২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে আলোচনা সভা ও দু’আ মাহফিল করেছে বাংলাদেশ নেজামে ইসলাম পার্টি রামু উপজেলা শাখা। রামু উপজেলা নেজামে পার্টির অস্থায়ী কার্যালয়ে উপজেলা আমীর মাওলানা হাফেজ আব্দুর রহীম রাহীর সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা নেজামে ইসলাম পার্টির সিনিয়র নায়েবে আমীর মাওলানা আ. হ. ম নুরুল কবির হিলালী।
বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা যুগ্ম সাধারণ মাওলানা আব্দুর রহমান জিহাদী, সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মাহবুব উল্লাহ নোমানী, ইসলামী ছাত্র সমাজের কেন্দ্রীয় সিনিয়র সহ-সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আবুল মঞ্জুর, জেলা সভাপতি হাফেজ শওকত আলী, সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ দিদারুল আলম। উপজেলা সাধারণ সম্পাদক মাওলানা শহীদুল্লাহর সঞ্চালনায় এ অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, উপজেলা নায়েবে আমীর মাওলানা আব্দুল জলিল, মাওলানা অছিউর রহমান, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা হুমায়ুন কবির, অর্থ সম্পাদক মাওলানা আব্বাস উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক মাওলানা জায়নুল আবেদীন, দফতর সম্পাদক মাষ্টার সাইফুল ইসলাম, নির্বাহী সদস্য মাওলানা আজিজুল হক, ইসলামী ছাত্রসমাজ রামু উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ আব্দুল করিম প্রমুখ।
উক্ত আলোচনা সভায় নেতৃবৃন্দরা বলেন, যখন বাংলার স্বাধীনতা সূর্য অস্তমিত হয়ে যায় আর বৃটিশ-বেনিয়ারা ক্ষমতার মসনদে আসীন হয় তখন ঈমানদীপ্ত দেশপ্রেমিক ওলামায়েকেরামই হারানো স্বাধীনতা পূনরুদ্ধারে জীবনবাজি রেখে সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। ভারতবর্ষের আযাদীর সংগ্রামে শায়খুল হিন্দ আল্লামা মাহমদুল হাসান দেওবন্দী (রহ.), আল্লামা হোসাইন আহমদ মাদানী (রহ.), আল্লামা ফজলুল হক খয়রাবাদী (রহ.) সহ খ্যাতনামা ওলামা-মশায়েখ বীরত্বপূর্ণ অবদান রাখেন, অকাতরে বুকের তাজা রক্ত বিলিয়ে দেন অসংখ্য ওলামায়েকেরাম। ফলশ্রুতিতে দীর্ঘ ২০০বছর পর ১৯৪৭ সালে ইংরেজদের জিঞ্জির থেকে মুক্ত হয় পুরো ভারতবর্ষ। উড্ডীন হয় স্বাধীনতার পতাকা।
এর-ই ধারাবাহিকতায় ১৯৭১ সালে নজীর বিহীন আত্মত্যাগের মধ্যদিয়ে স্বাধীন বাংলাদেশের অভ্যূদয় ঘটে। সুদীর্ঘ সংগ্রামের ফলশ্রুতিতে বৃটিশের কবল থেকে ভারতবর্ষ মুক্ত না হলে আমাদের মাতৃভূমিও এত অল্প সময়ের যুদ্ধের বিনিময়ে স্বাধীন হতোনা। তাই দেশপ্রেমিক ওলামায়েকেরামের ঐতিহাসিক ও আত্মত্যাগী ভূমিকাকে বাদ দিয়ে, স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস কল্পনা করা যায়না।
নেতৃবৃন্দরা আরও বলেন, ওলামায়ে দেওবন্দের নেতৃত্বে রেশমী রুমাল আন্দোলন, হাজী শরীয়তুল্লাহর ফরায়েজী আন্দোলন, শহীদ তিতুমীরের বাঁশের কেল্লার আন্দোলনও আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রামে নবদিগন্ত উন্মোচন করে। স্বাধীনতা সংগ্রামে ওলামায়েকেরামের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস নবপ্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। সেই সাথে প্রিয় মাতৃভূমির স্বাধীনতা -সার্বভৌমত্ব রক্ষার সংগ্রাম অবিরাম রাখতে হবে।