ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি থেকে ইংরেজিতে অনার্স সম্পন্ন করেছেন শবনম ফারিয়া। এরই মাঝে শোবিজাঙ্গনে পা রাখেন তিনি। মিডিয়ায় সফল হলেও ব্যক্তিজীবনে তার ধারাবাহিকতার রক্ষা করতে পারেননি তিনি।বিয়ের ঠিক এক বছর নয় মাসের মাথায় বিবাহ বিচ্ছেদ হয়েছে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী শবনম ফারিয়ার। শুক্রবার (২৭ নভেম্বর) ডিভোর্স পেপারে সই করেছেন শবনম ফারিয়া ও তার স্বামী হারুন অর রশীদ অপু।
ডিভোর্সের বিষয়টি অকপটেই স্বীকার করেছেন শবনম। নিজের ভক্তদের জানিয়েছেন বিবাহ বিচ্ছেদের কারণ। শনিবার (২৮ নভেম্বর) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ট্যাটাস দিয়েছেন। স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো…
‘মানুষের জীবন নদীর মতো। কখনও জোয়ার, কখনও ভাটা। কখনও বৃষ্টিতে পানি বেড়ে যায়, শীতকালে পানি শুকিয়ে যায়। আমাদের জীবনেও এমনটা হয়! আমাদের জীবনে কিছু মানুষ আসে; কেউ কেউ স্থায়ী হয়, কেউ কেউ কিছু কারণে স্থায়িত্ব ধরে রাখতে পারে না!
আমার মা সব সময় একটা কথা বলে, “আল্লাহর হুকুম ছাড়া একটা গাছের পাতাও নড়ে না, আমরা শুধু চেষ্টা করতে পারি!“
ঠিক সেভাবেই আমি আর অপু অনেকদিন ধরেই চেষ্টা করেছি একসাথে থাকতে!
কিন্তু বিষয়টা একটা পর্যায়ে খুব কঠিন হয়ে যায়!
“মানুষ কি বলবে” ভেবে নিজেদের উপর একটু বেশিই টর্চার করে ফেলছিলাম আমরা! বললেন শবনম ফারিয়া।
“জীবনটা অনেক ছোট, এতো কষ্ট নিয়ে বেঁচে থাকার কি দরকার”? এইটা ভেবে আমরা এ বছরের শুরু থেকেই সিদ্ধান্তে আসি আমরা আর একসাথে থেকে কষ্টে থাকতে চাই না!
তাও বছর খানেক সময় নিয়েছি পরষ্পরকে বুঝতে! ফাইনালি “আল্লাহ্ যা করেন ভালোর জন্যেই করেন” ভেবে আমরা আমাদের প্রায় আড়াই বছরের বৈবাহিক জীবনের অবসান ঘটিয়ে আবারও ৫ বছরের পুরানো বন্ধুত্বে ফিরে গিয়েছি।
বিবাহে বিচ্ছেদ হয়, কিন্তু ভালবাসার বিচ্ছেদ নেই! বন্ধুত্বের বিচ্ছেদ নেই!
যতদিন বেঁচে আছি আমাদের ভালবাসা ও বন্ধুত্ব থাকবে!
শুধুমাত্র বৈবাহিক বন্ধন থেকে আমাদের সম্পর্কের ইতি টেনে নিলাম! এ ঘটনা আমাদের জীবনের গতি হয়তো রোধ করবে, ছন্দপতন করবে কিন্তু জীবন তো থেমে থাকবে না!
শবনম ফারিয়া বলেন, অপুর জন্যে আমার অনেক অনেক দোয়া, ভালবাসা আর শুভ কামনা। আমরা যে সুখের জন্যে আলাদা হলাম আমরা যেন সে সুখ খুঁজে পাই। সবাই আমাদের জন্য দোয়া করবেন।
দয়া করে “মিডিয়ার বিয়ে টেকে না” ধরণের কথা বলে আমাদের জন্যে আমাদের সহকর্মীদের ছোট করবেন না! আমরা সম্পূর্ণ “পারিবারিক কারণে” , পারিবারিক ভাবে, পারিবারিক সম্মতিতেই বিয়ের মতো ইনষ্টিটিউশন থেকে বের হয়ে এসেছি!
আমাদের কখনও ভালবাসা কিংবা বিশ্বাসের অভাব ছিল না, হবেও না!
আর আমার প্রিয় সাংবাদিক ভাই/বোনদের উদ্দেশ্যে একটাই অনুরোধ, দয়া করে একটু মানবিকতার সাথে বিষয়টা দেখবেন! প্লিজ!
দুজন মানুষের বিবাহ্ বিচ্ছেদ মানে, দুইটা পরিবারের বিচ্ছেদ, অনেক স্মৃতির বিচ্ছেদ! অনেক ভালো সময়ের সাথে বিচ্ছেদ এইটা কারও জন্য সুখকর অনুভূতি না! দয়া করে মুখরোচক অদ্ভুত সংবাদ প্রকাশ করে আমাদের আর বিব্রত করবেন না!
শবনম ফারিয়া বলেন, আমরা একে অন্যের উপর সম্পূর্ণ সন্মান বজায় রাখতে চাই!
ধন্যবাদ !