HomeNewsডাকসু নির্বাচনে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদে এমরান খানের প্রার্থীতা ঘোষণা

ডাকসু নির্বাচনে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদে এমরান খানের প্রার্থীতা ঘোষণা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ তথা ডাকসু নির্বাচনে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মো. এমরান খান। তিনি স্যার এ এফ রহমান হল সংসদ থেকে প্রার্থী হয়েছেন।

ডাকসু নির্বাচন দীর্ঘদিন পর শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবিতে আবারো অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এই নির্বাচনকে ঘিরে ইতোমধ্যে ক্যাম্পাসে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, ডাকসু কেবল একটি ছাত্র সংসদ নয়, বরং দেশের রাজনীতি ও নেতৃত্ব বিকাশের এক ঐতিহাসিক মঞ্চ।

ডাকসু নির্বাচনে পাঠকক্ষ সম্পাদক পদপ্রার্থী এমরান খান তাঁর নির্বাচনী প্রতিশ্রুতিতে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন—


“আপনার অধিকার প্রাপ্তির নিশ্চয়তা প্রদানই আমার অঙ্গীকার।”


তিনি সকলের আন্তরিক সহযোগিতা, দোয়া ও সমর্থন কামনা করেছেন।

আরও পড়ুনঃ

  1. মহেশখালীর কৃতি শিক্ষার্থী শাহারিয়ার মোহাম্মদ ইয়ামিন ডাকসু তে স্বতন্ত্র প্রার্থী।
  2. ডাকসু নির্বাচনে শিবিরের প্যানেলে মহেশখালীর ফাতিমা তাসনীম জুমা

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মনে করছেন, পাঠকক্ষ সম্পাদক পদটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই পদে থেকে একজন প্রার্থী সরাসরি শিক্ষার্থীদের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলা, লাইব্রেরি ও পাঠাগার সংস্কার, এবং বইপড়ার পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করতে পারেন। আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ডিজিটাল লাইব্রেরি গড়ে তোলা, অনলাইন রিসোর্সে সহজ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা এবং পাঠাগারগুলোকে শিক্ষার্থীবান্ধব করে তোলার সুযোগ এই পদেই বেশি থাকে।

শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) থেকে প্রার্থী হওয়ায় শিক্ষার্থীদের মধ্যে বাড়তি প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি দীর্ঘদিন ধরে গবেষণাধর্মী শিক্ষা, নীতি-নির্ধারণী গবেষণা ও শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য পরিচিত। অনেকেই মনে করছেন, আইইআর থেকে উঠে আসা একজন তরুণ প্রার্থী দায়িত্ব পেলে বইপড়ার সংস্কৃতি ও পাঠাগারের উন্নয়নে নতুন মাত্রা যোগ হবে।

ইনক্লুসিভ প্যানেল গঠনের ঘোষণা শিবির ভিপি প্রার্থী আবু সাদিক কায়েম এর

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সবসময়ই পাঠাভ্যাসে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে এসেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও হলের পাঠকক্ষগুলোতে প্রতিদিন হাজারো শিক্ষার্থী বই পড়েন, গবেষণা করেন এবং জ্ঞানচর্চায় অংশ নেন। তবে অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা ও আধুনিক সুযোগ-সুবিধার ঘাটতি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের চাহিদা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এমরান খান নির্বাচিত হলে এসব সমস্যা সমাধানে উদ্যোগী হবেন বলে তাঁর সমর্থকরা আশা করছেন।

ডাকসুর ইতিহাস বলছে, এখান থেকে উঠে আসা বহু নেতা ভবিষ্যতে জাতীয় নেতৃত্বে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। তাই শিক্ষার্থীরা বিশ্বাস করেন, ডাকসুর প্রতিটি পদই কেবল একটি সাংগঠনিক দায়িত্ব নয়; বরং এটি ভবিষ্যতের নেতৃত্বের পরীক্ষাক্ষেত্র।

স্যার এ এফ রহমান হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, তাঁরা তরুণ এই প্রার্থীর প্রতি আস্থা রাখছেন। তাঁদের মতে,

“এমরান খান দায়িত্ব পেলে পাঠাগারে নিয়মশৃঙ্খলা বজায় থাকবে, বই পড়ার পরিবেশ সমৃদ্ধ হবে এবং শিক্ষার্থীরা আরও বেশি করে পাঠাভ্যাসে উদ্বুদ্ধ হবেন।”

ডাকসু নির্বাচন ২০২৫ এর মনোনয়নপত্র জমার সময় বৃদ্ধিকে ‘পিছিয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র’ দাবি গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের

Related News

Popular News

error: Content is protected !!