ইশরাত মুহাম্মদ শাহ জাহানঃ কক্সবাজারের দ্বীপ উপজেলা মহেশখালীর বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারির পর, তা ভঙ্গ করে সমাবেশ করেনি কেউ।
তবে সমাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছিলো উভয় পক্ষের তর্কাতর্কি।
সূত্রে জানা যায়, বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে নব-নির্বাচিত চেয়ারম্যান শা আ ম এনায়েত উল্লাহ বাবুল ও পরিষদের সকল মেম্বার এবং সংরক্ষিত নারী সদস্যদের সংবর্ধনার আয়োজন করে নাগরিক কমিটি।
প্রায় সপ্তাহ ব্যাপী প্রচার-প্রচারণা সহ নানান আয়োজনের মধ্যে দিয়ে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেন তারা।
১৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ মাঠে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিলো। নাগরিক সংবর্ধনা অনুষ্ঠানকে ঘিরে চেয়ারম্যান এনায়েত উল্লাহ বাবুলের কর্মী সমর্থকদের মঝে ব্যাপক উৎসাহ ও চাঞ্চল্য বিরাজ করেছিলো। তাকে বরণ করতে তারা ব্যাপক প্রস্তুতিও নিয়ে নেন। বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদ হতে শুরু করে গোরকঘাটা জেটি ঘাট পর্যন্ত দীর্ঘ প্রধান সড়কের দুই পাশে তার কর্মী সমর্থকদের উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছিলো প্রায় ৩’শতাধিক তোরণ।
কিন্তু হঠাৎ করে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আগের দিন ১৩ জুলাই (বুধবার) মহেশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়, এতে পরদিন বৃহস্পতিবার ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান করার ঘোষণা দেয় দলটি।
এখবর ছড়িয়ে পড়লে চারিদিকে আতংক ছড়িয়ে পড়েন।
তৎক্ষনাৎ পাল্টাপাল্টি সমাবেশ ডাকায় ১৪৪ ধারা জারি করেন মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট মোঃ ইয়াছিন।
সূত্রে জানা যায়, একই স্থানে দুই সমাবেশস্থল হলে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা সৃষ্টি হতে পারে, সেই আশংকায় মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন ওই মাঠে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৪৪ ধারা জারি করেছে।
এই বিষয়ে মাইকিং করে সর্বসাধারণকে অবগত করা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই মাঠে ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকবে বলেও জানান মহেশখালী উপজেলা প্রশাসন।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বড় মহেশখালীর কয়েকজন বাসিন্দা বলেন, বিগত নির্বাচনের পরাজয় বরণ করতে না পেরে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী বিভিন্ন সময় নানান সমস্যা সৃষ্টি করে যাচ্ছে, নির্বাচনের পরপরই হাইকোর্টে গিয়ে ফলাফল পুনঃ নিরীক্ষা এবং আবার নির্বাচনের জন্য দু’টি মামলা করেন। হাইকোর্ট মামলা দু’টি খারিজ করে দিলে- শপথ গ্রহণে আর কোনো বাঁধা না থাকায় ০৬ জলাই শপথ অনুষ্ঠান শেষ হয়।
১৪ জুলাই ইউনিয়ন পরিষদের মাঠে এনায়েত উল্লাহ বাবুলের সংবর্ধনা পন্ড করতে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে করেন আওয়ামী দলীয় প্রার্থী ৷
প্রায় সাপ্তাহ ব্যাপী প্রচার প্রচারণা সহ নানান আয়োজনে সংবর্ধনার প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ার পর, আগেরদিন ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজনের ঘোষণা প্রতিহিংসার রাজনীতি বলে আখ্যা দিচ্ছে সাধারণ জণগণ।
এদিকে ১৪ জুলাই (বৃহস্পতিবার) পুরো দিন বড় মহেশখালী ইউনিয়ন পরিষদের মাঠ (সমাবেশ স্থল) ছিলো ফাঁকা। তারপরও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা নিয়ন্ত্রণে মাঠের দুই পাশে পুলিশ সদস্যদের অবস্থান দেখা যায়। খালি মাঠ পুলিশ পাহারা দিলেও, ছিলো না কোনো পক্ষের কর্মী সমর্থক।
আগের দিন ১৪৪ ধারা জারির ঘোষণার পরপরই আয়োজন থেকে নড়েচড়ে বসে উভয় পক্ষ।