‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমা পাইরেসি নিয়ে পরিচালক রায়হান রাফি’র বক্তব্য:
একটা ফিল্মকে পাইরেসি করা হলো পরিকল্পনা করে। শুরুতেই ছেড়ে দেয়া হলো ইম্পর্ট্যান্ট ক্লাইম্যাক্স সিন। তারপর নিজেদের লোক দিয়ে ফেসবুক, ইউটিউবে সেটা ভাইরাল করে দেওয়ার চেষ্টা হলো। এরপর এখন তো পুরো সিনেমাই। শুরুতে ইন্ডিয়ান অ্যাড জুড়ে দেওয়া হলো যেন মনে হয় ইন্ডিয়া থেকে পাইরেসি হয়েছে! কিন্তু পাইরেসি হয়েছে বাংলাদেশের ভার্শন। সিনেমার দুই দেশের ভার্শনে কী কী ফারাক, সেগুলো আর কেউ না জানলেও আমরা তো জানি! একটি সুনির্দিষ্ট চক্র সুড়ঙ্গের পেছনে লেগেছে, তাদের কারণে পাইরেসির শিকার হয়েছে সুড়ঙ্গ।
এই পাইরেসি কারা করেছে, তা আমরা আইডেনটিফাই করছি। এটা বাংলাদেশ থেকেই হচ্ছে। আমাদের সাথে আইনী সংস্থাগুলোও কাজ করছে। এই ভিডিওগুলো যারা অনলাইনে ছড়িয়েছে; ফেসবুক, ইউটিউব, টেলিগ্রাম, হোয়াটসঅ্যাপ, বিভিন্ন সাইটে আপলোড করেছে কিংবা শেয়ার করেছে- তাদের সবার বিরুদ্ধে লিগ্যাল অ্যাকশন নেয়া হচ্ছে। পাইরেসি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এবং এই অপরাধের শাস্তি অপরাধীদের পেতেই হবে। আমরা সেটা নিশ্চিত করবোই।
আরেকটি কথা না বললেই নয়, যেকোনো ইস্যু নিয়ে কত লেখালেখি হয়, ভিডিও কনটেন্ট হয়, প্রতিবাদ হয়। অথচ এই বিষয়ে তারা নিশ্চুপ! অনেককেই দেখছি আমাদের সিনেমা পাইরেসি হয়ে যাওয়াকে সেলিব্রেট করতে। কিন্তু তারা জানে না, যারা সত্যিকারের সিনেমাপ্রেমী, তারা পাইরেসির সিনেমা দেখছে না। তারা হলে গিয়েই দেখছে। এখনো দেশে সুড়ঙ্গ হাউজফুল, টিকেট পাওয়া যাচ্ছে না। দেশের সীমারেখা পেরিয়ে সুড়ঙ্গ দারুণ সাফল্য পাচ্ছে বিশ্বজুড়ে। আমেরিকায় ১০৮টি হল পাচ্ছে, কলকাতায় দারুণ প্রশংসা পেয়েছে, যিদিও কলকাতায় আমাদের প্ররিক্ষা মুলোক মুক্তি ছিলো যা আলোচিত হয়েছে আমরা খুশী
সামনে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিশ্বের নানা দেশে মুক্তি পাচ্ছে সুড়ঙ্গ। বাংলাদেশী সিনেমার জন্য নিঃসন্দেহে এ এক দারুণ এচিভমেন্ট।
সুড়ঙ্গকে থামিয়ে রাখা যাবে না। আমাদের দমিয়ে রাখা যাবে না।