তারেক আজিজঃ
মহেশখালী-কুতুবদিয়া (সার্কেল) র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই, ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবাল সহ পুলিশের একটি টিম গভীর রাতে অভিযান চালিয়ে উপজেলার কালারমার ছড়ার উত্তর নলবিলার দরগাহঘোনা এলাকায় একটি বাড়ির আঙ্গিনার মাটির নিচে থেকে দু’টি অস্ত্র ও কার্তুজ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ১ জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে।
১৬ জুলাই (শুক্রবার) দিবাগত রাতে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
সূত্রে জানা যায়, স্বারাষ্ট্রমন্ত্রীর হাতে অস্ত্র ও গোলাবারুদ জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে আসা একারামকে (গত ৩০ জুন) স্থানীয় জৈনিক আব্দু মোনাফের পূত্র কবিরের নেতৃত্বে হত্যা করে মাতারবাড়ির কোহেলিয়া নদীতে ফেলে দেওয়া হয়।
তার পরের দিন সকালে কবিরকে জনগণের সহয়তায় গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসবাদ করলে সে অস্ত্র ও হত্যার কথা প্রাথমিক ভাবে স্বীকার করে।
তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক রাত ভর অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির আঙ্গিনার মাটির নিচ থেকে ২টি এ এলজি বন্দুক ও ২টি তরতাজা গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয় এবং তার স্বীকারোক্তি মূলক হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহজনক মাতারবাড়ির রহুল আমিন নামে এক যুবককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে পুলিশ।
মহেশখালী থানার ওসি আব্দুল হাই বলেন, একারাম হত্যার পর প্রধান আসামী কবিরকে গ্রেফতার করার পর সে যখন হাসপাতালে ভর্তি হয়, তখন তার ভাইয়ের নামে ভর্তি হয় এবং হত্যার পর সে তার বাড়ীর পাশে এসে ঘুমায়, যাতে কেউ বুঝতে না পারে হত্যার পর সে কেন তার এলাকায় থাকবে? এটা প্রদর্শন করার যে কৌশলে এলকায় ঢুকে পড়ে!
মহেশখালী-কুতুবদিয়া (সার্কেল)র সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ জাহেদুল ইসলাম বলেন, আলোচিত একরাম হত্যার প্রধান আসামী কবিরের রিমান্ডের পর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক রাত ভর অভিযান চালিয়ে তার বাড়ির আঙ্গিনা থেকে ২টি দেশীয় অস্ত্র ও ২টি কার্তুজ উদ্ধার করা হয় ও হত্যার সাথে জড়িত সন্দেহ জিজ্ঞাসবাদের জন্য ১জনকে আটক করা হয় এবং এই হত্যার সাথে যারা জড়িত আছে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।