আ ন ম হাসানঃ
শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের উদ্যোগে নির্মিত শেখ রাসেল পার্কের উদ্বোধন হয়েছে।
২২ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৪টায় মহেশখালী – কুতুবদিয়ার সংসদ সদস্য আশেক উল্লাহ রফিক এমপি ছোট মহেশখালী লম্বাঘোনা বাজরের পাশে ইউনিয়ন পরিষদ ভবন সংলগ্ন এ পার্কের উদ্বোধন করেন।
জানা যায়, প্রায় ৪০ শতক জায়গার উপর ১০লাখ টাকা ব্যয়ে এই পার্কটির কাজ বাস্তবায়ন করেছে উপজেলা প্রশাসন মহেশখালী।
পার্কটি উন্মুুক্ত হওয়ায় স্থানীয়দের পাশাপাশি পর্যটকদের বিনোদন যোগাবে।
১০শতক জায়গা জুড়ে শিশু পার্কটিতে দৃষ্টিনন্দন স্থাপত্যশৈলী কারুশিল্প ও মৃৎ শিল্পের কাজ করা সহ বিভিন্ন ম্যুরাল বসানো হয়েছে।
সংযোজন করা হয়েছে স্লিপার, ঢেঁকি, দোলনা, পানির ফোয়ারা, বাঘ, হরিণ, হাতি ও শিশু কর্ণারসহ দেশী বিদেশী ছোট বড় রাইড।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক।
তিনি বলেন, শিশুদের বিনোদনের জন্য শিশু পার্ক খুবই প্রয়োজন ছিল। এধরনের বিনোদন কেন্দ্রে আসলে শিশুদের একঘেঁয়েমি কেটে যায়। আগামীতে আরও মানসম্পন্ন পার্ক করার ইচ্ছা আছে। বহুতল ভবনের ফাঁকে হারিয়ে যাচ্ছে নগরীর মাঠ-ঘাট। শিশুদের মানসিক ও শারিরীক বিকাশ সহ চিত্ত বিনোদনের জন্য প্রয়োজনীয় বিনোদন স্থানগুলো হারিয়ে যাচ্ছে। তাই শিশুদের জন্য এ পার্কটি নির্মাণ করা হয়েছে। সকলের জন্য এ পার্কটি উম্মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান জানান, এ পার্কটি শিশুদের জন্য, এখানে প্রবেশে ও রাইডে চড়তে কোনো টাকার প্রয়োজন নেই। তবে এ পার্কের পরিবেশ ঠিক রাখতে কিছু নীতিমালা রয়েছে। যার মধ্যে এ পার্কের মধ্যে ধূমপান, কোনো ধরনের অশ্লীল কার্যকলাপ, যেখানে সেখানে ময়লা ফেলা যাবেনা। এছাড়াও পার্কের ফুলের বাগানসহ নির্দিষ্ট স্থান ও স্থাপনাগুলো যেন নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে চলাচল করতে হবে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, পৌর মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি এম আজিজুর রহমান বিএ, বড় মহেশখালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব এনায়েত উল্লাহ বাবুল, কুতুবজোম ইউপি চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন খোকন, ছোট মহেশখালী ইউপি চেয়ারম্যান জিহাদ বিন আলী।
মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবাল, উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক নেতৃবৃন্দ।
উদ্বোধনের পরপরই পার্কটি উম্মুক্ত করে দেওয়া হলে শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকরা পার্কের ভেতরে প্রবেশ করে। এবং শিশুরা বিভিন্ন রাইডে চড়ে বিনোদন উপভোগ করে।