প্রোক্লেমেশন অফ রেভ্যুলেশন কেনো লাগবে? আমার, আপনার এবং আমাদের সবার অস্তিত্ব বাচাইতে লাগবে। আমাদের এই বিপ্লবকে সত্যিকার অর্থে বিপ্লবে রুপ দিতে এই প্রোক্লেমেশন লাগবে। এই কাজ হওয়ার দরকার ছিলো ৫ই আগস্ট। কিন্তু দেরিতে হইলেও যে হচ্ছে এইটাও স্বস্তির খবর।
এখন আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে এই প্রোক্লেমেশন জিনিসটা আসলে কি? এইটা মূলত নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের আক্ষরিক অর্থে ঘোষনা। তো এই ঘোষণাটা ঠিক কি করে?
এই যে ধরেন এই সরকার, এইটা তো সংবিধান অনুযায়ী অবৈধ। প্রোক্লেমেশন সে সংবিধানকেই সরাসরি চ্যালেঞ্জ করে এবং সংবিধানকে প্রোক্লেমশনের আলোকে ব্যাখ্যা এবং সংশোধন করতে বাধ্য করে। যে স্টেট সিস্টেম আমাকে বা আপনাকে এখন পর্যন্ত নিয়মতান্ত্রিকভাবে ফাঁসির আসামী বানায় রাখসে, সে স্টেট সিস্টেমকে খারিজ করে দেয়।
এছাড়াও এই প্রোক্লেমেশন আরো কি কি করতে পারবে? এই যে আমাদের নিত্যদিনের অভিযোগ থাকে যে এইটা কেনো এভাবে হচ্ছে না, ওইটা কেনো ওইভাবে হচ্ছ না? এই সব হিসাব নিকাশ বদলানোর জন্যই প্রোক্লেমেশন জরুরি। রাষ্ট্রযন্ত্রের যেসকল বস্তাপচা নিয়মের কারণে সব কাজ পিছিয়ে যায় তা ছুড়ে ফেলে জুলাইয়ের আলোকে নতুন রাষ্ট্রকাঠামো তৈরির ভিত্তি হবে এই প্রোক্লেমেশন। যে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন এই দেশের মানুষ দেখেছে, তা বাস্তবায়ন হবে এর মাধ্যমে।
এই কাজ হওয়া উচিত ছিলো আরো অনেক আগেই। দেরি হয়ে গেছে প্রায় মাস পাঁচেক। কিন্তু তাও হচ্ছে। জুলাইকে ধারণ করা প্রতিটি ব্যাক্তির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে এর মাধ্যমে। যে বাংলাদেশ ২.০ এর কথা আমরা এতদিন বলে এসেছি তা সত্যি হবে ৩১ তারিখ। আমি থাকবো সেদিন শহিদ মিনারে মুজিববাদের কবর রচনা করতে, আপনারা থাকবেন তো?