করোনা ভাইরাসের ঊর্ধ্বমুখীর মধ্য দিয়েই ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হলো। স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করেই ০২ রা এপ্রিল (শুক্রবার) সকাল ১০টা থেকে ১১ টা পর্যন্ত সারাদেশে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। মেডিকেল পরিক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ হবে ০৪ তারিখ রবিবার।
পরীক্ষার্থীদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সকাল ৮টার মধ্যে পরীক্ষার্থীদের কেন্দ্রে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। ফলে সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রের সামনে পরীক্ষার্থী অভিভাবকদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। সবার মুখেই ছিল মাস্ক, শুধু ছিল না শারীরিক দূরত্বের বালাই। পরীক্ষার চিন্তায় যেন স্বাস্থ্যবিধির কথা ভুলেই গেছেন শিক্ষার্থীসহ অভিভাবকরা। তবে ব্যবস্থাপনার দুর্বলতায় হতাশা ব্যক্ত করেছেন অভিভাবকরা।
ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, পরীক্ষার্থীদের সাথে বাবা-মায়েরা আসবে এটাই স্বাভাবিক। সবব্যবস্থা রেখেই পরীক্ষার আয়োজন করা উচিত ছিল। কিন্তু, কেন্দ্রের ভেতর সব স্বাস্থ্যবিধি; বাইরে দাড়ানোর জায়গা নেই।
এমন বিধি মেনে লাভ কী?
পরীক্ষার্থীর সঙ্গে তিন থেকে চারজন অভিভাবক আসার ঘটনা অগণিত। এরপরও দীর্ঘ অপেক্ষার পর সন্তান পরীক্ষা দিতে পারায় খুশি অনেকেই।
এদিকে, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোন ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে দেয় নি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রতিটি কেন্দ্রে একজন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে চারজন পুলিশ সদস্য মোতায়েন ছিল।
এ ছাড়া পরীক্ষা করোনা ভাইরাসের কারনে কেন্দ্রের প্রবেশপথে তাপমাত্রা পরিমাপের জন্য থার্মাল স্ক্যানার, জীবাণুনাশক অটো স্প্রে মেশিনসহ হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা হয়েছিল।
পরীক্ষার্থীদের দেহ তল্লাশি এবং শরীরের তাপমাত্রা যাচাই করে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়।
দৃশ্যত স্বাস্থ্যবিধি মানা না হলেও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, ‘কেন্দ্রের ভেতরে সুরক্ষা নিশ্চিত করাই কেবল আমাদের দায়িত্ব। বাহিরের দায়িত্ব আমাদের না।’
এইচএসসিতে অটোপাশের বিড়ম্বনা নিয়ে প্রথমবার মেডিকেল ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে হলো দেশের লক্ষাধিক মেডিকেল ভর্তিচ্ছুদের। নানা সঙ্কটের পরও অংশগ্রহনকারীদের একটি অংশ ডাক্তার হয়ে দেশের মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবে, এমনটাই প্রত্যাশ সবার। রবিবার মেডিকেল পরিক্ষার রেজাল্ট দিলে জানা যাবে অবস্থা কেমন।
রেজাল্ট জানতে এখানে ক্লিক করুন
[…] […]
[…] […]