নতুন ঈদ নাটক ২০২১ লিখলেই এখন ৯ নাম্বার ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে জিয়াউল হক পলাশের পরিচালনায়, তাহসান খান, জিয়াউল হক পলাশ ও তানজিন তিশা এর অভিনীত নাটক ” একটুখানি “।
নাটকের কন্সেপ্ট লিখেছেন – আনিকা তাবাচ্ছুম বৃষ্টি
স্ক্রিনপ্লে – কাজল আরেফিন অমি এবং জিয়াউল হক পলাশ
অভিনয়ঃ তাহসান খান, তানজিন তিশা, সারাফ আহমেদ জীবন, মুহাম্মদ সাঈদুর রাহমান পাভেল, রিফান নানজিবা, শিমুল শর্মা।
একটুখানি নাটকের চিত্র ধারণ করেছেনঃ
রাজু রাজ, ভাসকের জনি।
মিউজিকঃ সাইয়েদ নাফিস
পরিমার্জনায়ঃ আরিফিন সরকার
সহকারি পরিচালকঃ শিমুল শর্মা
প্রডিউসারঃ মাসুদুল হাসান
প্রোডাকশনঃ MotionRock entertainment
একটুখানি বা ইংরেজিতে Ektukhani এই নাটকটি দেখা যাবে Club 11 Entertainment এর অফিসিয়াল ইউটিউব চ্যানেলে। তাদের স্পন্সর করেছে PETROMAX LPG গ্যাস।
আমাদের অন্যান্য নাটক বা মুভির রিভিউ দেখতে এখানে ক্লিক করুন
নাটকের শুরুতেই দেখা যায় অফিসে কয়েকজন কর্মী এবং একজন বাল্ব বিক্রি নিয়ে প্রেজেন্টেশন দিচ্ছে।
একটুখানি ঈদ নাটকের শুরুতে তার প্রেজেন্টেশন ভাল না হওয়ায় তাহসান খান বলে উঠেন,
” এগুলা কিছুই হয়নাই, আপনাকে কি ব্রিফ দিলাম আর কি প্রেজেন্টেশন নিয়ে আসছেন “
এরপর তাহসানের প্রস্থান এবং নাটকের পরিচালক ও অভিনেতাদের পরিচিতি।
দুইটি বাস্তব ঘটনা দিয়ে একটুখানি নাটকের মেইন কাহিনী শুরু।
প্রথম ঘটনায় একটুখানি নাটকে দেখা যায় পার্কে এক কাপল ঝগড়া দিচ্ছে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিয়ে। অতপর তাদের ব্রেকাপ।
অন্যদিকে আবেগী তাহসানকে নিয়ে তানজিন তিশা বাসে করে ঘুরতে গেলে এক পর্যায়ে বাসে তাহসান এর ওয়ালেট এবং মোবাইল ছিনতাইকারী নিয়ে যায়। যেটি বলতে গেলে ঢাকা শহরের নিত্য নৈমিত্যিক ঘটনা।
ছিনতাইয়ের পর তিশা চেষ্টা করে তাহসানকে কোথাও বসানোর। কিন্তু তাহসান অনেকটা বিরক্ত কেননা তার ওয়ালেট এবং মোবাইল দুটোই অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
এরপর একটি রেস্টুরেন্টে গিয়ে বসে এবং তাহসানের খুব মন খারাপ। তাহসান রহমান খানের মন খারাপটা দেখে তানজিন তিশা চেষ্টা করে তাকে কিছু নস্টালজিক করে তোলার। এজন্য সে পুরোনো বার্গার অর্ডার দিতে চায়। কিন্তু তাহসান আজকে স্টিক খাবে।
কেন স্টিক খাবে তিশা জানতে চায়লে বলে আজকে তার স্টিক খেতে মন চাচ্ছে তাই স্টিক খাবে।
এরপর তিশা বার্গারের মূল্য ৫০ থেকে ১২০ টাকা হয়ে যাওয়ায় আফসোস করলে তাহসান বলে উঠে,
” মানুষই চেঞ্জ হয়ে যায় আর বার্গার “
মানে হল সময়ের পরিবর্তনে মানুষ পরিবর্তন হতে পারলে বার্গারের মূল্য কেন নয়।
প্রতি মুহুর্তে তাহসান পলাশকে দেখতে পায় যে কিনা অফিস থেকে ছুটি নিয়েছিলো সেমিস্টার ফাইনালের প্রিপারেশনের জন্য।
রেস্টুরেন্টে পলাশ আর তার গার্লফ্রেন্ড নানজিবা কে দেখে পলাশ কে যখনই জিজ্ঞেস করতে গেলো তখন সে জানালো সারাদিন পড়তে পড়তে সে ক্লান্ত তাই তার ম্যামকে নিয়ে একটু ঘুরতে আসছে।
এদিকে ম্যামের পরিচয় জানতে চায়লে একজন বলে উঠে সে ইইই তে পড়ে আরেকজন বলে উঠে সে বিবিএ তে পড়ে।
ঠিক তখনই পলাশ তার অফিসের বসের কাছে ধরা খেয়ে যায়।
এরপর তিশা আর তাহসান নিরিবিলি এক পার্কে বসে তাদের পুরনো স্মৃতি মনে করার চেষ্টা করছিল। ঠিক তখনই তিশার এক ছাত্র তার মাকে নিয়ে যাচ্ছিল তার ড্রয়িং ক্লাসে।
ম্যামকে দেখে ছাত্র সালাম ও কেমন আছে জিজ্ঞেস করলে তিশা উত্তর দেয় এবং ছাত্রের মা পাশে বসে থাকা তাহসান সম্পর্কে জানতে চায়লে তিশা তার কাছের বন্ধু বলে পরিচয় দেয়। ছাত্রের মায়ের প্রস্থানের পর তাহসান ক্ষুদ্র এই বিষয়ে রাগ করে সেখান থেকে উঠে যায়।
এরপর পার্কে হাটাহাটি এবং রিক্সায় ঘুরাঘুরি। কিন্তু এক পর্যায়ে রিক্সা থেকে ছিনতাইকারী তিশার ভ্যানিটি ব্যাগটিও নিয়ে নেয়। তখন তারা বাডির উদ্দেশ্যে রওনা দিলে প্রতিমধ্যে কিছু বকাটে লোকের হাতে পড়ে। কিছুটা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে তাদের উদ্ধার করে।
পুলিশ থানায় নিয়ে গিয়ে তাহসান কে তাদের সম্পর্ক কি, তারা কি করে জিজ্ঞেস করলে তারা জানায় তারা দুজনই জব করে এবং তাদের সম্পর্ক তারা যাস্ট ফ্রেন্ড। তখন পুলিশ তাদের বাড়িতে ফোন দেয় এবং তাহসানের মা আসে।
এখানেই নাটকের মেইন টুইস্ট। আসলে তারা বন্ধু ছিলনা তারা ছিল স্বামী-স্ত্রী। দীর্ঘদিন দূরে দূরে থাকার পর তারা সিদ্ধান্ত নিয়েছিল তাদের আর এক সাথে থাকা সম্ভব না। কিন্তু তাদের এই দেখাতে আজকে তারা বুঝতে পারে আসলে মন থেকে চায়লে সবই সম্ভব।
তাহসানের মাও তাদের দুজনকে বুঝায় যে আসলে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়াটা কারোরই উচিৎ নয়। এতে তারা দুজন ছাড়া মা-বাবাও অনেক কষ্ট পান। এভাবে তারা আবার সেই পুরনো সম্পর্ক শুরু করে।
অসাধারণ এই বাংলা ঈদের নাটক একটুখানি টি দেখে ফেলুন এখনই। এবং এরপর কোন নাটকের রিভিউ জানতে চান তা আমাদেরকে নিচে কমেন্ট সেকশনে জানান।
আমাদের অন্যান্য নাটক বা মুভির রিভিউ দেখতে এখানে ক্লিক করুন