মহেশখালীতে এ বছর পানের সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে সুপারির দাম। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সুপারির বাম্পার ফলন হয়েছে। এ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সুপারির ফলন ভালো হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। বাজারদর বেশ ভাল থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছে উপজেলার জনতাবাজারের ক্ষুদ্র সুপারি ব্যবসায়ীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে বিভিন্ন বাড়ির আঙিনা ও বাগানে প্রায় ৩/৪ হেক্টর জমিতে সুপারির বাগান রয়েছে। এ বছর এসব বাগানের সব গাছেই সুপারি ধরেছে। বাগান মালিকরা জানান, বৈশাখ-জ্যৈষ্ঠ মাসে সুপারি গাছে ফুল আসে। সেই ফুল থেকে সৃষ্টি হয় সুপারি, যা কার্তিক-অগ্রহায়ণ মাসে পুরোপুরি পেকে যায়। আশ্বিন মাসের শেষ দিকে বাজারে সুপারি আসতে শুরু করে। মূলত কার্তিক ও অগ্রহায়ণ মাসেই সুপারির ভরা মৌসুম। এখন উপজেলার প্রতিটা বাজারে প্রচুর পরিমাণে বিক্রির জন্য সুপারি আসছে। স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এই সুপারি কিনে ৬০ শতাংশ পানিভর্তি পাত্রে ভিজিয়ে রাখেন। ৪০ শতাংশ সুপারি দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবারাহ ও রোদে শুকিয়ে সংরক্ষণ করা হয়। এ বছর কাঁচা-পাকা সুপারির দাম কম হওয়ায় হতাশ গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা।
উপজেলার সুপারি বিক্রির প্রধান বাজারগুলো ঘুরে দেখা গেছে, বড় মহেশখালীর নতুনবাজার, হোয়ানক টাইম বাজার,কালারমারছড়া বাজার, জনতা বাজার, শাপলাপুর বাজার সহ বেশ কয়েকটি ছোট বড় বাজারে চলছে সুপারি কেনা-বেচার জমজমাট ব্যবসা। এ সকল বাজারগুলোতে দেশের বিভিন্ন এলাকার ব্যবসায়ীরা এসে তাদের চাহিদামত স্থানীয় পাইকারদের কাছ থেকে সুপারি কিনে নিচ্ছেন। এসব বাজারে ১পন সুপারি ৪০০ মানভেদে ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত বছরের চেয়ে ৫০ থেকে ৮০ টাকা বেশি বলে জানাচ্ছেন গৃহস্থ ও ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। হোয়ানক টাইম বাজারের পান ব্যবসায়ী আমান উল্লাহ বলেন, এ বছর পানের দামের সাথে সুপারির দাম ও ভাল আছে। তাই সুপারি চাষের আগ্রহী হচ্ছে চাষিরা।