Home Education শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই

শোষণের বিরুদ্ধে লড়াই

1
মসজিদ

এ দেশে লুটপাট কখনোই বন্ধ হবে না। আমরা পা চাটা গোলামী কখনোই ছাড়তে পারবো না। যতই মুখে আল্লাহর নাম নিই না কেনো, দিনশেষে ঐসব অসভ্য, বর্বর, আত্মসাতকারী নেতাদের ঈশ্বর ভাবতে দ্বিধাবোধ করি না। ঐসব নেতারা প্রথমে মসজিদ, মন্দির বা ধর্মকে ব্যবহার করে তারপর সাধারণ মানুষের বিশ্বাস পুঁজি করে লুটপাট করে।

আমরা চুপ আছি বলেই তারা পার পেয়ে যাচ্ছে প্রতিদিন! আসলে আমরা সবাই অঘোষিত নারী! যদি প্রতিবাদ না-ই করতে পারি, তবে চলুন আপনি, আমি, আমরা সবাই হাতে চুড়ি পড়ে ঘরে থাকি! এমন চরম দূর্দিনেও মুনাফাখোর, ঘুষখোরেরা সাধারণ মানুষদের শোষণ করতে নূন্যতম দ্বিধাবোধ করছে না।

যারা এসব অন্যায় করে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত তারাই মসজিদ, মন্দিরে সামনের সারির ইবাদতকারী! তারা ভেবে নিচ্ছে যে, এই ইবাদত আমাদের রক্ষা করবে! আর আমরাও মূর্খের মতো ঐসব কুলাঙ্গার নেতাদের পা চাটতে একবারো চিন্তা করছি না!

পাড়ায় পাড়ায় ঐসব নেতাদের সিন্ডিকেট। তাদের দৌরাত্ম্যে আমরা আজ হাঁপিয়ে বেড়াচ্ছি। আমরা যারা ছাত্র সমাজ আছি তারা ভেবে নিচ্ছি আমরাই সেরা। ওরে ভীরু, আর কতকাল এ দাসত্বে থাকবি?

যদি ঐসব নেতারাই সমাজের হর্তাকর্তা হয়ে থাকে তবে চলুন, আগুনের লেলিহান শিখায় নিজের মুখ পুড়িয়ে ফেলি! এই মুখ আর না দেখুক আসমান জমিন! চলুন তবে গর্ত করে লুকিয়ে পড়ি।

নেপোলিয়ন তো এমনিতেই কথাটা বলেন নি-
” পৃথিবীতে অশান্তি খারাপ মানুষের জন্য নয়
ভালো মানুষগুলো চুপ করে আছে বলেই এত অশান্তি। ”

আর ছাত্র সমাজকে বলছি, যদি বই পড়ে সমাজের কল্যাণ না করতে পারো, শুধু নিজে বড় হবা, বিসিএস ক্যাডার তথা সরকারের প্রথম শ্রেণির গোলাম হবা তবে জেনে নাও ঐ বিদ্যার অভিশাপে তুমি নীচ হচ্ছো প্রতি মুহুর্তে।

তবে চলুন, সংগ্রাম গড়ে তুলি। অধিকার আদায়ের সংগ্রাম। হয় মৃত্যু নতুবা মাথা উঁচু করে বাঁচি! শ্রদ্ধাবোধ গড়ে তুলি, গোলামী নয়। যদি বাঁচতে হয় সবাইকে নিয়ে বাঁচি!

আর যদি সমাজের কল্যাণে না আসি তবে চলুন ঘরে বন্দী থাকি অঘোষিত নারী হয়ে।

জয় হোক খেটে খাওয়া মানুষদের,
জয় হোক সকল বিপ্লবীদের।

লেখকঃ শেখ আব্দুল্লাহ্,
সংবাদকর্মী, সংগঠক ও মানবাধিকার কর্মী।
মহেশখালী পৌরসভা, মহেশখালী, কক্সবাজার।

1 COMMENT

Comments are closed.

error: Content is protected !!
Exit mobile version