Wednesday, April 24, 2024
HomeIslamicকোরআনের বাংলা মর্মবাণীঃ সংরক্ষণ ও বিশুদ্ধতায় অনন্য (১ম পর্ব)

কোরআনের বাংলা মর্মবাণীঃ সংরক্ষণ ও বিশুদ্ধতায় অনন্য (১ম পর্ব)

কোরাআনঃ সংরক্ষণ ও বিশুদ্ধতায় অনন্য

কিভাবে কোরআন সংকলন বা সংরক্ষিত হয়ঃ

কোরআন নাজিলের সূচনা ৬১০ সালে। জীবনঘনিষ্ঠ বিষয়বস্তু নিয়ে নাযিল হয়েছে খন্ডে খন্ডে, দীর্ঘ ২৩ বছরে। কোরআন পরিপূর্ণ রূপ পায় ৬৩২ সালে।

কোরআনের প্রথম পঙক্তিমালাই বদলে দেয় নবীজী (সাঃ) এর জীবন। এরপর নবীজী (সাঃ) ও সাহাবীদের জীবন আবর্তিত হয় আল্লাহর কালাম এই কোরআন কে ঘিরেই। তাই কোরআনের প্রতিটি আয়াত বিশুদ্ধভাবে সংরক্ষণে প্রচেষ্ঠার কোনো কমতি ছিল না।

কোরআনের আয়াতাংশ, আয়াত, সূরা-যখনই নাযিল হতো, তখনই নবীজী (সাঃ) তা নিজে বার বার তেলাওয়াত করতেন এবং উপস্থিত সাথিদের শোনাতেন। সাহাবীরা তা বার বার তেলাওয়াত করে মুখস্থ করতেন। আর কাতিব তথা লিপিকররা তা লিপিবদ্ধ করতেন।

বিভিন্ন পর্যায়ে প্রায় ৪০ এর অধিক সাহাবী কোরআন লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব পালন করছেন।

নাযিলের সূচনা থেকেই মক্কায় নবীজী (সাঃ) এর সরাসরি তত্ত্বাবধানে সাহাবীরা মুখস্থ করা ও লেখার মাধ্যমে কোরাআন সংকলন ও সংরক্ষণের কাজ শুরু করেন।

কোরআন লিখে রাখার কাজে মোটা কাগজ , চামড়া, পাথরখণ্ড, জন্তুর হাড় ও খেজুর পাতা ব্যবহার করা হয়। আলী ইবনে আবু তালিব, উবাই ইবনে কাব, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ, জায়েদ বিন সাবিত (রাঃ) কোরআন লিপিবদ্ধকারী হিসেবে বিশেষ খ্যাতি লাভ করেন।

জায়েদ বিন সাবিতকে রাসূল (সাঃ) ওনার সামনে বসেই কোরআন লিপিবদ্ধ করার দায়িত্ব দিয়েছিলেন।

কোনো আয়াত নাযিল হলেই তিনি তাকে ডেকে নিয়ে তেলাওয়াত করে শোনাতেন। আয়াতটি কোন সূরার, কোন আয়াতের আগে বা পরে এবং কোথায় বসাতে হবে, সে সম্পর্কে নির্দেশনা দিতেন।

জায়েদ (রাঃ) সেভাবেই লিপিবদ্ধ করে শুদ্ধতা যাচাইয়ের জন্যে তা আবার নবীজী (সাঃ) কে পড়ে শোনাতেন।

এভাবেই পুরো কোরআন সূরা আকারে বিন্যস্ত, লিপিবদ্ধ ও মুখস্থ করার নির্ভুল প্রক্রিয়া সুসম্পন্ন হয় রাসূল (সাঃ) এর জীবদ্দশাতেই।

Related News
- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!