মহেশখালীতে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছে মহেশখালী জাগ্রত ছাত্র সমাজ নামের একটি সংগঠন। ০৯ই এপ্রিল (শুক্রবার) বিকেল ৪টায় উপজেলা দীঘির পাড়ে সাংবাদিকদের অস্থায়ী কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সভাপতি ফজলে আজিম মোঃ ছিবগাতুল্লাহ বলেন, গত ০২ এপ্রিল (শুক্রবার) হেফাজত নেতা মামুনুল হক ইস্যুতে মহেশখালীর বিভিন্ন জায়গায়, আওয়ামী লীগ অফিস, ইউএনও অফিস, থানা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হেফাজতের কর্মীরা হামলা চালিয়ে তান্ডব চালায়।
এতে তাঁরা আওয়ামী লীগ অফিসে অগ্নিসংযোগ সহ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি ভাঙচুর করে। উক্ত ঘটনায় পুলিশ ও পাবলিক বাদি হয়ে মোট তিনটি মামলা করা হয়। তন্মধ্যে একটি মামলার বাদী কালারমারছড়ার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ।
ঐ মামলায় ষড়যন্ত্রমূলকভাবে এজাহারে ৭নং এ উল্লেখিত রিয়াজ মাহমুদ এবং ১০নং এ উল্লেখিত রিদোয়ান মোস্তফাকে আসামী করা হয়। অথচ ঘটনার দিন হামলার সময়ে তারা চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছিল। তার প্রমান স্বরূপ একটি সিসিটিভি ফুটেজ আমাদের হাতে আছে।
ফুটেজটি ইতিমধ্যে মহেশখালী থানার ওসি, তদন্ত ওসি ও আওয়ামীলীগের নেতৃবৃন্দদের দেয়া হয়েছে। তারাও তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন।
মূল ঘটনা হচ্ছে, আমাদের সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে এলাকার সাধারণ মানুষের স্বার্থে কাজ করে আসছে। তাই ষড়যন্ত্রমূলক প্রশাসনকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংগঠনের ২জন সদস্যকে মামলায় আসামী করেছে একটি কুচক্রী মহল।
তিনি আরও বলেন, সমাজের অসংগতি দুর করতে ছাত্রদের নিয়ে সংগঠনটি তৈরী করা হয়েছে। ইতিমধ্যে অনেক কাজ করেছি সাধারণ মানুষের জন্যে। তাই ইর্ষান্বিত হয়ে একটি মহল দীর্ঘদিন ধরে সংগঠণের সদস্যদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিচ্ছে।
হেফাজত ইস্যুতে সুযোগ পেয়ে সংগঠনের সদস্যদের মিথ্যা মামলায় জড়িয়েছে। এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে মামলা থেকে তাদের দুইজনের নাম প্রত্যাহারের জন্য প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি।
উক্ত সংবাদ সম্মেলনে মহেশখালী জাগ্রত ছাত্র সমাজের সভাপতি ফজলে আজিম মোঃ ছিবগাতুল্লাহ সহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ সহ বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়া ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
[…] […]
[…] মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জাগ্র… […]