Tuesday, April 16, 2024
HomeNewsহোয়ানক ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন জমা...

হোয়ানক ১,২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দিলেন মিনারা রহমান মিনা

আসন্ন হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ১, ২ ও ৩ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন বর্তমান মহিলা সদস্য মিনারা রহমান মিনা।

বৃহস্পতিবার (১৮ মার্চ) বিকালে তার মেঝ ছেলে, হোয়ানক ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি আরমান এম. রহমানকে সাথে নিয়ে দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্নিং কর্মকর্তা মঞ্জুর মোর্শেদের নিকট মনোনয়নপত্র জমা দেন।

মিনারা রহমান মিনা গত নির্বাচনে কলম মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে বৃহত্তর ১ নং ওয়ার্ডের মহিলা সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। তার শ্বশুর কবির আহমেদও ছিলেন স্বনামধন্য ইউপি সদস্য। কবির আহমেদ মেম্বারের যথেষ্ট সুনাম রয়েছে এলাকায়।

স্থানীয়রা জানান, তাদের পরিবারটি খুবই গোছানো একটি পরিবার। মিনারা ও তার স্বামী আব্দুর রহমান শিক্ষিত এবং অত্যন্ত সচেতন মানুষ। তাদের তিন ছেলে। তিনজনই খুবই নম্র-ভদ্র। বড় ছেলে সালমান এম. রহমান সংবাদ উপস্থাপক হিসেবে কাজ করছেন। মেঝ ছেলে আরমান এম. রহমান চট্টগ্রাম মহসিন কলেজে পড়ছে এবং বর্তমান ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে। ছোট ছেলে মোহন এম. রহমান চট্রগ্রাম বিজ্ঞান কলেজে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে।

তাদের পরিবারের সবাই যথেষ্ট সামাজিক। বড় ছেলে সালমান এম. রহমান স্থানীয় সংবাদকর্মীদের সংগঠনসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে সক্রিয় রয়েছেন। প্রায়শই বিভিন্ন সামাজিক কাজে তাকে যথেষ্ট সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।

এলাকাবাসী সূত্রে আরো জানা যায়, তাদের পরিবারের সকলে নিজ নিজ জায়গায় সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য এবং জনপ্রিয়।

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তারা কখনো কারো মনে কষ্ট পাওয়ার মতো আচরণ করেন না। তারা সবসময় স্ব স্ব জায়গায় সৎ থাকতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। মানুষের উপকার করতে পারাটাই তাদের কাছে অনেক বড় বিষয়।

মিনারার বড় ছেলে সালমান এম. রহমান বলেন, বিগত পাঁচ বছর আমার ‘মা’ হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদের মহিলা সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমাদের পরিবারের কেউ কখনো কারো সাথে প্রতিহিংসাপরায়ণতা দেখাইনি। আমরা সবসময় চেষ্টা করেছি আমাদের সর্বোচ্চটুকু দেবার। কিন্তু মানুষ ভুলের উর্ধ্বে নয়। আমাদের ভুল থাকতে পারে। আমাদের অজ্ঞতাবশত যদি কারো সাথে ভুল ব্যবহার করে থাকি বা এই পাঁচ বছর আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে গিয়ে কোনো ভুল করে থাকি সকলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন এবং ভুলগুলো শোধরিয়ে দেবেন বলে আশা রাখি।

তিনি আরো বলেন, মানুষ আমাদের মাঝে ব্যতিক্রমি যে বৈশিষ্ট্যগুলো পাবে তার মধ্যে অন্যতম হলো ভুল থেকে শিক্ষা নেওয়ার বা মানুষের পরামর্শ শোনার মানসিকতা। জীবনে চলার পথে যে কোনো ভুল শোধরানোর মনমানসিকতা আমরা সর্বদাই লালন করি। অতএব আমাদের যে কোনো সময় যে কোনো পরামর্শ দিতে কারোরই সংকোচ প্রকাশ করতে হবে না।

মিনারার স্বামী আব্দুর রহমান বলেন, গত পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আমাদের কাছে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যারা এসেছে তাদেরকে সন্তুষ্ট করার জন্য আমাদের সর্বোচ্চটুকু দিয়ে চেষ্টা করেছি। এমনও বহু সময় গেছে, বাড়িতে সেবা নেওয়ার জন্য মানুষ এসেছে। মানুষকে সেবা দিতে গিয়ে বাড়িতে রান্না হয়নি। আমরা বাইরে গিয়ে খেয়েছি। আমি বারবার বলতাম, আগে তাদের বিদায় করো, তারা অনেক দূর থেকে নিজেদের কাজ ফেলে এসেছে। তারাও গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। অর্থাৎ আমরা সবসময় মানুষকে সেবা দেওয়ার ব্যাপারটিকে অগ্রাধিকার দিয়েছি।

মিনারা বলেন, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে এলাকার উন্নয়নকল্পে বিভিন্ন রাস্তাঘাটের কাজ করার জন্য চেষ্টা করেছি। বিভিন্ন গ্রামের বেশকিছু রাস্তার কাজের জন্য এখনো আবেদন করা আছে বিভিন্ন দপ্তরে। এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নকল্পে ইউনিয়ন পরিষদ ছাড়াও বিভিন্ন দপ্তর, উপজেলা প্রশাসন এবং জেলা প্রশাসনেও বহু তদবির করেছি। অনেকগুলো বাস্তবায়নও হয়েছে।

তিনি বলেন, আমাদের গত পাঁচ বছরের ত্যাগ এবং মানুষকে সেবা দেওয়ার বিষয়গুলো বিবেচনা করে এবং শিক্ষিত, সচেতন ও যোগ্য পরিবার বা ব্যক্তির কথা মাথায় রেখে আসন্ন হোয়ানক ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অত্র এলাকার মানুষ আবারও আমাকে তাদের মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে সকলের সেবা করার সুযোগ দেবেন।

Related News
- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!