ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহানঃ
উপজেলার হোয়ানক ইউনিয়নের কেরুণতলী এলাকা সহ বিভিন্ন জায়গায় সুফিয়া-মোজাহের হেলথ্ কেয়ারের নাম ভাঙিয়ে লটারির নামে চালিয়ে যাওয়া রমরমা টিকিট বাণিজ্য অবশেষে উপজেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, হোয়ানক কেরুনতলী সুফিয়া-মোজাহের হেলথ্ কেয়ারের নাম ভাঙিয়ে পবিত্র ঈদুল ফিতর কে সামনে রেখে “মা-বাবার দোয়া” নামে অবৈধ লটারী র্যাফেল ড্র‘র টিকিট বিক্রি করে আসছে একটি অসাধু চক্র।
১৩ এপ্রিল (বুধবার) দুপুরে মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াছিনের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে কেরুনতলী সুফিয়া-মোজাহের হেলথ্ কেয়ারের বিক্রয় প্রতিনিধি থেকে নগদ অর্থ ও মালামাল জব্দ করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াছিন জানান, হোয়ানক কেরুনতলী ১লা এপ্রিল থেকে শুরু হয় মাসব্যাপী বাণিজ্য ‘মা-বাবার দোয়া র্যাফেল ড্র’ নামে অবৈধ লটারি বিক্রি করে আসছিলো একটি অসাধু চক্র।অবৈধ এই লটারির টিকিট প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি হয়ে আসছিল হোয়ানক কেরুনতলী সহ বিভিন্ন প্রত্যন্ত অঞ্চলে।
হোয়ানক কেরুনতলীতে প্রতিদিন ৫/৬টি ব্যটারি চালিত ইজি বাইকে উচ্চস্বরে মাইক বাজিয়ে টিকিট বিক্রি করা হতো। হোয়ানক কেরুনতলী সুফিয়া-মোজাহের হেলথ্ কেয়ারে একটি অফিস খুলে লটারির টিকিট বিক্রির কাজ মনিটরিং করা হতো। এমন কী এখানে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত টিকিটও বিক্রি করা হতো। হোয়ানকে এ কজে কমিশনের ভিত্তিতে সহযোগিতা করে আসছে গুটিকয়েক নামধারী অসাধু চক্রের সদস্যরা।
খবর পেয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা, লটারির টিকিট, কুপনবক্স, জগ, বালতি জব্দ করা হয়েছে।
অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ ইয়াছিন কে সার্বক্ষণিক সহযোগিতা করেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আব্দুল হাই’র নেতৃত্বে থানা পুলিশ।