হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের প্রয়াত আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফী রহ.কে হত্যার অভিযোগে কৃত মামলাকে ‘রাজনৈতিক চক্রান্ত‘ এবং ওলামায়ে কেরামদের হয়রানি করার দুরভিসন্ধি বলে অভিহিত করে সংবাদমাধ্যমে এক যৌথ বিবৃতি পাঠিয়েছেন হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবগণ।
বিবৃতিতে হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ বলেন,
হেফাজতে ইসলাম নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, আল্লামা আহমদ শফীকে হত্যার অভিযোগ তুলে যারা মামলা করেছে, তারা একটি চিহ্নিত দালালগোষ্ঠী। তারা দেশের আলেম সমাজ ও সচেতন তৌহিদি জনতার কাছে প্রত্যাখ্যাত। এই চিহ্নিত দালালগোষ্ঠী আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে জিম্মি করে হাটহাজারী মাদরাসায় ব্যক্তিতন্ত্র কায়েম করে রেখেছিল।
সেখানে নানা অনিয়ম এবং ছাত্রদের ওপর অব্যাহত হয়রানি ও নির্যাতন চালিয়ে তাদের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলা হয়েছিল। এছাড়া বেশ কিছু স্বনামধন্য শিক্ষককে মাদরাসা থেকে অন্যায়ভাবে চাকুরিচ্যুত করে বের করে দেয়া হয়েছিল, যা ছিল অত্যন্ত অবমাননাকর। তাদের অনিয়ম ও ক্রমাগত হয়রানিতে অতিষ্ঠ হয়ে হাটহাজারি মাদরাসার ছাত্ররা জুলুমতন্ত্রের বিরুদ্ধে তাদের দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলন করেছে। যা সরকার, আইন শৃংখলাবাহিনী ও দেশবাসীর কছে সুস্পষ্ট প্রমাণিত।
তারা আরো বলেন, হায়াত মওতের মালিক একমাত্র আল্লাহ। মানুষের মৃত্যু সম্পূর্ণ আল্লাহর ইচ্ছায় হয়ে থাকে। আল্লামা আহমদ শফীর মৃত্যু স্বাভাবিক হয়েছিল। মামলায় তথাকথিত হত্যার যেসব কারণ উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলো অতিরঞ্জন ও মিথ্যাচারে পরিপূর্ণ এবং হয়রানিমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। দায়েরকৃত মামলায় যাদের আসামি করা হয়েছে এবং বিবরণে যাদেরকে অভিযুক্ত করা হয়েছে, তারা কেউ এর সাথে সম্পৃক্ত নয়।
সুতরাং তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক।
হেফাজত নেতৃবৃন্দ আরো বলেন,
আমরা জোর দাবি জানাচ্ছি অনতিবিলম্বে দায়েরকৃত এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করতে হবে। অন্যথায় দেশের শীর্ষ উলামায়ে কেরামদের সাথে পরামর্শ সাপেক্ষে আমরা কঠোর পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবো।
বিবৃতিদাতা-হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিবগণঃ মাওলানা জুনাইদ আল হাবীব, মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা লোকমান হাকীম, মাওলানা নাসির উদ্দিন মুনির, মাওলানা ফজলুল করীম কাসেমী, মাওলানা শফিক উদ্দীন, মাওলানা হাবীবুল্লাহ মিয়াজী ও মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ আইয়ুবী।
[…] […]