Tuesday, April 23, 2024
HomeEducationপ্রধান শিক্ষক মাসুদের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি ১৯ জন শিক্ষার্থী

প্রধান শিক্ষক মাসুদের কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি ১৯ জন শিক্ষার্থী

পেকুয়া উপজেলার মগনামা ইউনিয়নের মধ্যম মগনামা আদর্শ শিক্ষা নিকেতন নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষকের গাফিলতির কারণে পরীক্ষা দিতে পারেনি মানবিক বিভাগের ১৯ শিক্ষার্থী।

প্রস্তুতিও ভালোই সম্পন্ন করেছে সবাই। কিন্তু পরীক্ষার একদিন আগে স্কুলে প্রবেশপত্র সংগ্রহ করতে গিয়ে শিক্ষার্থীরা জানতে পারেন তাদের প্রবেশপত্র আসেনি।

কারণ খুঁজতে গিয়ে তারা জানতে পারেন প্রধান শিক্ষক তাদের ফরম ফিলআপের সব টাকা নিলেও ফরম ফিলআপই করেননি। পরবর্তীতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করে শিক্ষার্থীরা আরও জানতে পারে তাদের ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশনই করেননি ওই শিক্ষক। এই কাজটি করেছেন বিদ্যালয়টির প্রধান শিক্ষক মাসুদ বিন আবদুল জলিল। হতভাগা ১৯ শিক্ষার্থীর মধ্যে ৬ জন ছাত্র ও ১৩ জন ছাত্রী। সবাই মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী। মানবিক বিভাগের পরীক্ষা শুরু হয়েছে সোমবার থেকে।

এ বিষয়ে জানতে মগনামা আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের প্রধান শিক্ষক মাসুদ বিন আবদুল জলিলের মোবাইল নম্বরে ফোন করা হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।

এ প্রসঙ্গে পেকুয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা বিভাগের একাডেমিক সুপারভাইজার উলফাত জাহান বলেন, ‘মগনামা আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের ১৯ শিক্ষার্থী এসে তাদের এডমিট না পাওয়ার বিষয়টি জানালে আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পারলাম, তাদের ফরম ফিলআপ তো দূরের কথা ৯ম শ্রেণির রেজিস্ট্রেশন পর্যন্ত হয়নি। তাদের শুধু ২ বছর ধরে ক্লাস নেওয়া হয়েছে। এই ১৯ শিক্ষার্থীর জীবন থেকে ২টি বছর হারিয়ে যাবে। স্কুলটি অনিবন্ধিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে আমাদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো সুযোগ নেই, তবে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহায়তায় ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন বলে জানতে পেরেছি।’

জানা যায়, স্কুলটি নিবন্ধিত না হওয়ায় শিক্ষার্থীদের শুধু পাঠদান করা হয় এবং নিবন্ধিত একটি স্কুলের নামে রেজিস্ট্রেশন, ফরম ফিলআপ করে পরীক্ষায় অংশ নিয়ে থাকে।

পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারা শিক্ষার্থী মো. রাকিব জানান, ‘আমরা গত কয়েকদিন ধরে প্রধান শিক্ষককে জিজ্ঞাসা করছিলাম যে আমাদের এডমিট কার্ড এসেছে কি না। তিনি বলেন- আসবে, তোমরা পড়ালেখা কর। এডমিট নিয়ে চিন্তা করিও না, কিন্তু রবিবার যখন স্কুলে গেলাম তখন তিনি আমাদেরকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বসিয়ে রেখে বাড়িতে চলে যেতে বলেন। যখন সোমবার দেখা করলাম তখন বললেন তোমরা পরিস্থিতির শিকার, তোমরা ২০২২ সালের এপ্রিলে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে।’

বিষয়টি প্রসঙ্গে পেকুয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) পূর্বিতা চাকমা বলেন, ‘মগনামা আদর্শ শিক্ষা নিকেতনের ওই শিক্ষকের কারণে ১৯ জন শিক্ষার্থীর জীবন থেকে ২টি বছর নষ্ট হয়ে গেল। তিনি ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছেন। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।’

পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘একজন অভিভাবকের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যেই মামলা রুজু করা হয়েছে। আমরা অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা ওই শিক্ষককে আইনের আওতায় আনা হবে।

Related News
- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!