কাজী মুহাম্মদ হারুন মির্জাঃ
মানুষ মহৎ হয় তার কর্ম গুণে, পৃথিবীতে এমন অনেক মানুষ আছে, যারা তাদের কাজ কর্ম, সফলতা অর্জন সবকিছু উৎসর্গ করে দেশের তরে, মানবের কল্যাণে।
নিঃস্বার্থভাবে কাজ করেন মানবের কল্যাণে, দেশের কল্যাণে, তারা তাদের দায়িত্বে অবহেলা না করে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করে থাকেন- এমনি একজন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান।
দায়িত্বভার গ্রহণ থেকে মহেশখালীবাসীর সেবায় বিরামহীনভাবে নিজেকে নিয়োজিত রেখেছেন তিনি।
এই এক বছরে একদিনও ছুটি নেননি তিনি। ত্রাণ বিতরণ থেকে শুরু করে পাহাড় ধ্বসের হাত থেকে মানুষকে রক্ষা করতে দ্বীপের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন।
করোনাকালীন লকডাউন বাস্তবায়নে দিনরাত দ্বীপের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছুটে বেড়িয়েছেন তিনি। পাহাড় কাটা রোধেও ঝুঁকি নিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন সংবাদ পাওয়া মাত্র।
সড়ক দুর্ঘটনা রোধ, খাদ্যে ভেজাল রোধ, ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করতে অভিযান পরিচালনা করেছেন বাজারে, ঘাটে সর্বত্র।
শৈল্পিক, নান্দনিক মহেশখালী গড়ে তুলতে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন দিনরাত। গতানুগতিক ধারার বাইরে গিয়ে এই দ্বীপের মানুষদের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন পর্যটন, খেলাধূলা, সংস্কৃতি ও বিনোদন জগতে।
প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে মহেশখালীবাসীর জন্য নির্মাণ করেছেন শেখ রাসেল শিশু পার্ক। প্রতিটি ইউনিয়নে শিশু পার্ক, আদর্শ খেলার মাঠ, লাইব্রেরি নির্মাণ করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন অনবরত।
অফিসের গতানুগতিক ধারার কাজের পাশাপাশি সৃষ্টিশীল কাজের মাধ্যমে মহেশখালীবাসীকে স্বপ্ন দেখাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। উপজেলা পরিষদ বদলে উপহার দিয়েছেন একটা দৃষ্টিনন্দন হলরুম, অডিটোরিয়াম।
বাবুর দীঘির পাড়ে লাইটিং, বসার ব্যবস্থা, আগুনের পরশমণি চত্বর সৃষ্টি, বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল লাইটিং, আদিনাথ জেটি সংলগ্ন এরিয়ায় সৌন্দর্য বর্ধন, ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ, দুই জেটিতে লাইটিং সহ শৈল্পিক মহেশখালী গড়ে তুলতে যে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন, মহেশখালীবাসী তা আজীবন মনে রাখবে।
পর্যটনে মহেশখালীকে সমৃদ্ধ করতে ব্র্যান্ডিং বুক, ডকুমেন্টারি নির্মাণ করতে পরিশ্রম করছেন বিরতিহীনভাবে। মহেশখালীতে স্টেডিয়াম নির্মাণ, টেকনিক্যাল কলেজ স্থাপন, মডেল মসজিদ, টিটিসি, যুব প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপনে ভূমি নির্বাচনসহ বিভিন্ন জটিলতা নিরসনে আন্তরিকতার সাথে কাজ করে যাচ্ছেন তিনি। সেবাপ্রার্থীরা যে কোন সময় তার কাছে গিয়ে মনের কথা বলতে পারেন। প্রতি বুধবার আয়োজন করেছেন গণশুনানিমা।নুষের প্রতি তার ভালোবাসার কথা জানান দেয়। চির নবীন সদালাপী এই মানুষটি মন ও মননে সব সময় একজন সুচিন্তার মানুষও বটে।
যাকে মহেশখালীবাসী আজীবন মনে রাখবেন- তিনি হলেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহ্ফুজুর রহমান।