কুমিল্লার নানুয়ার দিঘী পাড়ের পূজার মন্ডপে মূর্তির নিচে কোরান রাখার বিষয়ে মুহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল তার ফেসবুক পোস্টে জানান—
উন্মাদ বা পাগলও বিশ্বাস করবেনা বাংলাদেশে দুর্গাপূজার কোনো মণ্ডপে পবিত্র কোরআন শরীফের অবমাননা করার পরিকল্পিত ধৃষ্টতা পূজারীদের কেউ দেখাবে!
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে গুজব এবং রটনা ছড়ানো হয়েছে কুমিল্লার একটি দুর্গাপূজার মন্ডপে পূজারীদের মাধ্যমে এই অবমাননাকর ঘটনা ঘটানো হয়েছে। (নাউজুবিল্লাহ!) এই কথার উপরে ভিত্তি করে এখন চেষ্টা হচ্ছে সবাইকে উস্কে দিতে।
ভুলে গেলে চলবেনা, এই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেই সাঈদীকে চাঁদে দেখা গিয়েছিলো! আর এটা শুনে কিছু “উন্মাদ আর ছাগশিশু”র প্ররোচনায় একটি নির্দিষ্ট অরাজকতা সৃষ্টিকারী গোষ্ঠী রাস্তায় নামে! এখন একই চেষ্টায় আছে এরা।
আল্লাহতায়ালা সমগ্র মানবজাতির প্রতি অনুগ্রহস্বরূপ পবিত্র কোরআন দান করেছেন। এই বিষয়ে বর্নিত আছেঃ “হে মানবজাতি! তোমাদের নিকট এসেছে তোমাদের প্রভুর পক্ষ থেকে উপদেশ। যা আরোগ্য অন্তরের ব্যাধির জন্য এবং পথনির্দেশ ও অনুগ্রহ মুমিনের জন্য। ” -সূরা ইউনুস : ৫৭
কোরানুল কারিমের কল্যাণ সাধারণভাবে সবার জন্য উন্মুক্ত। কোনো রটনাকারীর পক্ষে দাঙ্গা হাঙ্গামা করা যাবে, কোরানের মর্যাদা রক্ষা নয়! আল্লাহর পবিত্র বানীর সম্মানরক্ষা করবেন সবাই এবং আল্লাহ তায়ালা নিজেই।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল নিদর্শন, কবি নজরুলের কুমিল্লায় তথাকথিত এই রটনাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক ঘৃণা ছড়ানোর নোংরামি যারা করছে, নানান মাধ্যমে উস্কানিমূলক স্ট্যাটাস যারা দিচ্ছে, হিংসাত্মক মন্তব্য যারা করছে, এদেরকে চিনে রাখুন। এরাই দাঙ্গা হাঙ্গামার এজেন্ট!
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা মাঠে আছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার বাংলাদেশে পবিত্র কোরআন শরীফের অবমাননা যেমন কেউ করার ধৃষ্টতা দেখাবেনা, কেউ এই কাজ করলে এর যথাযথ শাস্তি অবশ্যই নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি, এই রটনাকে কেন্দ্র করে অরাজকতা সৃষ্টির পাঁয়তারা কেউ করলে, তার উচিৎ জবাবও যথাযথ ভাবেই দেয়া হবে! ইনশাআল্লাহ!
উল্লেখ্য গতকাল (বুধবার) কুমিল্লার নানুয়ার দিঘী পাড়ের পূজার মন্ডপে মুসলমানদের ধর্মীয় গ্রন্থ আল কোরান পাওয়া যায়। এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে মুহুর্তেই সেখানে পুলিশ গিয়ে হাজির হন।
ঘটনার সূত্র ধরে স্থানীয় মুসলমান জনগণ আন্দোলন করলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে নাশকতা থেকে রক্ষা করে। তবে উক্ত ঘটনায় পুলিশের সাথে সংঘর্ষে অনেকেই গুলিবিদ্ধ হন।
এরই সূত্র ধরে দেশের আরও বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলন করা হয়। ৪ বছরের শিশু সহ সারাদেশে ৪ জন নিহত হন এবং সেই সাথে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।
দেশে যেন সাম্প্রদায়িক এই দাঙ্গা যেন দীর্ঘস্থায়ী না হয় এবং কোনো বিরোধী দলীয় লোকজন যেন ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে না পারে সে বিষয়েও মন্তব্য করেন সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দ্রুতই অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে আস্বস্ত করেন।