উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। আশা করি ভবিষ্যতেও এ চলমান উন্নয়ন কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।”

সর্বশেষ মহেশখালী উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বাণিজ্যিক প্রাণকেন্দ্র বড় মহেশখালী নতুন বাজারের অলি গলি আর সি সি ঢালাই দ্বারা উন্নয়ন, মাছ বাজারের টিন সেট স্হাপন, বাজারে গভীর নলকূপ সহ বর্ষার মৌসুমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা সহ আনুষাঙ্গিক কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।

সর্বোপরি- বর্তমান চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল’র এমন উন্নয়ন ও নাগরিক সেবা প্রদান সুনাম কুড়িয়েছে বড় মহেশখালী সহ পুরো মহেশখালী উপজেলায়। এখন সাধারণ গণমানুষের প্রশংসায় পঞ্চমুখ বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল।

Related News
- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!