অবশেষে তেমনই হলো, যেমন অনুমান করা হয়েছিল। ড্র-তেই সমাপ্ত ঘটল বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা- প্রথম টেস্টের। এই ম্যাচে ১৭ উইকেটের বিপরীতে মোট ১২৮৯ রান আসে। দুই দলের সম্মিলিত বোলিং এভারেজ ছিল ৭৫.৮২ রান। বুঝায় যাচ্ছে পুরোই ব্যাটিং প্যারাডাইস ছিল পাল্লকেলের পিচ।
টস জিতে ব্যাটিং-এ নেমে প্রায় দুই দিন আর এক সেশনে ব্যাটিং করে বাংলাদেশ ১ম ইনিংস ৫৪১ রানে ডিক্লেয়ার দেয়। যার জবাবও কড়ায়-গন্ডায় দেয় শ্রীলঙ্কা। ওপেনিং জুটিতেই শতাধিক রান করে কারুনারাত্নে আর থিরামান্নে। বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ব্রেক থ্রো আনে মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর কিছুটা নড়বড়ে অবস্থা তৈরি হলেও ৪র্থ উইকেটে ভালোয় জবাব দেয় স্বাগতিক দল। ডাবল সেঞ্চুরি করে অধিনায়ক কারুনারাত্নে, ধানানজয়ার ব্যাট থেকে আসে ১৬৬ রান। রেকর্ড ৩৪৫ রানের পার্টনারশিপ করে তারা। চতুর্থ দিনে এক উইকেটও পড়তে দেয়নি শ্রীলঙ্কা।
আজ, শেষদিনের খেলা শুরু হওয়ার আগেই অনুমান করা যাচ্ছিল ফলাফল কোন দিকে যাচ্ছে। শ্রীলঙ্কা ৮ উইকেটে ৬৪৮ রান করে ডিক্লেয়ার করে। বাংলাদেশের ইনিংসের শুরুতেই মারমুখী ব্যাটিং শুরু করে তামিম ইকবাল। দ্রুত সাইফ আর শান্ত-র উইকেট হারানোর পর ব্যাটিং-এ কিছুটা ধীরতা তামিম। পরে মুমিনুলের সাথে ৭৩ রানের জুটি করে তামিম। বাংলাদেশের ১০০ রানের মধ্যে ৭৪ রানই করেন তামিম ইকবাল। শেষ সেশনে হঠাৎ বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তীতে আবহাওয়ার পরিবর্তন না আসায় ফলাফল ড্র ঘোষণা করে দেওয়া হয়।
স্কোর– ৫ম দিন শেষে
বাংলাদেশ ১ম ইনিংস- ৫৪১/৭ (ডি)- ১৭৩ ওভার- ( শান্ত ১৬৩, মুমিনুল ১২৭, ভিশুয়া ৪/৯৬)
শ্রীলঙ্কা ১ম ইনিংস- ৬৪৮/৮ (ডি)- ১৭৯ ওভার ( কারুনারাত্নে ২৪৪, ধানানজয়া ১৬৬, তাসকিন ৩/১১২)
বাংলাদেশ ২য় ইনিংস- ১০০/২* – ৩৩ ওভার ( তামিম ৭৪*, মুমিনুল ২৩*, লাকমাল ২/২১)
ফলাফল– ম্যাচ ড্র
ম্যান অফ দি ম্যাচ- দিমুথ কারুনারাত্নে