ঘূর্ণিঝড় ইয়াস নিয়ে বর্তমানে ভারত সহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি রকমের ধমকা হাওয়া ও উপকূলীয় অঞ্চলে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে জোয়ারের পানি ঢুকে এলাকার লন্ডভন্ড অবস্থা।
এমতাবস্থায় কিছু সতর্কতা অবলম্বন করা সবারই জরুরি। তাহলে চলুন ঘূর্ণীঝড় পূর্ববর্তী ও পরের সতর্কতা গুলো কি কি জেনে নেই।
ঘূর্ণিঝড়ের আগে সতর্কবার্তাঃ
- গুজব উপেক্ষা করুন, শান্ত থাকুন, আতঙ্কিত হবেন না।
- আপনার মোবাইল ফোন চার্জ দিয়ে রাখুন।
- রেডিও, টিভি, সংবাদপত্রে আবহাওয়ার খবরের দিকে খেয়াল রাখুন।
- জরুরি নথিপত্র ও মূল্যবান সামগ্রী জল থেকে বাঁচিয়ে রাখুন।
- আপৎকালীন প্রয়োজনের জন্য অত্যাবশ্যকীয় সামগ্রী, খাদ্য, ঔষুধ, জল, পোশাক প্রস্তুত রাখুন।
- আপনার বাড়িকে সুরক্ষিত রাখুন, কোনও ধারালো বস্তু খোলা অবস্থায় রাখবেন না।
- নিরপত্তার খাতিরে গৃহপালিত প্রানীর বাঁধন খোলে দিন।
- জেলেদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করুন।
- জেলেদের নৌকা নিরাপদ স্থানে রাখতে অনুরোধ করুন।
ঘূর্ণিঝড়ের সময় এবং ঘূর্ণিঝড়ের পরে করণীয়ঃ
যদি বাড়ির ভিতরে থাকেন
- বৈদ্যুতিক লাইন এবং গ্যাস সরবরাহের মেইন সুইচ বন্ধ করে দিন।
- দরজা, জানালা বন্ধ রাখুন।
- খড়ের ঘর/ কাঁচা ঘর এবং ক্ষতিগ্রস্থ পাকা বাড়িতে থাকবেন না।
- যদি আপনার বাড়ি সুরক্ষিত নাহয় তাহলে ঘূর্ণিঝড় আরম্ভ হওয়ার আগেই ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র বা নিকটবর্তী নিরাপদ পাকা বাড়িতে আশ্রয় নিন।
- রেড়িও, টিভি ও সংবাদপত্রের আবহাওয়ার খবরের দিকে লক্ষ রাখুন।
বাড়ির বাইরে থাকলে
- ক্ষতিগ্রস্থ ঘরবাড়িতে প্রবেশ করবেন না।
- ভেঙে পড়া বৈদ্যুতিক স্তম্ভ ও তার এবং ধারালো বস্তুর ব্যাপারে খেয়াল রাখুন।
- যত শীঘ্রই সম্ভব নিরাপদ আশ্রয়/ পাকা বাড়ি খুঁজে নিন।
ঘূর্ণিঝড় বিষয়ক সতর্কতার পাশাপাশি করোনা এবং ব্ল্যাক ফাঙ্গাস নিয়েও সতর্ক থাকুন। সব সময় মাস্ক পরুন, ঘন ঘন হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা সাবান দিয়ে হাত পরিস্কার রাখুন। সামাজিক দূরত্ব মেনে চলুন। এছাড়া সরকারি যেকোনো সিদ্ধান্ত সদা মানার চেষ্টা করুন।
গণ সচেতনতায়- মহেশখালী ট্রিবিউন, রিপোর্টার্স ইউনিটি, মহেশখালী, পরিবর্তন, গ্রীণ ইনভাইরনমেন্ট মুভমেন্ট, সেভ দ্যা ন্যাচার অব বাংলাদেশ, স্টুডেন্ট ইউনিটি, স্টুডেন্ট হ্যান্ডস, মিছিল, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, মহেশখালী থানা, হিউমেন হ্যান্ডস ইত্যাদি।