ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহানঃ
কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে মা ইলিশ সংরক্ষণে কঠোর অবস্থানের হুশিয়ারী দিয়ে নিবন্ধিত জেলেদের নিয়ে জনসচেতনতামূলক র্যালী ও আলোচনা সভা সম্পন্ন হয়েছে।
৭ই অক্টোবর (শুক্রবার) বিকেলে মহেশখালী উপজেলা হল রুমে উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ আব্দুর রহমান খাঁন’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ ইয়াছিন।
এতে আরও বক্তব্য রাখেন মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুর রাজ্জাক মীর, উপজেলা মৎস্যজীবী লীগের সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান।
মেরিন ফিসারীজ অফিসার আলা উদ্দিনের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন মহেশখালী প্রেসক্লাব সভাপতি আবুল বশর পারভেজ সহ অন্যন্যরা।
এ আগে উপজেলা মৎস্য ভবন থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালী বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে এসে শেষ হয়।
সভায় বক্তারা বলেন, একটি পরিপক্ক মা ইলিশ ২৩ লক্ষ পর্যন্ত ডিম ধারণ করে। এই বছর ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম ৭-২৮ অক্টোবর পর্যন্ত।
সরকারের ঘোষনা অনুযায়ী মোট ২২ দিন ইলিশসহ সকল প্রকার মংস্য আহরণ বন্ধ থাকবে।
এ সময়কালে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ।
এ আইন বাস্তবায়নের লক্ষে মৎস্য অধিদপ্তর, জেলা ও উপজেলা প্রশাসন, বাংলাদেশ নৌ-বাহিনী, বাংলাদেশ বিমান বাহিনী, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, বিজিবি, র্যাব ও পুলিশ নিয়োজিত থাকবে।
এ সময় অবৈধ ভাবে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ ও ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য মৎস্য দপ্তরে জানানোর আহবান জানানা মহেশখালী উপজেলা মা ইলিশ রক্ষা বাস্তবায়ন কমিটি।
এ আইন অমান্যকারীকে কমপক্ষে ১ বছর থেকে সর্বোচ্চ ২ বছর সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে বলে সভা থেকে জানানো হয়।
এদিকে মহেশখালীর আশপাশের নদীতে মৎস্য অধিদপ্তর ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সসয় বিপুল অবৈধ জাল জব্দ করা হয়। পরে তা জনসম্মুখে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়েছে।