ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহানঃ
সমুদ্র নগরী কক্সবাজারের সাগরের বুকে জেগে থাকা ৩৮৮. ৫০ বর্গ কিলোমিটারের পাহাড় বেষ্টিত দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী।
পান, লবণ, চিংড়ি, শুটকি শিল্পের পাশাপাশি বর্তমানে চলমান রয়েছে সরকারের মেগা প্রকল্প কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র, এলএনজি গ্যাস স্টেশন সহ বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ।
উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের সাথে সমানতালে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্হাও।
সম্প্রতি গোরকঘাটা-বড় মহেশখালী-কালারমার ছড়া-জনতা বাজার সড়ক সংস্কার ও সম্প্রসারণ করে করা হয়েছে ভারি যানবাহন চলাচলের উপযোগী।
সামনে গোরকঘাটা-শাপলাপুর-জনতা বাজার সড়ক টিও সম্প্রসারণ ও সংস্কার করা হবে জানিয়েছেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের সাংসদ আলহাজ্ব আশেক উল্লাহ রফিক এমপি।
মহেশখালীবাসীর যোগাযোগের প্রধান মাধ্যম হিসেবে রয়েছে দু’টি প্রধান সড়ক, গোরকঘাটা-বড় মহেশখালী-কালারমার ছড়া-জনতা বাজার সড়ক।
অপরটি গোরকঘাটা-শাপলাপুর জনতা-বাজার সড়ক।
নানান কারণে গোরকঘাটা-শাপলাপুর-জনতাবাজার সড়কটি পর্যটক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক।
এই সড়ক পথে প্রায় ৪০ বছর পূর্বে তৎকালীন ক্যাবিনেট মন্ত্রী রশিদ মিয়া তার নামানুসারে মহেশখালী পৌরসভাস্হ আদিনাথ ঠাকুর তলা সংলগ্নে ব্রিজ নির্মাণ করেন। নানান প্রাকৃতিক দূর্যোগ ও নিয়মিত ভারি যান চলাচলের কারনে ব্রিজটির বিভিন্ন স্হানে ফাটল সৃষ্টি হয়।
যার কারণে গোরকঘাটা-শাপলাপুর-জনতা বাজার সংযোগ সড়কের রশিদ মিয়ার ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ সময়ের দাবি ছিল।
ইতিমধ্যেই প্রায় ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে পুননির্মাণ করা হচ্ছে মহেশখালীর ঐতিহাসিক রশিদ মিয়ার ব্রিজটি। এমটি জানিয়েছেন মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, দীর্ঘ ৪০ পূর্বে মহেশখালীর গোরকঘাটা-শাপলাপুর-জনতা বাজার সড়কের মহেশখালী পৌরসভার আদিনাথ ঠাকুর তলা সংলগ্নে ১৯৮২ সালের দিকে তৎকালীন বিএনপির সাংসদ মরহুম রশিদ মিয়া ব্রিজ টি নির্মাণ করেন।
মহেশখালী উপজেলা প্রকৌশলী সবুজ কুমার দে মহেশখালী ট্রিবিউন কে বলেন, বৃহত্তর চট্টগ্রাম গ্রামীণ অবকাঠামো প্রকল্প-৩ এর আওতায় গোরকঘাটা-শাপলাপুর-জনতা বাজার সড়কে ২২৮ মি. চেইনেজে ৬৫ মিটার দৈর্ঘ্য ও ফুটপাত সহ ৭.৩ মি. প্রস্থের ব্রিজটি ৪ কোটি ৭৬ লাখ ৬১ হাজার ৪৩ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন এক ব্রিজ নির্মাণ করা হবে।
বর্ষা মৌসুম শেষ হলে বর্তমান ব্রিজটি ভেঙে ফেলা হবে।
বিকল্প চলাচলের জন্য ইতোমধ্যে পাশে একটি বেইলি ব্রিজ নির্মাণ করা হয়েছে।তিনি আরও বলেন, রশিদ মিয়ার ব্রিজটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। ব্রিজটি পুনঃনির্মাণের জন্য ইতিমধ্যে টেন্ডার প্রক্রিয়াও শেষ হয়েছে। যেহেতু এখন বর্ষা মৌসুম, বৃষ্টির কারণে কাজ শুরু যাচ্ছে না। আশা করি বৃষ্টি কমলে কাজ শুরু হবে। ব্রিজটি নির্মাণে কাজ করবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান- চট্টগ্রামের এ আলী চৌধুরী এন্ড মনির আহমেদ (জেভি)।
স্থানীয়রা মনে করেন, ব্রিজটি পুননির্মাণ হলে এর ইতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো মহেশখালীবাসীর জনজীবনে।
পাল্টে যাবে গণমানুষের জীবনচিত্র। পর্যটকদেরও আকৃষ্ট করবে পুননির্মাণ দৃষ্টিনন্দন ব্রিজটি।
ব্রিজটি পুনঃনির্মাণ হলে যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নতির পাশাপাশি ব্যাবসা বানিজ্যে নতুন মাত্রা যোগ হবে বলে মনে করছেন স্থানীয় জনসাধারণ।