হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী (রহ.) কে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে দাবি করে বিচার বিভাগীয় তদন্ত চেয়েছিলেন দেশের শীর্ষ ৩১৩ আলেম-পীর মাশায়েখ।
গত বছরের ১৭ ই ডিসেম্বর আহমদ শফির শ্যালক মুহাম্মদ মঈনুদ্দিন বাদী হয়ে চট্রগ্রামের তৃতীয় জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ৩ নং আদালতে এই হত্যা কান্ডের মামলা দায়ের করেন। মামলায় অভিযোগ করা হয়েছিল আল্লামা আহমদ শফিকে মানসিক নির্যাতন এবং তাঁর শরীর থেকে অক্সিজেন মাস্ক খুলে দিয়ে হত্যা করা হয়েছিল।
এমন অভিযোগের পরিপেক্ষিতে তদন্তে নামে পিবিআই।
সে হত্যাকান্ডের আসামী হিসেবে আজ সোমবার ১২ ই এপ্রিল দুপুরে চট্রগ্রাম জুডিশিয়াল তৃতীয় জজ আদালতে মামুনুল-বাবুনগরী-আজিজুল সহ ৪৩ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)
উল্লেখ্য, গত ২৫ ডিসেম্বর (জুমাবার) মুহিব্বিনে আহমদ শফী ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রচার সচিব মাওলানা মুফতি আব্দুস ছাত্তারের স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ দাবি জানানো হয়।
এতে বলা হয়, হাটহাজারী মাদ্রাসায় আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস লুটতরাজের মাধ্যমে আহমদ শফীর রুম ভাঙচুর, মাদ্রাসার মুহাদ্দিসদের রুম ভাঙচুর ও তাদেরকে শারীরিকভাবে মারধরের মাধ্যমে সন্ত্রাসীরা পুরো কওমি অঙ্গনকে কলুষিত করেছে।
জামাত-শিবিরের ক্যাডার ও চরমপন্থিরা এ চক্রান্তের সঙ্গে জড়িত। মূলত হাটাহাজারী মাদ্রাসার ক্ষমতা দখল, কওমি অঙ্গনকে দখল ও রাজনৈতিকভাবে সরকারবিরোধী আন্দোলনের প্লাটফর্ম তৈরি করতে এবং কওমি মাদ্রাসার লাখ লাখ ছাত্র-তরুণ প্রজন্ম সরকারবিরোধী ইস্যু সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের পতন তরান্বিত করতে বিরোধী রাজনৈতিক এজেন্ডা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে শাহ আহমদ শফীকে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেওয়াই তাদের অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল।
আরও পড়ুনঃ
[…] ও জামাতে নামাজ আদায়ে নতুন নির্দেশনা আহমদ শফী হত্যা মামলায় মামুনুল হক সহ ৪৩… করোনায় দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ […]