Monday, October 7, 2024
HomeNewsরোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদরাসায় হামলা;শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ নিহত ৭

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে মাদরাসায় হামলা;শিক্ষক-শিক্ষার্থী সহ নিহত ৭

অনলাইন ডেস্কঃ কক্সবাজারের উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৭জনের নিহতের ঘটনাকে দুই গ্রুপের গোলাগুলি বলা হলেও এটি ছিল মাদ্রাসায় হামলা।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ নামের একটি মাদ্রাসায় হামলা চালিয়েছিল দুর্বৃত্তরা।

২২ অক্টোবর (শুক্রবার) ভোরে উখিয়ার ১৮ নম্বর ক্যাম্পে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সাতজন রোহিঙ্গাই মাদসারার ছাত্র ও শিক্ষক। তবে হামলার কারণ বিষয়ে কিছু জানায়নি পুলিশ।

নিহত রোহিঙ্গারা হলেন, উখিয়ার বালুখালী ২ নম্বর ক্যাম্পের মোহাম্মদ ইদ্রিস (৩২), বালুখালী ১ নম্বর ক্যাম্পের ইব্রাহীম হোসেন (২২), বালুখালী ১৮ নম্বর ক্যাম্পের এইচ ব্লকের আজিজুল হক (২৬) ও মোহাম্মদ আমিন (৩২), রোহিঙ্গা শিবিরের ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়া’ মাদ্রাসার শিক্ষক ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক-এফ-২২–এর নুর আলম ওরফে হালিম (৪৫), মাদ্রাসা শিক্ষক ও ক্যাম্প-২৪–এর হামিদুল্লাহ (৫৫) ও মাদ্রাসা ছাত্র ও ক্যাম্প-১৮, ব্লক- এইচ- ৫২-এর নুর কায়সার (১৫)।

রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত ৮ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার শিহাব কায়সার বলেন, শুক্রবার ভোর ৪টার দিকে ‘এফডিএমএন’ ক্যাম্প-১৮ এইচ-৫২ ব্লকে অবস্থিত ‘দারুল উলুম নাদওয়াতুল ওলামা আল-ইসলামিয়াহ’ মাদ্রাসায় রোহিঙ্গা দুর্বৃত্তরা হামলা চালায়। হামলায় মাদ্রাসায় অবস্থানরত চার জন মারা যান। ঘটনা শুনে ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠান। পরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও তিন জন মারা যান।

এ সময় পুলিশ হামলাকারীদের একজনকে একটি দেশীয় লোডেড ওয়ান শুটারগান, ছয় রাউন্ড গুলি ও একটি ছুরিসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করেন।

এ ঘটনায় ময়নারঘোনা পুলিশ ক্যাম্প-১২ এর পুলিশ সদস্যরা ‘মদুতুল উম্মা’ মাদ্রাসা ও আশপাশের এলাকায় ব্লকরেইড পরিচালনা করছেন। অন্যান্য ক্যাম্প এলাকাতেও ব্লক রেইড পরিচালনা করা হচ্ছে।

ঘটনাস্থলে উখিয়া থানা পুলিশ এসে লাশের সুরতহাল এবং মর্গে পাঠানোর ব্যবস্থা তদারকি করছে।

কক্সবাজার জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় সাত জন মারা গেছেন। মৃতদেহগুলোর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির পর ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৯ সেপ্টেম্বর উখিয়া কুতুপালং লম্বাশিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্প এলাকায় ইস্ট-ওয়েস্ট ১ নম্বর ব্লকে রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মুহিবুল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয়। অভিযোগ রয়েছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়াকে নস্যাত করতে এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। হত্যকাণ্ডের পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পগুলোতে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেফতারে তৎপর হয় পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।

এ অবস্থার মধ্যেই শুক্রবার ভোরে ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় হামলার ঘটনা ঘটলো।

Related News
- Advertisment -

Popular News

error: Content is protected !!