কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালী থানার প্রধান ফটকের পশ্চিম পাশে প্রবেশদ্বারে স্হাপন করা হয়েছে বাংলাদেশের নতুন অস্ত্র লাইট মেশিনগান (এলএমজি)।
২১ এপ্রিল (বুধবার) সরেজমিনে থানা এলাকায় গিয়ে দেখা যায়- থানার প্রধান ফটকের পশ্চিম পার্শ্বে দক্ষিণ দিকে তাক করে রাখা ওই লাইট মেশিন গানের দায়িত্বে রয়েছে পুলিশের একজন চৌকস সদস্য। বাংলাদেশের নতুন অস্ত্র তৈরি হচ্ছে দিন দিন।
প্রাপ্ত তথ্য মতে, গত কয়েক দিন ধরে হেফাজতে ইসলামের শীর্ষস্থানীয় অনেক নেতাকর্মী গ্রেফতার হয়েছেন। তাদের মুক্তির দাবিতে মিছিল কিংবা থানা এলাকায় জড়ো হয়ে যাতে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাতে না পারে, সে জন্য থানায় বিশেষ নিরাপত্তা বলয় নিশ্চিতে কাজ করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
সারাদেশের ন্যায় মহেশখালী থানায়ও বাংলাদেশের নতুন অস্ত্র এলএমজি এ ভারী অস্ত্র লাইট মেশিনগান (এলএমজি) স্হাপন করা হয়েছে।
থানার প্রধান ফটকের পশ্চিম পার্শ্বে প্রবেশদ্বারে দক্ষিণ দিকে তাক করে ভারী অস্ত্র লাইট মেশিনগান (এলএমজি) স্থাপন করা হয়েছে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই জানান, যে কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে থানায় অতিরিক্ত পুলিশ যুক্ত করা হয়েছে।
এছাড়াও মহেশখালীর বিভিন্ন ইউনিয়নের পুলিশ ফাঁড়ি গুলোতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। মহেশখালীর আইনশৃঙ্খলা স্বভাবিক রাখতে সার্বক্ষণিক পুলিশি টহল জোরদার করা হয়েছে।
সর্বোচ্চ সতর্কতার অংশ হিসেবে মহেশখালী থানায় এ ভারী অস্ত্র লাইট মেশিনগান (এলএমজি) স্হাপন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগর শাখার সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক গত ২ এপ্রিল ঢাকার সোনারগাঁও একটি আবাসিক হোটেলে ‘কথিত স্ত্রী সহ অবরুদ্ধ‘ এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে হেফাজতপন্হীরা হঠাৎ লাঠি মিছিল শুরু করে উপজেলার কালারমার ছড়ায় বৌদ্ধ মন্দিরে আক্রমণের চেষ্টা, বড় মহেশখালীতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ অফিসে ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং উপজেলা প্রশাসন ও থানা এলাকায় হামলা করা হয়।
উপজেলা পরিষদের প্রধান ফটক বন্ধ থাকায় হামলাকারীরা বাইর থেকে ইটপাটকেল ছুঁড়ে উপজেলা শিক্ষা ভবন ও নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ের কাঁচ ভাঙচুর করে।
এ সব ঘটনায় মহেশখালী থানা পুলিশ ও পাবলিক বাদি হয়ে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করে। তিনটি মামলায় নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতনামা সহ প্রায় ৯০০ জনকে আসামি করা হয়।
ইতিমধ্যে উক্ত মামলায় উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক তারেক রহমান জুয়েল ও অপর দুই মামলার প্রধান আসামি মাওলানা মোকাররম সহ ঘটনার সাথে জড়িত অনেককেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এবং অপরাধীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের চিরুনী অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানা যায়।