Wednesday, April 24, 2024
HomeEditorialমহেশখালীকে উত্তর-দক্ষিণে বিভক্তি দাবীর পূর্ব-পশ্চিম

মহেশখালীকে উত্তর-দক্ষিণে বিভক্তি দাবীর পূর্ব-পশ্চিম

অতিথি কলামঃ বৈশ্বিক রাজনীতির স্বতন্ত্র একটি টার্ম হলো বাইপোলারিজম অর্থাৎ দ্বিমেরুকরণ। মূলত গেল শতাব্দীর চল্লিশের দশক থেকে এ টার্মটি ব্যাপক রাজনৈতিক প্রভাত তৈরি করে। যার ফলশ্রুতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তৎকালিন সোভিয়েত ইউনিয়ন তথা রাশিয়ার নেতৃত্বে বৈশ্বিক রাজনীতি দু’মেরুতে বিভক্ত হয়ে যায়। সময়ের ব্যবধানে নানামুখী রাজনৈতিক ওয়াগনে চড়ে টার্মটি বর্তমানে তাত্ত্বিক জায়গা থেকে বের হয়ে ঢুকে পড়েছে আমাদের আর্থ-সামাজিক অন্দরমহলে।

সার্বিক নিরাপত্তা, বিশেষ চাহিদা ও স্নায়ুবিক চাপ মোকাবিলাকে সামনে রেখে মাঠে গড়ানো এ টার্মটি দক্ষিণ এশিয়ায় হাজির হয়েছে ভিন্ন মোড়কে। ১৯৩৯ সালে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর দ্বিজাতিতত্ত্বের ভিত্তিতে ভারত-পাকিস্তানের জন্ম ও ১৯৩৯ সালে শের এ বাংলা এ কে ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাবের ভিত্তিতে বাংলাদেশের জন্ম; প্রতিটির মূলে আছে স্বকীয়তা ও দ্বিমেরুকরণের তীব্র স্পৃহা।

কোনো অঞ্চল বা ভূখণ্ডে রাজনৈতিক ভবিষ্যতের প্রশ্নে যতই জনসম্পৃক্ততা বেড়েছে; দ্বিমেরুকরণের বিষয়টা ততই সহজ ও সম্ভবপর হয়ে উঠেছে। ইতিহাস অন্তত তা-ই বলে। তবে ইতিহাস এটাও বলে পৃথকীকরণের ঐতিহাসিক দাবীগুলো সত্যিকার অর্থেই দাবী ছিলো; কোনো গণদাবীর মোড়কে রাজনৈতিক স্বার্থ নয়। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছয়দফা দাবী তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

উপমহাদেশের রাজনীতিতে ভূগোল ভেঙে পৃথক রাজনৈতিক ভূগোল তৈরি হওয়া নতুন কিছু নয়। ভাগেই মুক্তি কিংবা ভাগেই স্বকীয়তা-এমন রাজনৈতিক সংস্কৃতিকে দীর্ঘদিন লালনের ফল হচ্ছে আজকের মহেশখালী দ্বীপকে উত্তর-দক্ষিণে ভাগ করে আলাদা উপজেলা করার চিন্তা। এ চিন্তাটিকে সামনে নিয়ে আসছে মূলত উঠতি রাজনীতিকরা। আর চিন্তাটির জিস্ট হতে পারে: আমরা নির্বাচিত হলে উত্তর মহেশখালিকে আলাদা উপজেলা করতে চেষ্টা করা হবে এবং হয়ে গেলে সব পরিষেবা হাতের নাগালে চলে আসবে; অর্থাৎ স্রেফ “পলিটিকাল কার্ড”। তবে যৌক্তিকতার বিচারে সে দাবীকে আমলে নিতে কোনো অসুবিধে আছে বলে মনে হয় না।

এখন উত্তর-দক্ষিণের এ দাবীকে আমলে নিতে গেলে বেশকিছু পূর্ব-পশ্চিমকে ধর্তব্যে নেয়া আবশ্যক।

যেমন:
ক. ২০০৪ সালে প্রকাশিত প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস সংক্রান্ত জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির (নিকার) পরিপত্র অনুযায়ী কোনো এলাকাকে উপজেলা ঘোষণা করতে হলে তার নূন্যতম ইউনিয়ন সংখ্যা ৭, জনসংখ্যা ২ – ২.৫ লাখ, আয়তন ৩০০ বর্গকিলোমিটারের বেশি হতে হবে। কিন্তু উত্তর মহেশখালী তথা কালারমারছড়া, ধলঘাটা, মাতারবাড়ি ও শাপলাপুরের মোট আয়তন ১৭৩.৯৩ বর্গকিলোমিটার; জনসংখ্যা ১ লাখ ১৫ হাজার। অন্যদিকে হোয়ানকের হিসেব আলাদা রাখছি। কারণ তার অবস্থান মহেশখালির একেবারে মাঝখানে। নিকারের পরিপত্র অনুযায়ী কোনো উপজেলার সার্বিক সেবাকেন্দ্র এলাকার মাঝামাঝি স্থাপন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। কিন্তু বৃহত্তর গোরকঘাটার অর্থনৈতিক গুরুত্ব ও অঞ্চলিক রাজনীতির কারণে হোয়ানকের প্রশাসনিক কেন্দ্র হয়ে উঠা সম্ভব হয় নি। এখন দেখা যায় উত্তরে হেয়ানককেও হিসেবে নেয়া হচ্ছে; যা কেবল ইউনিয়ন সংখ্যার শর্ত পূরণ করার উদ্দেশ্যে। হোয়ানকও উত্তরে গেলে দক্ষিণ বলে তেমন কিছু অবশিষ্ট থাকে না।

তবে ভৌগোলিক বিচারে শর্তগুলো শিথিল করার নিয়ম থাকলেও উত্তর মহেশখালীর বাস্তবতা ও গুরুত্ব তার আলাদা উপজেলা হওয়ার পক্ষে নয়।

খ. রাজনৈতিক সমীকরণকে আড়াল করে যে যুক্তিটি উত্তর মহেশখালীর দাবীতে সামনে আনা হয় তা হলো প্রশাসনিক দূরত্ব ও রাষ্ট্রীয় পরিষেবা সময়মত না পাওয়া। এ দাবী যৌক্তিক হলেও একেবারে আলাদা উপজেলা করার জন্যে শক্ত যুক্তি না। কারণ সরকার ইউনিয়নগুলোকে ডিজিটাইজড করছে, ইউনিয়নে প্রশাসনিক প্রধান নিয়োগের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়িত হলে নাগরিকসেবা গতি পাবে। এর পাশাপাশি অস্থায়ী থানা বা তদন্তকেন্দ্র স্থাপন ও অন্যান্য পরিষেবা বাড়লে একটা ভালো মেলবন্ধন এমনিতেই চলে আসবে।

গ. যোগাযোগ ও শিক্ষাক্ষেত্রে মহেশখালীতে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয় নি। এটিই মূলত প্রশাসনিক ও প্রাতিষ্ঠানিক দূরত্বকে সামনে নিয়ে আসে। তবে মহেশখালীর ঠিক উত্তর দিকেই কোহেলিয়া নদীর উপর বদরখালী সেতু সাগর থেকে বিচ্ছিন্ন একটি দ্বীপকে মূল সড়কের সাথে যুক্ত করেছে; যা মহেশখালীর বাণিজ্যিক যোগাযোগকে মসৃণ করেছে। এ ছাড়া মহেশখালীর উত্তর-পূর্বে চকরিয়ার অবস্থান উত্তর মহেশখালী নামক নতুন উপজেলা তৈরিতে বড় বাধা। বদরখালী সেতু পার হলেই অনেক প্রাতিষ্ঠানিক সেবা সহজেই পাওয়া যায়। সেতুর কাছেই চালিয়াতলি বাজার থেকে চট্টগ্রামের গাড়ি মোটামুটি সহজলভ্য। শিক্ষার অবকাঠামোগত প্রসার ও বণ্টন সুষম হয় নি। যদিও মাতারবাড়ির সাক্ষরতার হার ৭৩ শতাংশ যা মহেশখালীর গড় সাক্ষরতার প্রায় আড়াই গুন। কাজেই আলাদা উপজেলা দাবীর প্রশ্নে সরকার বিষয়গুলো অবশ্যই হিসেবে নেবে। ইতোমধ্যে ধলঘাটায় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের সম্ভাব্যতা চূড়ান্ত করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

ঘ. ভৌগোলিক নিরাপত্তার প্রশ্নেও মহেশখালীকে ভাগ করার তেমন কোনো জো নেই। কারণ মহেশখালী ইতোমধ্যেই ৪ভাগে ভাগ হয়ে আছে- ৩টি অনুদ্বীপ: মাতারবাড়ি, ধলঘাটা, সোনাদিয়া এবং অবশিষ্ট ভূখণ্ডে। বিষয়টা এখানেই শেষ নয়। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতত্ত্ব জরিপ সংস্থা বলছে, চট্টগ্রাম-মহেশখালীর মাটির গভীরে একটি বড় ধরণের চ্যুতিরেখা বা ফাটল রয়েছে। সেখানে প্রতিমাসে ১৫ থেকে ২০বার মৃদু ভূমিকম্প হয়। অন্যদিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের এক যৌথ গবেষণা বলছে, সিলেট থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত ২৫০ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি চ্যুতিরেখা গত একশ বছর ধরে শক্তি সঞ্চয় করছে যা যেকোনো সময় বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঘটাতে পারে। যার আওতায় রয়েছে মহেশখালীও। ভূমিকম্প নিশ্চয়ই উত্তর-দক্ষিণ চেনে না।

ঙ. পরিবেশ ও প্রতিবেশগত বিবেচনায়ও বিভক্তির বিষয়টি খুব একটা টেকে না। কারণ দ্বীপাঞ্চলটির বেশিরভাগ বনভূমির অবস্থান এর উত্তরাংশে। তাই আলাদা করে মহেশখালীর একটি অংশকে সবুজহীন করে ফেলার পেছনে তেমন কোনো যুক্তি নেই। এছাড়াও সোনাদিয়ার বনভূমিটা বিগত সময়ে একাধিকবার রাজনীতির শিকার হয়েছে ।

অন্যদিকে সরকারের প্রায় ২৬টি বড় উন্নয়নপ্রকল্প মাত্র ৩৬২.১৮ বর্গকিলোমিটারের মহেশখালীতে হওয়া নিয়ে নানা যুক্তি-তর্ক আছে। কাজেই উত্তর-দক্ষিণে ভাগ করে সরকার পরিবেশেবাদী চাপ বাড়াবে বলে মনে হয় না। সরকার বরং সে চাপ কমিয়ে আনার উদ্যোগ নিয়েছে। তার বড় প্রমাণ একটি গাছের বিপরীতে পাঁচটি গাছ রোপণের শর্ত মেনে বনবিভাগকে ৪কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ প্রদান ও সম্প্রতি ছোট মহেশখালীতে শেখ রাসেল শিশুপার্ক নির্মাণ।

চ. মহেশখালী নিজস্ব অর্থনৈতিক আবেদন তৈরি করতে পারেনি। যেটা কীনা বর্তমান আর্থ-সামাজিক বিবেচনায় আলাদা প্রশাসনিক কাঠামোয় প্রবেশে মহেশখালীর যেকোনো এলাকার জন্য বড় অন্তরায়। প্রসঙ্গত, সদ্যঘোষিত উপজেলা ইদগাঁও দক্ষিণ চট্টগ্রামের অন্যতম বাণিজ্যিককেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। প্রতি হাটেই এর লেনদেন হাজার কোটি টাকার উপরে। পূর্বে এটি থানাও ছিলো।

তবে মহেশখালীর ভৌগোলিক অবস্থান যে উঁচু মানের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব তৈরি করেছে তা নিকট ভবিষ্যতে দেশের যেকোনো অঞ্চলকে ছাড়িয়ে যাবে। তবুও ভাগাভাগি কোনো সমাধান নয়। জনস্বার্থেই অখণ্ডতা প্রাসঙ্গিক।

মহেশখালী অখণ্ড থাকার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ দ্বীপটিকে ঘিরে সরকারের ব্যাপক শিল্পায়ন। কেউকেউ উত্তর-দক্ষিণে ভাবলেও সরকারের ভাবনা পূর্ব-পশ্চিমে এবং বৃহৎ। মহেশখালী-মাতারবাড়িতে বিনিয়োগের ভূরাজনৈতিক গুরুত্বের কারণে জাপানের হাত ধরে বেশ কটি দেশ এখানে প্রচুর বিনিয়োগ করছে। যার প্রাথমিক অঙ্ক ৩লাখ কোটি টাকা। সরকারও মহেশখালীর কাছাকাছি কুতুবদিয়া ও সোনাদিয়াতে শিল্প ও পর্যটনের তোড়জোড় চালাচ্ছে। কাজেই মহেশখালী, মাতারবাড়ি, সোনাদিয়া, কুতুবদিয়া ও বদরখালী সরকারের এক অখণ্ড অর্থনৈতিক বেল্ট। এ উন্নয়নকাজ চলমান থাকবে ২০৪১ সাল পর্যন্ত। কাজেই এর আগে আলাদা উপজেলা দাবী সরকারের কাছে অযৌক্তিক মনে হবে।

তবে ২০৪১ সাল নাগাদ উত্তরাংশে ‘মহেশখালী শিল্পাঞ্চল থানা’ হওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়া যায় না।

প্রকল্পগুলো হয়ে গেলে মাতারবাড়িতে বন্দরপুলিশ, প্রধান সড়কে হাইওয়ে পুলিশ স্থাপনের পাশাপাশি ইউনিয়নগুলোকে সত্যিকারের পরিষেবা কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা গেলে প্রশাসনিক দূরত্ব ও পরিষেবা না পাওয়ার আক্ষেপ ঘুচে যাবে। অন্যদিকে প্রকল্পগুলোতে কর্মরতদের জন্যে সরকার আবাসিক এলাকাসহ অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক সেবার ব্যবস্থা করবে যেখানে স্থানীয়রাও আওতাভুক্ত থাকবে। এক্ষেত্রে হোয়ানক স্থান হিসেবে উপযুক্ততা রাখে।

১৫৫৯ সালে ঘূর্ণিঝড় ও জলোচ্ছ্বাসে কক্সবাজারের মূল ভূখণ্ড থেকে পৃথক হয়ে যাওয়া, ১৯৯১ সালের প্রলয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় সহ্যকরা, ৮৬ হাজার একর জমির প্রায় ৩৫ হাজার একর জমির অধিগ্রহণ হওয়া ও ইতোমধ্যে ৩টি অনুদ্বীপসহ ৪ভাগে বিভক্ত থাকা একটা দ্বীপকে আর কত ভাগে ভাগ করা যায় তা ভাবনাতীত। কেবল “ভাগ কর, শাসন কর” নীতি ছাড়া এ দাবী কোনো আবেদন রাখে না।

অতএব দেশের কোনো প্রান্তে কোনো প্রশাসনিক পুনর্বিন্যাস দেখলেই ভাগাভাগির চিন্তায় মাথা হেট না করে উন্নয়নপ্রকল্পগুলোর ফলে মহেশখালীর প্রাণ-প্রকৃতি, মানুষের জীবন-জীবিকা, নতুন কর্মক্ষেত্র, দ্বীপের চারপাশ থেকে বালুু উত্তোলন, পাহাড়কাটা, টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ, উন্নয়নের স্থানীয় সুবিধা, প্রকল্পগুলোতে স্থানীয়দের চাকরির সুযোগ ইত্যাদি নিয়ে সামগ্রিক দাবী তোলা উচিত। এক্ষেত্রে বড় ভুমিকা রাখতে হবে ছাত্র ও সামাজিক সংগঠনগুলোকে। পার্বত্য চট্টগ্রামের সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা পরিষদ ও সংস্থা এবং ভারতে সুন্দরবন রক্ষণাবেক্ষণের জন্য আলাদা মন্ত্রণালয় রয়েছে। তেমনিভাবে মহেশখালীর সার্বিক রক্ষণাবেক্ষণের জন্যেও যথাযথ ব্যক্তিদের সমন্বয়ে আলাদা পরিষদ গঠনের এখনই সময়। এক্ষেত্রে উত্তরের রাজনীতিকদের গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকার অধিকার রয়েছে।

ভাগাভাগি নয়, চাই সার্বিক ও যৌক্তিক ব্যবস্থাপনা। চাই ভৌগোলিক অবস্থান, প্রাকৃতিক প্রতিবন্ধকতা, অবকাঠামোগত অসুবিধা, অনুন্নত যোগাযোগব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা ও শিক্ষার প্রসারে কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন ও অখণ্ড সমন্বয়। চাই শাপলাপুরের বন্ধুটি গোরকঘাটার উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে রওনা দিয়ে না বলুক মহেশখালী যাচ্ছি। চাই হলদে ফাল্গুনে আদিনাথমেলায় কোনো শিশুর পেঁ পোঁ বাঁশির ব্যঞ্জনাটির মালিকানা কোনো উত্তর-দক্ষিণের নয়; হোক অখণ্ড মহেশখালীর। এসব পূর্ব-পশ্চিম বাদ দিয়ে ভাগাভাগির চিন্তা হবে অনেকটা এরকম: রোম যখন পুড়ছে, নিরু তখন বাঁশি বাজাচ্ছে।

শাহাদাত করিম- শিক্ষার্থী,

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।

Related News
- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!