সাবেক ওসি প্রদীপ সহ স্ত্রীর সব সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ। সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোঃ রাশেদ হত্যা মামলার আসামি বরখাস্ত হওয়া টেকনাফ থানার সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাস ও তার স্ত্রী চুমকির স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি ক্রোক করে রিসিভার হিসেবে গ্রহণ করার জন্য চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে আদেশ দিয়েছেন আদালত।
২৯ জুন (মঙ্গলবার) সকালে চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শেখ আশফাকুর রহমানের আদালত এই আদেশ দেন।
আদালত বরখাস্তকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও তার স্ত্রী চুমকির চট্টগ্রামের সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও কক্সবাজারের সম্পত্তি কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে ক্রোক করে তাদের অধীনে রাখার নির্দেশ দেন।
দুদকের করা অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় এই নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মামলার এজাহারে নগরীর কোতোয়ালী থানার পাথরঘাটা এলাকার একটি ছয়তলা বাড়ি প্রদীপ কুমার দাশ ‘ঘুষ ও দুর্নীতির’ মাধ্যমে অর্জিত অর্থ গোপন করার জন্য শ্বশুরের নামে নির্মাণ করেন বলে উল্লেখ করা হয় । পরবর্তীতে ওই বাড়িটি প্রদীপ দাশের শ্বশুর তার স্ত্রী চুমকি কারণের নামে দান করেন। দানপত্র দলিল হলেও বাড়িটি প্রদীপ দাশ ও তার স্ত্রী চুমকি কারণ কর্তৃক অর্জিত বলে মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
এছাড়া আয়কর রিটার্নে আসামি চুমকি কারণের কমিশন ব্যবসা এবং বোয়ালখালী উপজেলায় ১০ বছরের জন্য লিজ নেওয়া পাঁচটি পুকুরে মাছের ব্যবসার যে আয় দেখানো হয়েছে তাও স্বামী প্রদীপ দাশের অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রূপান্তর ও হস্তান্তরের উদ্যেশ্যে ভুয়া ব্যবসা প্রদর্শন করে দেখানো হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করে দুদক।
গত বছরের ২৩ অগাস্ট দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, চট্টগ্রাম-২ এর সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে সাবেক ওসি প্রদীপের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলাটি করেন। মামলায় ওসি প্রদীপের সঙ্গে তার স্ত্রী চুমকি কারণকেও আসামি করা হয়েছে।