মহেশখালীর উত্তর প্রান্ত চালিয়া তলি-ষাইটমারা (শাপলাপুর) এর গভীর পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে ২টি দেশীয় তৈরি অস্ত্র সহ ১ পেশাদার ডাকাত কে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে মহেশখালী থনা পুলিশ।
মহেশখালী-কুতুবদিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মোঃ জাহেদুল ইসলামের নেতৃত্বে গহীন পাহাড়ে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
উক্ত অভিযানে মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবাল সহ মহেশখালী থানা পুলিশের একটি চৌকস দল অংশ গ্রহন করেন।
২২ জুন (মঙ্গলবার) বিকেলে কক্সবাজার জেলা পুলিশের মহেশখালী-কুতুবদিয়া সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জাহেদুল ইসলাম ও মহেশখালী থানার ওসি (তদন্ত) আশিক ইকবালের নেতৃত্বে মহেশখালী থানা পুলিশের একটি ইউনিট শাপলাপুরের গহীন পাহাড়ী এলাকায় অভিযান চালিয়ে রিদুয়ান নামে এক ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে। পরবর্তীতে, তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক পাহাড়ের আস্তানা থেকে ২টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করে মহেশখালী থানা পুলিশ।
পরে সন্ধ্যায় মহেশখালী থানার সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে এএসপি জাহেদুল ইসলাম উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ডাকাত রিদোয়ান বেশ কয়েকদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে ডাকাতি করে আসছে। তার গতিবিধি লক্ষ্য রেখে আজ (২২ জুন) বিকেলে ওসি তদন্ত আশিক ইকবালসহ মহেশখালী থানার একদল পুলিশ নিয়ে শাপলাপুরের গহীন পাহাড়ে অভিযান পরিচালনা করি। ডাকাত রিদোয়ান পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশ তাকে ধৃত করে। পরে তার আস্তানা তল্লাশি করলে ২ টি দেশীয় তৈরী অস্ত্র ও ২ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
মহেশখালীতে পাহাড় হওয়ায় ডাকাতরা নিরাপদ আশ্রয় গড়ে তোলার চেষ্টা করে। মহেশখালী থানা পুলিশ সব ধরণর অপরাধীকে ধরে জেলে পাঠানোর জন্য অভিযান অব্যাহত রাখবে।
মহেশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ আব্দুল হাই প্রেস ব্রিফিংকালে জানান, আসামী মোঃ রিদোয়ান (প্রকাশ কালো রিদোয়ান) পিতা-আজিজুল হক (প্রকাশ জুলুইক্যা) মাতা সাকেরা বেগম, সাং- আব্দুল লতিফের বাড়ী, উত্তর ঝাপুয়া পাহাড়তলী, কালারমারছড়া, থানা-মহেশখালী, জেলা-কক্সবাজারকে ডাকাতি সন্দেহে চালিয়াতলী থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর উক্ত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে তার দেওয়া তথ্য মতে, স্থানীয় মেম্বার ও উপস্থিত জনগনের সামনে অভিযান চালিয়ে শাপলাপুর ইউনিয়নের ০১নং ওয়ার্ড, উত্তর ষাইটমারা চায়না মার্কেটের পশ্চিমে এবং কালারমারছড়া ইউনিয়নের উত্তর ঝাপুয়ার পূর্ব দিকে পাহাড়ের গভীরে জনৈক আব্বাসের খামার বাড়ীর পাহাড়ের মাটি খুঁড়ে ০১টি দেশীয় তৈরি (এলজি) আগ্নেয়াস্ত্র এবং খামারের পাশে খড়ের গদির নিচ হতে ০১টি দেশীয় তৈরি (এলজি) আগ্নেয়াস্ত্রসহ ০২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
মহেশখালী থানার রেকর্ডপত্র ও সিডিএমএস সার্চের মাধ্যমে তারা বিরুদ্ধে মহেশখালী থানার মামলা নং-৩৬ তাং ২২/০৭/২০১৪, (ধারা-১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইন এর ১৯ এ) (এফ) এবং মহেশখালী থানার মামলা নং-০২ তাং-০২/০৭/২০১৪, ধারা-৩৯৪ পেনাল কোড মমলা রয়েছে।
এছাড়াও চকরিয়া থানার মামলা নং ৪৩, তাং-২০/০৬/২০১৫, ধারা-১৮৭৮ সনের অস্ত্র আইন এর ১৯ (এ) (এফ) সহ মোট ০৩ টি মামলা রয়েছে।
তার বিরুদ্ধে আজকে উদ্ধার হওয়া অস্ত্র সহ সংশ্লিষ্ট অস্ত্র আইনে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান ওসি আব্দুল হাই।