এ. কে. রিফাতঃ
বৈশ্বিক মহামারী করোনার প্রাদুর্ভাব, বর্ষা মৌসুম সহ কঠোর লকডাউনেও থেমে নেই মহেশখালী পৌরসভার পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা কাছে নিয়োজিত সুইপারগণ।
বর্ষা মৌসুমে করোনা ভাইরাস উপেক্ষা করে দিনরাত পরিশ্রমে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারা। তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে আজ মহেশখালী পৌরসভার অলিগলি সহ পুরো পৌরসভা আজ পরিস্কার পরিচ্ছন্ন।
০৭ জুলাই (বুধবার) রাতে মহেশখালী পৌর আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ৩০ জন সুইপারদের মাঝে কারোনাকালীন এবং বর্ষাকালীন উপহার সামগ্রী বিতরণ অনুষ্টানে এমন মন্তব্য করেন মহেশখালী পৌরসভার সফল মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়া।
বিশ্বব্যাপী মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সরকার ঘোষিত চলতি কঠোর লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে চলতে গিয়ে মানুষ যখন অসহায়, ঠিক সেই মুহুর্তে মহেশখালী পৌরসভার ৩০ জন সুইপারদের মাঝে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে চাউল এবং মেয়র আলহাজ্ব মকছুদ মিয়ার নিজস্ব অর্থায়নে ডাল, আলো, তেল, ডিম, কাচা সবজি সহ প্রত্যেকজনকে উন্নতমানের এক সেট রেইনকোট বিতরণ করা হয়।
এসময় পৌর মেয়র মকছুদ মিয়া বলেন, মহামারী করোনা ভাইরাস সংক্রমন প্রতিরোধে চলমান লকডাউনের বিধি নিষেধ মেনে চলতে গিয়ে মানুষ যখন অসহায় ঠিক তখনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা আওয়ামিলীগ সভানেত্রী মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছিন্নমুল অসহায় গরিব কর্মহীন মানুষদের জন্য বিশেষ এই ত্রাণ পাঠিয়েছেন। সেই সাথে আমি নিজস্ব তহবিল থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের চাউলের সাথে ডাল,ডিম,আলো,তেল,কাচা সবজি সহ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করে আসছি।
তারই ধারাবাহিকতায় আজ মহেশখালী পৌরসভার প্রায় ৩০ জন সুইপারদের মাঝে এই উপহার সামগ্রী বিতরণ করলাম।
এসময় তিনি সুইপারদের প্রতি সকলকে সর্বদা সুন্দর আচরণ করতে বলেন। কারণ হিসেবে তিনি বলেন একদিকে মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি, অন্যদিকে মুষলধারে বৃষ্টি। এসবকিছু বাঁধা পেরিয়ে সুইপাররা প্রত্যেকটা দিন আমার আপনার বাজার এলাকা,রাস্তাঘাট, নালা নর্দমা পরিষ্কার করে যাচ্ছেন। সুতরাং তারাই আমাদের সোনালী সৈনিক।