ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহানঃ কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীতে মাওলানা জিয়াউর রহমান নামের এক মাদরাসা শিক্ষককে নিজ কর্মস্হল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঢুকে কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
২৫ শে আগস্ট (বৃহস্পতিবার) দুপুর ১ টায় উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের তাজিয়াকাটা সুমাইয়া (রা:) বালিকা মাদ্রাসার মাঠে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় স্বামীকে বাঁচাতে গিয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন তার স্ত্রী। স্বামী-স্ত্রী দুজনই ওই মাদ্রাসার শিক্ষক বলে জানা যায়। নিহত জিয়াউর রহমান একই গ্রামের মৃত সাহাব মিয়ার ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এবাদুল্লাহ, নেছার, মোস্তাকসহ ৮/১০ জন স্হানীয় সন্ত্র অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মাদ্রাসায় প্রবেশ করে মাদ্রাসা শিক্ষক জিয়াউর রহমানকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে হত্যা করে। এসময় তার স্ত্রী রহিমা বেগমকেও কুপিয়ে জখম করে তারা। রহিমা বেগমের আঘাত গুরুতর হওয়ায় তাকে প্রথমে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়, পরে অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতালে রেফার করে কর্তব্যরত চিকিৎসক।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন বলে জানা যায়।
এদিকে ঘটনার পরপরই সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (মহেশখালী-কুতুবদিয়া সার্কেল) আবু তাহের ফারুকী ও মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) প্রনব চৌধুরী ঘটনাস্হলে উপস্থিত হয়ে সন্ধেহভাজন ৫ জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন।
তবে এখনো পর্যন্ত নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে লিখিত কোন অভিযোগ হাতে পাইনি থানা পুলিশ।
আটককৃতরা হলেনঃ তাসমিন আক্তার(৩৫) স্বামী- মনছুর আলী, ছমিরা আক্তার(২৩) পিতা-মনছুর আলী, ময়না আক্তার(২৫) স্বামী- মৃত আব্দুর রশিদ, নুরুল আলম(৫০) পিতা- মৃত আব্দুল জাব্বার, মুসলিম উদ্দিন(২৬) পিতা-মোহাম্মদ নুরুল হক
সর্ব সাং তাজিয়াকাটা, ০৩ নং ওয়ার্ড, কুতুবজোম,মহেশখালী কক্সবাজার।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ প্রনব চৌধুরী বলেন, এই হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত কাউকে বিন্দু পরিমান ছাড় দেওয়া হবেনা এবং অদ্যাবদি পর্যন্ত পুলিশের অভিযান চলমান রয়েছে।