বীজ রোপন চাষিদের বড় সমস্যা
তাই ধনিয়া চাষে কিছু দিকনির্দেশনামূলক তথ্য জানা প্রয়োজন। চলুন আজকে ধনিয়া চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাকঃ
ধনিয়া চাষ পদ্ধতি শুরুতেই মাটি ও আবহাওয়া:
প্রায় সব রকমের মাটিতেই ধনিয়ার চাষ করা যায়। তবে বেলে দোআঁশ থেকে এটেল দোআঁশ মাটি ধনিয়া চাষের জন্য উপযোগী। ধনিয়া আবাদের জন্য পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকা অতি প্রয়োজন।
ধনিয়া চাষ পদ্ধতিতে কিভাবে জমি তৈরি করবেনঃ
যেকোন ধরনের চাষ পদ্ধতিতে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে মাটি নির্বাচন। যদি মাটি নির্বাচন ভুল হয় তাহলে কৃষককে প্রতি পদে পদে এর ফল ভোগ করতে হয়। তাই চাষ করার আগে মাটির সঠিক গুণ বিচার করে মাটি নির্বাচন করতে হবে। মাটির প্রকারভেদে ৪-৬টি চাষ ও মই দিয়ে জমি তৈরি করতে হবে।
ধনিয়া চাষ পদ্ধতিতে বীজের হারঃ
হেক্টরপ্রতি ৮ কেজি। বীজ বপন: বীজ বোনার আগে পানিতে ২৪ ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। বীজ ছিটিয়ে বোনা হলে হেক্টরপ্রতি দ্বিগুণ বীজ ব্যবহার করতে হবে। ধনিয়া মিশ্র ফসল হিসেবে সার পদ্ধতিতে বপনের জন্য ৪-৫ কেজি বীজের প্রয়োজন হবে।
ধনিয়া চাষ পদ্ধতিতে সার প্রয়োগঃ
ধনিয়া চাষ পদ্ধতি তে গুরুত্বপূর্ণ কিছু সারের নাম এবং সারের পরিমাণ–
- গোবর ৮-১০ টন,
- ইউরিয়া ২৮০-৩১০ কেজি,
- টিএসপি ১১০-১৩০ কেজি,
- এমপি ৯০-১১০ কেজি।
সার প্রয়োগ পদ্ধতি: জমি তৈরির সময় অর্ধেক গোবর, সমপরিমাণ টিএসপি ও অর্ধেক এমপি সার প্রয়োগ করতে হবে। বাকি অর্ধেক গোবর চারা রোপনের এক সপ্তাহ পূর্বে মাদায় দিয়ে মিশিয়ে রাখতে হবে। এরপর চারা রোপন করে সেচ দিতে হবে। ইউরিয়া এবং বাকি অর্ধেক এমপি সার ২ কিস্তিতে প্রয়োগ করতে হবে। চারা লাগানোর ৮-১০ দিন পর ১ম কয়েকদিন পর এবং চারা লাগানোর ৩০-৫০ দিন পর বাকি সার উপরি প্রয়োগ করতে হবে।
অন্তর্বর্তীকালীন পরিচর্যা: পাতা ফসলের জন্য চারা গজানোর ১০-১৫ দিন পর সারিতে ৫ সেমি পর পর একটি চারা রেখে বাকিগুলো তুলতে হবে। বীজ ফসলের ক্ষেত্রে প্রতি ১০ সেমি পরপর একটি চারা রাখতে হবে।
নিড়ানি দিতে আগাছা পরিষ্কার এবং মাটি ঝুরঝুরা করে দিতে হবে। প্রতিবার সেচের পর জমির জো আসা মাত্র মাটির চটা ভেঙ্গে দিতে হবে। ধনিয়ার জমিতে পানি নিকাশের ব্যবস্থা থাকতে হবে।
[…] উঁচু জমি দেখে বীজতলা তৈরি করা যায়। বীজতলায় ১ মিটার চওড়া করে বেড তৈরি করতে […]
[…] কোন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে ধানের উৎপাদন অনেক ভাল হবে। হাওরসহ সারা দেশের ধান […]
[…] ধনিয়া চাষ পদ্ধতি ও কলা কৌশল […]
[…] ধনিয়া চাষ পদ্ধতি […]