সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টারঃ কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর কুতুবজোম সোনাদিয়ায় অর্থনৈতিক অঞ্চলের বিশাল কর্মযজ্ঞ শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের পরিদর্শন করেন শেখ ইউসুফ হারুন।
প্রকল্পের সার্বিক অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ করতে ৩ অক্টোবর (রবিবার) দুপুরে সরেজমিনে প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন করেন বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়ন অঞ্চল বেজা এর নির্বাহী চেয়ারম্যান শেখ ইউসুফ হারুন।
দুপুরে তিনি মহেশখালী পৌঁছলে তাকে স্বাগত জানিয়ে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন, মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাহফুজুর রহমান, কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এডভোকেট শেখ কামাল, মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবাল, কুতুবজোম ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোশাররফ হোসেন খোকন, সোনাদিয়া ২নং ওয়ার্ডে নবনির্বাচিত মেম্বার একারাম মিয়া অন্যন্যরা।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, কুতুবজোম সোনাদিয়া ইকোনমিক জোনের মধ্য দিয়ে মাইলফলক স্পর্শ করতে যাচ্ছে মহেশখালীবাসী। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে এটিই হবে এশিয়ার সর্ববৃহৎ পরিকল্পিত শিল্প উন্নয়ন প্রকল্প।
জেলাবাসীর জন্য প্রকল্পটি হবে বর্তমান সরকারের অন্যতম উপহার। অতীতে উপজেলার কুতুবজোমের সোনাদিয়া চরে জেগে উঠা অনুর্বর ভূমি ছিলো পরিত্যক্ত ও উৎপাদনহীন।
প্রকল্পটি বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির নতুন দ্বার উন্মোচন ছাড়াও প্রায় পাঁচ লক্ষাধিক লোকের নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি দেশের বাণিজ্য ঘাটতি কমাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অর্থনৈতিক জোন মেগা প্রকল্প পরিদর্শন শেষে শেখ ইউসুফ হারুন বলেন, বর্তমানে পদ্মাসেতু হলো দেশের সর্ববৃহৎ প্রকল্প। অন্যদিকে মহেশখালী মাতারবাড়ীতে গভীর সমুদ্র বন্দর, কয়লা ভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও সোনাদিয়া ইকোনোমিক জোন হলো দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম প্রকল্প।
অর্থনৈতিক অঞ্চল স্থাপনের যোগাযোগে শীঘ্রই প্রকল্প ঘিরে দুটি ফোর লেইন সংযোগ সড়ক ও চট্টগ্রাম থেকে বেড়িবাধ হয়ে একটি সড়ক প্রকল্প বাস্তবায়ন হবে। কিন্তু উপকূলীয় এলাকা হওয়ায় শিল্পায়নের ফলে যাতে স্থানীয় পরিবেশ, উপকূলীয় বনাঞ্চল ও জীববৈচিত্রের যাতে কোন ক্ষতি না হয় সেজন্য বুয়েট ও বিদেশি বিশেষজ্ঞ দলের সমন্বয়ে একটি জরিপ করা হয়েছে।