Sports Desk:
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে ওমানে পৌঁছেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল।
বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টায় মাসকট বিমানবন্দরে পৌঁছান মুশফিক-মাহমুদুল্লাহরা।
ঘূর্ণিঝড় শাহীনের কারণে ওমানের মাসকট আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সব ফ্লাইটের সূচি পরিবর্তন করা হয়। তখন থেকেই টাইগারদের যাত্রা নিয়ে দেখা দেয় শঙ্কা।
তবে সব ক্রিকেটারই সময়মতো পৌঁছে যায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে। এরপর রাতেই ঢাকা ছাড়ে মাহমুদউল্লাহর দল।
বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপের ফ্লাইট ছিল গতকাল রাত পৌনে ১১টায় । খেলোয়াড়দের রিপোর্টিং সময় ছিল রাত ৮টা। নির্ধারিত সমেয়ে খেলোয়াড়রা চলেও এসেছিল বিমানবন্দরে।
এরপরই শুরু নাটকীয়তার। কারণ বিশ্বকাপের দেশ ওমানে যে আঘাত হানতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড়। সেজন্যে প্রথমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, বাংলাদেশ দল রোববার দিবাগত রাতে দেশ ছাড়বে না। তখন বলা হয়, সোমবার সকালে হতে পারে সম্ভাব্য যাত্রা। সেটা জেনে কয়েকজন খেলোয়াড় বাসার পথে রওয়ানাও দিয়েছিল।
কিছুক্ষণ পরেই আবার বদলে গেল সিদ্ধান্ত। জানানো হলো সংবাদ মাধ্যমে, নির্ধারিত সময়েই ওমানের উদ্দেশে দেশ ছাড়বে বাংলাদেশ দল।
নির্ধারিত সময় ছিল ১০টা ৪৫ মিনিটে, সেটাও শেষমেশ হয়নি। আড়াই ঘণ্টা পিছিয়ে যায় বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ যাত্রা।
রাত ১টা ২০ মিনিটে বাংলাদেশ দলের বিমান ঢাকা ত্যাগ করে।
চার্টার্ড বিমানে করে সকাল সাড়ে ছয়টা নাগাদ বাংলাদেশ দল পৌঁছায় ওমানে। সেখানে পৌঁছে আজ ৪ অক্টোবর কোয়ারেন্টাইন পালন করতে হবে গোটা দলকে। ৫, ৬ ও ৭ অক্টোবর দুপুর দেড়টায় ওমানে অনুশীলন করবে বাংলাদেশ।
৯ অক্টোবর দল উড়াল দেবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। সেখানে ১০ তারিখে কোয়ারেন্টাইন শেষে ১১ তারিখে অনুশীলনে নামবে টাইগাররা।
পরের দিন অর্থাৎ ১২ তারিখে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রস্ততি ম্যাচ। আবুধাবিতে ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়। ১৩ অক্টোবর আবার অনুশীলনের পর ১৪ তারিখ দ্বিতীয় ও শেষ প্রস্তুতি ম্যাচে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে বাংলাদেশ।
৪ দিন প্রস্তুতির পর ৯ অক্টোবর যাবে আরব আমিরাতে। দুটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলে আবারও ওমানে ফিরবে টাইগাররা। এরপর ১৭ তারিখ, স্কটল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপের মূল লড়াই।
এরপর ১৯ অক্টোবর প্রথম পর্বে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক ওমানের মুখোমুখি হবে টাইগাররা। ২১ অক্টোবর বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ পাপুয়া নিউগিনি।