Monday, September 16, 2024
HomeEducationসোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট লেখা কিংবা যেকোনো ধরণের আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো...

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট লেখা কিংবা যেকোনো ধরণের আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে যে বিষয়গুলো সহায়ক হতে পারে

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট লিখবেন যেভাবে


সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট বর্তমান সময়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা তথা সাহিত্যের অন্যতম একটি মাধ্যম হিসেবে স্থান করে নিয়েছে। মনের ভাব আদানপ্রদান কিংবা অফিসিয়াল কাজেও আজকাল আমরা সোশ্যাল মিডিয়ার দারস্থ হচ্ছি প্রতিনিয়ত।

এক্ষেত্রে অডিও (Audio), ভিডিও (Video) কিংবা লেখার মাধ্যমকেই বেছে নিতে হচ্ছে। উল্লেখিত তিনটি মাধ্যমের মধ্যে তুলনামূলক বেশি প্রয়োগ হয়ে থাকে লেখার মাধ্যমটি।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট কেন দরকারীঃ

কারণ, লেখার মাধ্যমে আমরা অতি সহজে অনেকের সাথে কমিউনিকেট করতে পারি। যেটা অডিও (Audio) কিংবা ভিডিও (Video) মাধ্যমে তুলনামূলক কম হয়। কারণ আমাদের লেখার শক্তিটা দীর্ঘদিনের। বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির বাজারে আমরা সবাই সময়ের সাথে প্রতিযোগিতা করে এগিয়ে যাচ্ছি নিজেদের সর্বোচ্চ সুবিধাটুকু নিশ্চিত করার লক্ষ্যে।

তাই কোয়ালিটি অব টাইম মেন্টেইন করার জন্য আমরা হয়ে উঠেছি তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর। যেকোনো বিষয়ে কাউকে জানান দেওয়ার জন্য আমরা প্রতিনিয়তই সোশ্যাল মিডিয়ায় নানান ধরণের বার্তা প্রেরণ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট দিয়ে থাকি। কোনোটি পোস্টের মাধ্যমে, কোনোটি অনলাইন আর্টিকেলের মাধ্যমে আবার অনেক ক্ষেত্রে ইনবক্সে। সে যেখানেই হোক, বার্তা প্রেরণের মাধ্যম যদি হয় লেখা/লেখন পদ্ধতিতে তাহলে যেসকল বিষয়গুলো আমাদের লেখা বার্তাকে করে তুলতে পারে তুলনামূলক আকর্ষণীয়, নিচে তেমন কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করছি।

টাইটেল বা শিরোনাম নির্ধারণঃ

টাইটেল/শিরোনাম লেখা শুরুর আগে একটা টাইটেল থাকলে পাঠক বুঝতে পারবে এটা কী বিষয়ক এবং আলোচ্য বিষয়টি তার প্রয়োজনীয় কি না। এমনও হয় অনেক সময় হাজারো রিএক্ট এবং কমেন্ট দেখে অনেকেই কৌতুহলেরও পোস্ট পড়ে থাকে। কিন্তু পড়ার পরে অপ্রয়োজনীয় স্থানে সময় ব্যয় হলো এমন উপলব্ধি হয়। তাই এই একবিংশ শতাব্দির যান্ত্রিকতার সময়টুকুকে আরও কুয়ালিটিফুল করে তোলার জন্য এই প্যাটার্নটি একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টিং ট্রেন্ড/স্টাইল হতে পারে।

★দাড়ি-কমা/বিরাম চিহ্নের ব্যবহার লেখার সময় দাড়ি কমার অর্থাৎ বিরাম চিহ্নের পর্যাপ্ত না হলেও সর্ব নিম্ন ব্যবহার নিশ্চিত করা। অনেক সময় দেখা যায় আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট লিখতে গিয়ে আবেগতাড়িত হয়ে কিংবা লেখায় অতিমাত্রায় মনোনিবেশ করার কারণে বিরাম চিহ্নের দিকে মনোযোগ থাকে না। সে ক্ষেত্রে পাঠককে পড়ার ক্ষেত্রে একটু বিব্রতকর পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। প্রয়োজনে গুরুত্ব বুঝার জন্য লেখাটা একাধিকবার পড়তে হয়। তাই একজন সচেতন মানুষ হিসেবে আপনি কোনোকিছু লেখার আগে এই বিষয়ে কিঞ্চিত নজর দিলে আপনার লেখাটা হয়ে উঠতে পারে আরও বেশি পাঠকপ্রিয়।

★মূল বিষয় হাইলাট করা অনেক সময় আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ আর্টিকেল কিংবা পোস্টে দেওয়ার ক্ষেত্রে ডিটেইল করতে গিয়ে না চাইতেও পোস্টের আকৃতি অপেক্ষাকৃত বড় হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে একসাথে অনেক লেখার ভিড়ে মূল টপিকটা খুঁজে পেতেই পাঠকের অনেক সময় ব্যাগ পেতে হয়। তাই পোস্ট লেখার সময় আপনার লেখার মূল বিষয়টাকে হাইলাইট করার জন্য প্রয়োজনে আলাদা একটা প্যারা করে মূল বিষয়টাকে তুলে আনুন কিংবা লেখার মধ্যে ইনভার্টেরট কমা (” “), অথবা প্রথম-দ্বিতীয়-তৃতীয় বন্ধনী [{()}] দিয়ে আবৃত্ত করে দেওয়া যেতে পারে। সে ক্ষেত্রে বিষয়টি সহজের পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণ করবে।

★প্যারা/অনুচ্ছেদ আকারে লেখা আপনার লেখা কোনো আর্টিকেল কিংবা পোস্টটি যদি আকৃতিতে বড় হয়ে যায় তাহলে লেখাটিকে এক প্যারায় গাদাগাদি না করে আলাদা আলাদা প্যারায় ভাগ করে পরিচ্ছন্ন করে সাজিয়ে লিখুন, যাতে পাঠক মনোযোগ সহকারে আপনার পরিচ্ছন্ন লেখাটি পড়তে পারে।

অনেক সময় আমরা পোস্টের ডিটেইল করতে গিয়ে একসাথে অসংখ্য লেখা গাদাগাদি করে লিখে ফেলি। ফলে পাঠক পড়ার সময় মনোযোগ বিনষ্ট হয়। অনেক ক্ষেত্রে লেখা পড়তে পড়তে পাঠক হারিয়ে ফেলে কোন লাইন পড়ছিলো। তাই যদি প্যারা কিংবা অনুচ্ছেদ করে লেখাটিকে মার্জন করা হয়, পাঠক সেই লেখাটি পড়ার ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত বেশি মনোযোগী হবে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট এ বানানঃ

পোস্টের বানান বিষয়ে সচেতনতা থাকা আবশ্যক। মানুষ মাত্রই ভুল হবে। ভুলের উর্ধে কেউ নয়। তবুও আমাদের সকলেরই দায়িত্ব যতটুকু সম্ভব ভুল সংশোধন করে লেখা। বলবোনা একটা লেখা কিংবা পোস্ট দেওয়ার জন্য আপনাকে বানান বিশারদ হতে হবে। তবে কমন কিংবা প্রচলিত বানানগুলো অন্তত একটু খেয়াল রেখে দেওয়া উচিৎ বলে মনে করি।

যাতে পাঠক অর্থ বিভ্রাটে না পরেন। যেমন: “যায়” লেখতে গিয়ে অনেকেই ভুল বশত “যাই” লিখে ফেলেন। ফলে অর্থ বিভ্রাট হয়। আমার পাঠ করা বুঝাতে “পড়ে” কিংবা “পড়া” লিখতে অনেকে “পরে”, “পরা” লিখে ফেলেন। আবার “ছাত্র” লিখতে “ছাএ” কিংবা “নেত্রকোণা” লিখতে “নেএকোনা”, কিংবা অনেকের প্রিয় সংগঠন “ছাত্রলীগ” লিখতে গিয়েও “ছাএলিগ” লিখেন। যেটা খুবই বিব্রতকর। তাই বানানের ক্ষেত্রে নূন্যতম সচেতনতা অবলম্বন করার চেষ্টা থাকলে লেখাটি আকর্ষণীয় হয়ে ওঠে।

ক্রেডিট লাইন/ক্রেডিট/সত্যঃ

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কারও লেখা হুবহু কপি করে নিলে মূল লেখকের নামটি অন্তত উল্লেখ করা কিংবা যদি কোথাও অল্প কিছু লাইনও ব্যবহার করা হয় সেখানে তার ক্রেডিট যুক্ত করে দেওয়া। যাতে করে মূল লেখক সম্পর্কে পাঠক অবহত হতে পারেন। এতে আপনিও পরিচ্ছন্ন থাকলেন। অনেক সনয় দেখা যায় আমরা কারো লেখা ভালো লাগবে সেটি কপি পেস্ট করে পোস্ট করি।

এতে অনেকেই লেখাটি পড়ে আপনার নিজের লেখা বা অনুভূতি বলে মনে করে থাকেন। ক্রেডিট লাইন থাকলে সে ভুলটি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না। এসকল বিষয়ে আরও কিছু খুটিনাটি নিয়ে লিখবো পরের পর্বে।

উল্লেখ্য ‘ সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট ‘  পোস্টের সঙ্গে যুক্ত ছবিটি ইন্টারনেট থেকে সংরক্ষণের পর পরিমার্জিত করা।

লেখকঃ

মাহফুজ অর্ণব

আর্ট ডিরেক্টর, দুরন্ত টিভি

Related News

1 COMMENT

Comments are closed.

- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!