১৯৮৪ সালে মহেশখালী দ্বীপে সাংবাদিকতার সূচনালগ্নের প্রথম পেশাদার সাংবাদিক, দৈনিক পূর্বকোণ’র সাবেক মহেশখালী প্রতিনিধি ও দৈনিক নয়া বাংলার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার, মহেশখালী প্রেসক্লাবের প্রতিষ্টাতা সদস্য মাওলানা শফিক উল্লাহ্ খাঁন আর নেই। ইন্না-লিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহি রাজিউন।
তিনি আজ ২১জুন (সোমবার) দুপুর সাড়ে ১২টায় সময় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৬০বছর।
সাংবাদিক শফিক উল্লাহ খাঁন মহেশখালী উপজেলার ছোট মহেশখালী ইউনিয়নের দক্ষিণ নলবিলা রাহাতজান পাড়া গ্রামের মরহুম মাওলানা মকবুল আহামদ ও মরহুমা মোমেনা বেগমের তৃতীয় সন্তান এবং গণ আজাদীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আতা উল্লাহ খাঁন এর বড় ভাই।
পারিবারিক জীবনে তিনি ১মেয়ে ও ৫ পুত্র সন্তানের জনক।
শফিক উল্লাহ্ খাঁন মহেশখালী উপজেলার সাংবাদিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত। মহেশখালী দ্বীপে সাংবাদিকতার গোড়াপত্তনের তিনি ছিলেন প্রথম পেশাদার সাংবাদিক। তখন মহেশখালীতে মাত্র হাতে গোনা ৩/৪ জন ব্যক্তি সাংবাদিকতা পেশায় ছিলেন।এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন উত্তর নলবিলা মরহুম আহমদ হোসেন, দক্ষিণ নলবিলার শফিক উল্লাহ খাঁন, গোরকঘাটার পুটিবিলার মরহুম ডাক্তার সুলতান উদ্দিন আহমেদ ও বর্তমানে দৈনিক পূর্বকোণ, দৈনিক আমাদের সময়’র মহেশখালী প্রতিনিধি ফরিদুল আলম দেওয়ান।
এর দীর্ঘদিন পরে মহেশখালীর সাংবাদিক জগতে তরুণ ও নবীণদের পদচারণায় অনেক প্রসার ঘটে। পেশাগত জীবনে সাংবাদিক মরহুম শফিক উল্লাহ খাঁন সৎ নিষ্ঠাবান ও একজন দেশ প্রেমিক কলম সৈনিক ছিলেন।
তাঁর দীর্ঘ ৩৭ বছরের সাংবাদিকতা জীবনের অনেক স্মৃতি রোমন্থনে আজ মহেশখালীর সাংবাদিক সমাজ অত্যন্ত শোকাহত। তার মৃত্যুতে মহেশখালীর সাংবাদিকদের মাঝে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
আগামীকাল সকাল ৯টায় ছোট মহেশখালী দক্ষিণ নলবিলা রাহাতজান পাড়া জামে মসজিদ সংলগ্ন মাঠে তাহার জানাযার নামাজ অনুষ্টিত হবে বলে পারিবারিক সূত্র জানা গেছে।
মরহুম শফিকুল্লাহ খাঁন বাংলাদেশের বিভিন্ন জাতীয়,আঞ্চলিক ও স্থানীয় পত্রিকায় সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। মৃত্যুর পূর্ব সময় পর্যন্ত চট্টগ্রামের দৈনিক নয়া বাংলা পত্রিকায় যুক্ত ছিলেন।
তিনি দীর্ঘ দিন ডায়বেটিস রোগে ভূগছিলেন। শফিক উল্লাহ খাঁনের মৃত্যুতে মহেশখালী ট্রিবিউন পরিবার গভীরভাবে শোকাহত এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সমবেদনা প্রকাশ করছি।
আল্লাহ যেন তাকে জান্নাতুল ফেরদৌস নসিব করেন। আমিন।
Innalillahi
আমার জানা মতে তিনি অত্যন্ত ভালো মানুষ ছিলেন। তার মাগফিরাত কামনা করি।